পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থের মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার তার শুনানিতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ২৯ জুনের মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আবেদনকারী প্রদীপ চক্রবর্তীর আইনজীবী সুপ্রদীপ রায় জানান, ১৪ মে, ভোটের দিন বিভিন্ন দলের কর্মীরা হতাহত হচ্ছেন দেখে তিনি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে অনুরোধ করেন, হিংসা থামাতে আদালত হস্তক্ষেপ করুক। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভোটগ্রহণ চলছে। আদালতের পক্ষে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। আইনজীবী চাইলে ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনার অনুসন্ধান করে মামলা দায়ের করতে পারেন।
ওই আইনজীবীর দাবি, বিভিন্ন জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মামলা করেছেন প্রদীপবাবু। আবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এ রাজ্যের সরকার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে ব্যর্থ হয়েছে। ভোটে হিংসা আটকাতে পারেনি নির্বাচন কমিশনও। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার বলি ২৪ জন। জখম দেড় শতাধিক। তাঁদের মধ্যে গুরুতর জখম ৬০ জন।
হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী দেবাশিস ঘোষ জানান, মামলার কোনও গুরুত্ব নেই। কারণ, ভোট শেষ। ফলও বেরিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যে-এজলাসে জনস্বার্থ মামলা হয়, সেখানে মামলাটি পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী শুনানি ৬ জুলাই।
এর মধ্যে ভোটে জিতেও শংসাপত্র না-পাওয়ায় অভিযোগ জানাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির পাঁচ বিজেপি প্রার্থী। রাজ্যপালের কাছে বিজেপির অভিযোগ, তাদের প্রার্থীদের জয়ের শংসাপত্র না-দিয়ে সেগুলো তৃণমূলকে দেওয়া হয়েছে। পুনর্গণনার দাবি গ্রাহ্য হয়নি।
কমিশন সূত্রে জানানো হয়, পুনর্গণনার সময়ে বলা হলে কিছু করার উপায় ছিল। এখন আইনত এ বিষয়ে কিছু করণীয় নেই। বিভিন্ন জায়গায় ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় তারা চিন্তিত বলে জানায় কমিশন। হাওড়ায় পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই বেশ কিছু আসনে পুনর্গণনার দাবিতে আজ, মঙ্গলবারেই মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy