বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল কাঠমান্ডু বিমানবন্দর। সেখান থেকে ওড়ার আগেই রানওয়ে ছেড়ে বেরিয়ে গেল যাত্রিবাহী বিমান। আর তার জেরে কলকাতায় বিমানের ভিতরে সারা রাত বসে কাটাতে হল ১০৮ জন যাত্রীকে।
কলকাতায় ১২ ঘণ্টা অপেক্ষারত এই বিমানটি চায়না–সাদার্ন বিমানসংস্থার। সেটি গুয়াংজাও থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল। কিন্তু কাঠমান্ডু পৌঁছনোর আগেই জানা যায়, সেখানকার বিমানবন্দর সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমানটি মুখ ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নেমে আসে কলকাতায়। কলকাতা থেকে উড়ান চালায় না চায়না-সাদার্ন। ফলে, এ বিমানবন্দরে তাদের পরিকাঠামো নেই। তা ছাড়া, বিমানের যাত্রীরা সকলেই বিদেশি এবং কারও কাছে ভারতে ঢোকার ভিসা ছিল না। ফলে, সারা রাত বিমানেই বসিয়ে রাখা হয় যাত্রীদের। কাঠমান্ডু বিমানবন্দর চালু হলে সেই বিমানটি শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ উড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার বিমান সংস্থা ম্যালিনডো এয়ারের বিমান কাঠমান্ডু থেকে ভারতীয় সময়ে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ টেক-অফ করতে যায়। কিন্তু ছুটে যাওয়ার সময়ে বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। রানওয়ে ছেড়ে পাশের মাটিতে গিয়ে বসে যায় বিমানের চাকা। ১৩৯ জন যাত্রীর কেউ আহত হননি। তবে বন্ধ করে দিতে হয় রানওয়ে। ফলে, যে বিমানগুলি কাঠমান্ডু যাচ্ছিল, সেগুলিকে অন্যত্র উড়ে যেতে হয়। রাত সওয়া ন’টা নাগাদ আবুধাবি থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার সময়ে মুখ ঘুরিয়ে কলকাতায় নামে ইতিহাদের বিমান। ইতিহাদের নিজস্ব পরিকাঠামো রয়েছে। ১১১ জন যাত্রীর অস্থায়ী ভিসা করিয়ে তাঁদের হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে রাত সওয়া ১১টায় নামে এয়ার আরবিয়ার বিমান। ১৫৯ জন যাত্রীকে সারা রাত অপেক্ষা করতে হয় বিমানের ভিতরে। শুক্রবার ভোরে বিমানটি ঢাকা উড়ে যায়। ব্যতিক্রম চায়না সাদার্ন। ১২ ঘণ্টা বিমানেই বসে থাকতে হয় যাত্রীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy