ফাইল চিত্র।
গভীর নিম্নচাপের দাপট সামলে মাথা তুলতে না-তুলতেই ফের আঘাত!
সীমান্তপারের পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরের দিকে এগিয়ে আসতেই ফের দু্র্বল হতে শুরু করেছে শীত। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রার হালহকিকত খতিয়ে দেখে এমনটাই জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
পশ্চিমের হানাদার ঝঞ্ঝা নিয়ে হাওয়ামোরগের হুঁশিয়ারি ছিলই। তবে আঘাতটা যে এত তাড়াতাড়ি আসবে, বাংলার শীতপ্রেমীরা তা ভাবতে পারেননি। পৌষের প্রথম দিনে শীত ঘুরে দাঁড়ানোয় আহ্লাদিত হয়েছিলেন তাঁরা। ঠিক দ্বিতীয় দিনেই তার পিছু হটা শুরু হতে একই ভাবে গ্রাস করেছে দুশ্চিন্তা। দিল্লির মৌসম ভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝাটি (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী হাওয়া) এখনও এ দেশে ঢোকেনি ঠিকই। কিন্তু পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় রাতের তাপমাত্রা বেয়াড়া ভাবে স্বাভাবিকের উপরে রয়েছে। এর ফলে আগামী কয়েকটা দিন গাঙ্গেয় বঙ্গেও শীতের কামড় দুর্বল হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: তথ্য লুকোলেই বন্ধ শিক্ষকের বাড়িভাড়া
নিম্নচাপ, পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বরাবরই শীতের পথে পাথর ছড়ায়। এ বারেও আঘাত হানতে কসুর করেনি তারা। তবে গভীর নিম্নচাপ আর একটি ঝঞ্ঝার প্রকোপ সামলে রবিবার, প্রায় দিন সাতেক পরে কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি নীচে নেমেছিল। ডিসেম্বরের এই পর্বে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে থাকাটাই দস্তুর। সেই জায়গায় পারদের যতটুকু পতন হয়েছিল, সোমবার সেটুকুও স্থায়ী হল না। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিক। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার পরিস্থিতিও প্রায় একই। শুধু শ্রীনিকেতনে একটু কড়া ঠান্ডা মালুম হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরেই থাকবে।
উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতি একই রকম। দক্ষিণবঙ্গে শীত না-পেলে বাংলা প্রবোধ খোঁজে উত্তরে। কিন্তু তরাই-ডুয়ার্সের জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের উপরে। সকালের দিকে হচ্ছে কুয়াশাও। পৌষেও উত্তরবঙ্গে কেন শীত নেই, তা নিয়ে জল্পনার সঙ্গে সঙ্গে আক্ষেপ রয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
হাওয়া অফিসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর ভারতের পরিমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঢুকবে এবং সেই জলীয় বাষ্প তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেবে। উত্তুরে হাওয়া সেখান থেকে কনকনে ঠান্ডা বয়ে আনতে পারবে না। তার ফলে তাপমাত্রা বাড়বে। ঝঞ্ঝা কেটে গেলে ফের সেখানে তাপমাত্রা দ্রুত নামবে। কিন্তু তাতে এ রাজ্যের শীত-ভাগ্য কতটা খুলবে, নিশ্চিত নন আবহবিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঝঞ্ঝাটি যদি পূর্ব ভারতের দিকে বয়ে আসে, তা হলে উত্তুরে হাওয়ার পথ রুদ্ধ হবে। তখন রাজস্থান, হরিয়ানায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও শীত নিয়ে আক্ষেপ করতে হবে বাঙালিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy