Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষিতার পক্ষ নিয়ে খুন মহিলা

নিহতের বড় মেয়ে রেণু সিংহের অভিযোগ, ‘‘তিন মাস আগে এলাকায় একটি মেয়ে ধর্ষিত হয়। নির্যাতিতাকে অভিযোগ না জানাতে অভিযুক্তের পরিবার চাপ দেয়।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪৩
Share: Save:

মাস তিনেক আগে এলাকায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরব হন মা-মেয়ে। থানায় নিয়ে যান নির্যাতিতাকে। তার জেরেই মাকে খুন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ মেয়ের। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির ঘটনা। খুনের অভিযোগ হয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন থানার সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

কুলটি থানা থেকে বড়জোর ৫০ মিটার দূরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন গীতা দেবী (৫৮) নামে কুলটির থানা-মাঠপাড়া এলাকার এক বিধবা। পুলিশ সূত্রের খবর, মোটরবাইকে চড়ে আসা তিন আততায়ী তাঁকে সামনে থেকে গুলি করে। মহিলার বুকের বাঁ দিক ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে যায়। শুক্রবার আসানসোল হাসপাতালে ময়না-তদন্ত হয়। এ দিন দুপুরে দেহ হাতে পেয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান নিহতের পরিবারের সদস্য ও পড়শিরা। প্রায় তিন ঘণ্টার বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে যায় স্টেশন রোড।

আরও পড়ুন: কমিশন কই, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

নিহতের বড় মেয়ে রেণু সিংহের অভিযোগ, ‘‘তিন মাস আগে এলাকায় একটি মেয়ে ধর্ষিত হয়। নির্যাতিতাকে অভিযোগ না জানাতে অভিযুক্তের পরিবার চাপ দেয়। কিন্তু আমি ও মা নির্যাতিতাকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে। আমাদের ধারণা, তারই বদলা নিতে মা-কে খুন করা হয়েছে।’’

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের অভিযোগে আখতার হুসেন নামে এক জনকে ধরা হয়। আখতার জেল-হাজতে রয়েছে। তবে খুনের ঘটনায় আখতার-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গীতাদেবীর পরিবারের অভিযোগ, জেলে বসেই খুনের পরিকল্পনা করে আখতার। আর ধর্ষণের অভিযোগ জানানোয় উদ্যোগী হওয়ায় গীতাদেবী ও রেণুকে প্রাণে মারার হুমকি দেন তার দুই পরিচিত।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস জানান, খুনের ঘটনায় দু’জনকে জেরা করা হচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরব হওয়ার ‘আক্রোশে’র জেরে এই খুন কি না, তা দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE