পশ্চিমবঙ্গও রাজি ‘মোদী কেয়ার’-এ, বলছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনও এখন পর্যন্ত ‘না’ বলেনি এই প্রকল্পে। তবে পশ্চিমবঙ্গ কী ভাবে এটি রূপায়ণ করবে, তা রাজ্যের উপরেই ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র। আর রাজ্য সরকারও কেন্দ্রের টাকায় নিজেদের চলতি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে চায় আরও বেশি লোকের কাছে।
লোকসভা ভোটের আগে দেশের ১০ কোটি গরিব পরিবারকে বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার পোশাকি নাম ‘আয়ুষ্মান ভারত’। বিজেপি এর নাম দিয়েছে ‘মোদী কেয়ার’। বাজেটে এই প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্য সংশয় প্রকাশ করে আসছে। কারণ সরকারি হাসপাতাল পর্যাপ্ত নয়, বেসরকারি চিকিৎসা বহু মানুষের নাগালের বাইরে। নোটবন্দি, জিএসটির মতো ভোগান্তিরও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নড্ডার অবশ্য দাবি, গোটা দেশেই যাতে এটি চালু করা যায়, তার জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে বিশদ আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে সব রাজ্যের আপত্তি ছিল, তারাও রাজি হয়েছে। তবে রাজ্যগুলি নিজেদের প্রকল্পের সঙ্গে এটি মিশিয়ে দেবে, কিংবা সমান্তরাল প্রকল্প চালাবে— সেটা তারই ঠিক করবে। আর সে কারণেই সব রাজ্যের সঙ্গে আলাদা আলাদা সমঝোতা পত্র সই হবে।
রাজ্য সরকারের সূত্রের মতে, পশ্চিমবঙ্গে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ও ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের অধিকাংশকেই ‘মোদী কেয়ার’-এ সামিল করা যেতে পারে। তাতে বিমার অর্থও কেন্দ্রের থেকে অনেকটা আদায় করে নেওয়া যাবে। কারণ, কেন্দ্র এই প্রকল্পে ৬০ শতাংশ টাকা দেবে। বাকিটা দেওয়ার কথা রাজ্যের।
কিন্তু কেন্দ্রের এখনও সংশয় রয়েছে, সব রাজ্য এক সঙ্গে এই প্রকল্পে সম্মতি দিতে পারবে কি না। কারণ, গরিবদের একটি প্রাথমিক তালিকা থাকলেও সেটি এ মাসের মধ্যে যাচাই করা হচ্ছে। এর পর মে মাসের মধ্যে দরপত্র ডাকার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। জুন মাসে শুরু হবে পরীক্ষা। প্রিমিয়ামের অঙ্ক কত হবে, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হলেই প্রকল্প চালু হবে। যাতে জিএসটি কিংবা নোটবন্দির মতো প্রকল্প শুরুর পরে হোঁচট খেতে না হয়। প্রাথমিক ভাবে ২ অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তীতে এই প্রকল্প চালু করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী চান অগস্টের মধ্যেই এটি চালু করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy