প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পঠনপাঠনের ত্রুটি খুঁজে বার করতে পর্যালোচনা শুরু করল স্কুলশিক্ষা দফতর। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্টেট কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-কে (এসসিইআরটি)। আগামী জুনে রাজ্য সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা এসসিইআরটি-র তৈরি এক বিশেষজ্ঞ কমিটির।
এসসিইআরটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি সারা দেশে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে এক সমীক্ষা করে কেন্দ্র। দফতরের এক কর্তা জানান, ওই সমীক্ষায় এই রাজ্যের ফল আশাব্যঞ্জক হয়নি। কেন খারাপ ফল হল রাজ্যের, তা জানতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই কাজের দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে এসসিইআরটি-কে।
এসসিইআরটি-র এক কর্তা জানান, রিপোর্ট তৈরির জন্য রাজ্যের সমস্ত স্কুলের তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করবেন এসসিইআরটি-র সদস্যেরা। পাঠ্যক্রম ও স্কুলে শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতি কী, তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হবে। এর জন্য কয়েকটি পৃথক দল গড়া হয়েছে।
পঠনপাঠনের ত্রুটি খুঁজতে আইসিএসই ও সিবিএসই-র পাঠ্যক্রমও খতিয়ে দেখবে ওই দলটি। বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের থেকে সরকারি ও সরকারের অনুদান পাওয়া স্কুলের পড়ুয়ারা কোথায় আলাদা, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। এর পরে সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করবে এসসিইআরটি-র বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই প্রস্তাবে পঠনপাঠনের ত্রুটি বিচ্যুতি-সহ সমস্যা সমাধানের দিশাও দেখানো থাকবে। বিকাশ ভবনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘যে ভাবে সময় পরিবর্তন হয়, সে ভাবে পাঠ্যক্রমও উন্নীত করা প্রয়োজন হয়। সেই পরিবর্তন এখনই দরকার কি না, তা দেখতেই এই গবেষণা।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে স্কুল স্তরে নতুন পাঠ্যক্রম চালু হয়েছিল, যা ‘বিজ্ঞানসম্মত’ বলে দাবি করা হয়। পাঁচ বছরের মাথায় ফের পাঠ্যক্রম বিশ্লেষণের প্রয়োজন কেন হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে শিক্ষা মহলের একাংশের ধারণা, পড়ুয়ার অভাবে স্কুল বন্ধ হওয়া এবং সম্প্রতি প্রকাশিত সর্বশিক্ষা মিশনের রিপোর্টে (২০১৬-’১৭) রাজ্যে বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানের কারণে সরকারের চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। তাই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy