Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

তিন নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ শিক্ষকের

গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ছাত্রীর কাকা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৫৯
Share: Save:

স্কুল ছুটির পরে চতুর্থ শ্রেণির তিন ছাত্রীকে পৃথক ভাবে ক্লাসরুমে আটকে রেখে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে তাদের যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ছাত্রীর কাকা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত করে গত শুক্রবার ব্রজেন দেবশর্মা নামে ৫০ বছর বয়সী অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫১১, ৩৭৬ নং ধারায় ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্রজেনের বাড়ি রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকায়। তিনি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পুলিশের দাবিক, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষকের আর কোনও খোঁজ নেই।

কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি দিব্যেন্দু দাসের দাবি, শুক্রবার ওই তিন ছাত্রীর মধ্যে দু’জনের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। বাকি এক ছাত্রী দাবি করেছে, ওই শিক্ষক তাকে শুধু কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানির বক্তব্য, পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনও আলাদা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে।

ওই তিন ছাত্রীর বয়স ১০ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। এক ছাত্রীর কাকার অভিযোগ, গত ৭ এপ্রিল স্কুল ছুটির পর অভিযুক্ত শিক্ষক ব্রজেন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাঁর ভাইঝিকে ক্লাসরুমে অপেক্ষা করতে বলেন। সব পড়ুয়া চলে যাওয়ার পরে সেই ঘরে আসেন শিক্ষক। তার পরে মেয়েটিকে অশ্লীল ভিডিও দেখান এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন বলে অভিযোগ করেন কাকা। অভিযোগ, তার পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করেন। ছাত্রী ভয়ে কান্নকাটি জুড়ে দিলে বেগতিক বুঝে তাকে ছেড়ে দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। কাকার দাবি, তবে এই নিয়ে মুখ খুললে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় মেয়েটিকে।

পরিবারের দাবি, এর পরে মেয়েটি স্কুলে যেতে চাইছিল না। তখন বাড়ির লোক চাপাচাপি করলে সে সব ঘটনা জানায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ওই ছাত্রীর পড়শি, ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির আরও দুই ছাত্রী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক তাদেরও পৃথক ভাবে ক্লাসরুমে আটকে মোবাইল ফোন অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে যৌন নিগ্রহ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ব্রজেনের দাবি, কিছু লোক কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তাঁর কথায়, স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাঁর সন্তানতুল্য। তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার কথা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE