অমিত শাহ।
গত লোকসভা ভোটে বিজেপির স্লোগান ছিল ‘চায়ে পে চর্চা’। আগামী লোকসভা ভোটে কি ডুয়ার্সে ‘চায়ে পে কব্জা’? শুনে বিজেপি নেতারা নিঃশব্দে হাসছেন। কিন্তু তলে তলে কুমারগ্রাম, কালচিনি, ধূপগুড়ি, বানারহাট-সহ বিস্তীর্ণ চা-বলয়ে ঢালাও কর্মসূচি নিচ্ছেন তাঁরা। আগামী মাসেই এখানে আসতে পারেন সভাপতি অমিত শাহ। দলীয় সূত্রের দাবি, অমিতের মূল লক্ষ্য, লোকসভার আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করা, যাতে চা-বলয় তাঁদের খালি হাতে না ফেরায়।
গত বিধানসভায় কালচিনি, কুমারগ্রাম আসন দু’টি তৃণমূল জিতেছিল। দু’টিতেই, বিশেষত কালচিনিতে প্রভাব ছিল বিজেপির। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে কুমারগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি। একটি জেলা পরিষদ আসনও গিয়েছে পদ্মফুলের কব্জায়। কালচিনি ব্লকে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে না পারলেও মোট আসনের নিরিখে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। নাগরাকাটার চা-বলয়ের গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি।
দলের হিসেবে, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির চা-বলয়ে দলের মোট প্রাপ্ত ভোট তৃণমূলের থেকে বেশি। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, এখন সংগঠনের গোড়ায় সার-জল দিলে লোকসভায় পদ্ম ফোটার সম্ভাবনা যথেষ্ট। তাই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে দলের প্রার্থী চা-বলয় থেকেই করতে হবে। বিজেপি জেলা দফতর সূত্রে খবর, গত পরশু দিল্লি থেকে পাঠানো ‘সূচনা’য় বলা হয়েছে, আদিবাসী এলাকায় ‘পিছড়ে বর্গের’ সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে হবে। জনজাতিদের মধ্যে ধর্মগুরুর প্রভাব যথেষ্ট। তাঁরা কী চাইছেন, বুঝতে হবে। তবে গোপনে। এক জেলা নেতার কথায়, “যেখানে বিজেপি জিতেছে, সেখানেই তাণ্ডব তৃণমূলের। তাই এই গোপনীয়তা।’’
আরও পড়ুন: হামলার ভয়ে জয়ীদের অন্যত্র সরাবে বিজেপি
বিজেপির সক্রিয়তার কথা শুনে জলপাইগুড়ির তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি ধর্মীয় জিগির তুলে সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে। চা-বলয়ে এলে ওদের ফের ধাক্কা খেতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy