প্রতীকী ছবি।
জামিন পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের দাদাগিরিতে অভিযুক্ত ভগবানপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা পিন্টু প্রধান। শ্লীলতাহানির পরে এ বার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রহৃত মতিলাল প্রধান আবার সম্পর্কে পিন্টুর কাকা।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য ছিল পিন্টুর দাদা নান্টু প্রধানের। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে থাকা নান্টু কিছু দিন আগে খুন হয়েছেন। তার পরপরই শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান পিন্টু। তিনি ছিলেন ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। তবে এ বার মনোনয়ন দেননি পিন্টু। মহম্মদপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সেকবাড়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন নান্টু-পিন্টুর বাবা চাঁদহরি প্রধান। ওই আসনেই বিজেপির প্রার্থী চাঁদহরিবাবুর ভাই মতিলাল।
গত বৃহস্পতিবার জামিন পেয়ে গ্রামে ফিরেছেন পিন্টু। অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মতিলালের বাড়িতে দলবদল নিয়ে চড়াও হন পিন্টু। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য কাকাকে চাপ দেন। মতিলাল রাজি না হওয়ায় কাকা, কাকিমা এবং খুড়তুতো ভাইকে পিন্টু ও তাঁর দলবল মারধর করেন বলে অভিযোগ। মতিলাল বলেন, ‘‘হঠাৎ ভাইপো পিন্টু সঙ্গীসাথীদের নিয়ে উপস্থিত হয়। ওদের হাতে ছিল লাঠি ও ধারাল অস্ত্র। প্রচণ্ড মারধর করে। কোনওরকমে পালিয়ে বেঁচেছি।’’ প্রাণভয়ে সারারাত খোলা মাঠে ছিলেন বলে দাবি ওই বিজেপি প্রার্থীর। শনিবার ভগবানপুর থানায় পিন্টু-সহ সাতজনের নামে মতিলাল অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পিন্টুর সঙ্গে এ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। তবে পিন্টুর বাবা সেকবাড়ের তৃণমূল প্রার্থী চাঁদহরিবাবু বলেন, ‘‘পিন্টু ওর খুড়তুতো ভাইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল, কেন আমার বিরুদ্ধে মতিলাল বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে। তারপর মতিলালের ছেলে রমেশই উত্তেজিত হয়ে পিন্টুকে লাঠি দিয়ে মাথায় মারে। পিন্টুর বন্ধুরা তার প্রতিরোধ করেছে।’’ মনোনয়ন প্রত্যাহারে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি বলেও দাবি চাঁদহরিবাবুর।
বিজেপির বক্ল সভাপতি দেবব্রত করের অবশ্য অভিযোগ, ‘‘চাঁদহরি প্রধান দিনে শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলেন আর রাতে ছেলের দুষ্কৃতী বাহিনী দিয়ে বিজেপির প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন। ভোটে জিততে নিজের ভাইকেও রেহাই দিচ্ছেন না উনি।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মদনমোহন পাত্রের দাবি, ‘‘মারামারি নয়, সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে। বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy