জিটিএ-কে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার বিকেলে নয়াদিল্লি থেকে এই অর্থ দার্জিলিঙের সরকারি কোষাগারে পাঠানো হয়। সে দিন জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক পরিষদের চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গ গিয়েছিলেন সিকিমে, মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিঙের সঙ্গে বৈঠক করতে। এ দিন দার্জিলিং ফিরেই এই চিঠি পেলেন তিনি।
গত জুন মাসে পাহাড়ে আন্দোলন শুরু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে পাহাড় ছাড়েন বিমল গুরুঙ্গ। কিছু দিন আগে পর্যন্তও এনডিএ-র শরিক হিসেবে গুরুঙ্গকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে বিজেপি। কিন্তু সম্প্রতি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক, পরে বিনয়ের সিকিম সফর দেখে পাহাড় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই বক্তব্য, এই মুহূর্তে যে তত্ত্বাবধায়ক পরিষদই পাহাড়ে মূল শক্তি, সেটা বুঝতে পারছে কেন্দ্র। যদিও মোর্চা সমর্থিত বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার পাহাড়ের অনুগামীরা দাবি করেছেন, কেন্দ্র যে উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতি গুলিয়ে ফেলতে চায় না, এখানে সেটাই বোঝানো হয়েছে।
কেন্দ্রের বরাদ্দ পেয়ে স্বভাবতই খুশি বিনয় বলেন, ‘‘এই দফায় জিটিএ-কে কেন্দ্র দিয়েছে ১৩৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। আজ সিকিম থেকে ফিরেই বরাদ্দের চিঠি পেলাম। পর্যায়ক্রমে আরও ৩৬৫ কোটি টাকা পাওয়ার কথা।’’ এর জন্য তিনি রাজ্য ও কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘আগামী দু’বছরের মধ্যে বরাদ্দ অর্থ খরচ করে পাহাড়ে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটাতে জিটিএ বদ্ধপরিকর।’’ বিনয়ের সহযোগী অনীত থাপা বলেন, ‘‘পাহাড়বাসীর লক্ষ্যপূরণে আমরা যে ঠিক পথেই চলেছি, তা ফের একবার প্রমাণ হল।’’
এ দিকে, এ দিনই রোশন গিরির মাধ্যমে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাহাড়বাসীদের ‘গুড ফ্রাইডে’-র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। তবে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে ওই বার্তায় কোনও মন্তব্য নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy