রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে জেরা করে এ বার তাঁর ব্যবসার প্রধান সহযোগীদের নাম-ধাম পেতে চাইছে ইডি। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সারদার তদন্তে দেখা গিয়েছে, ব্যবসার জন্য একদল ঘনিষ্ঠ কর্মীকে দায়িত্ব দেন সুদীপ্ত সেন। তাঁদের কেউ দেখতেন প্রশাসন, কেউ সংস্থার আর্থিক লেনদেন। গৌতমবাবুরও এমন একটি দল রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
গত বুধবার রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু গ্রেফতার হন। আদালতের নির্দেশে তিনি এখন ইডি-র হেফাজতে রয়েছেন। শুক্রবার জেরার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এসএসকেএম-এ চিকিৎসার পরে গৌতমবাবুকে ইডি-র দফতরে ফিরিয়ে আনা হয়।
ইডি সূত্রের খবর, শনিবার সকাল দশটা থেকে গৌতমবাবুকে ফের জেরা করেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু নামও তাঁরা পেয়েছেন। এ বার সেই নামের তালিকা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে বলে খবর। ইডি-র এক কর্তার বক্তব্য, সুদীপ্তের প্রধান সহকারীদের জেরা করেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সারদার ঘনিষ্ঠতার কথা জানা গিয়েছিল।
ইডি-র একটি সূত্রের দাবি, এ দিন গৌতমবাবুকে বেশি ক্ষণ জেরার সময় মেলেনি। এক বার তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক এসেছিলেন। তাঁর পরিবারের কয়েক জনও দেখা করেন। দুপুরে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম করতে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে তাঁকে জেরা করে ঘনিষ্ঠ কর্মীদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি রোজ ভ্যালির বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য নিয়েও জানতে চান ইডি-র তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের একাংশ জানান, রোজ ভ্যালির ক্ষেত্রে অনেক তথ্যই এখনও তাঁরা হাতে পাননি। সেগুলি উদ্ধার করা এখন বড় কাজ তাঁদের। সারদার থেকে রোজ ভ্যালির ব্যবসা বহরে অনেক বড় হওয়ায় নথি ও প্রমাণ সংগ্রহে কিছুটা বেগ পেতে হবে বলেও মনে করছেন তাঁরা ।
পুলিশ জানায়, রোজ ভ্যালির কর্ণধারকে গ্রেফতারের পরই সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে বিক্ষোভ দেখান সংস্থার কর্মী ও এজেন্টদের একাংশ। বৃহস্পতিবার গৌতমবাবুকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে ইডি কর্তা ও বিধাননগর পুলিশের মধ্যে কথাও হয়েছে। তার পর থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালেও বিক্ষোভকারীদের একটি দল সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু ১৪৪ জারি থাকায় পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। এর পরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কিছু দূরে ময়ূখ ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy