Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

মেরামতির খরচ নিয়ে সুজন-বিমান জোর তরজা

সাড়ে ১২ লক্ষ নয়, মাত্র ১২ হাজার টাকাতেই বিধানসভার ভাঙচুর হওয়া আসবাব ও মাইক্রোফোন সারিয়ে দিতে পারেন বলে গত বৃহস্পতিবার স্পিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। কার্যত বিধানসভার পূর্ত, বিদ্যুৎ ও অসামরিক দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৯
Share: Save:

সাড়ে ১২ লক্ষ নয়, মাত্র ১২ হাজার টাকাতেই বিধানসভার ভাঙচুর হওয়া আসবাব ও মাইক্রোফোন সারিয়ে দিতে পারেন বলে গত বৃহস্পতিবার স্পিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। কার্যত বিধানসভার পূর্ত, বিদ্যুৎ ও অসামরিক দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। কারও নাম না করে সোমবার তার জবাব দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিধানসভা ভোটের পরে বাম পরিষদীয় দলের ঘর এবং নিজের ঘর মেরামতির জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিলেন সুজনবাবু। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিমানবাবুর তির্যক মন্তব্য, ‘‘যাঁরা ১২ হাজার টাকায় আসবাব সারাতে পারবেন বলছেন, বিধানসভায় তাঁদের পছন্দ অনুয়ায়ী ঘর মেরামত করতে ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৯৫ টাকা লেগেছে। এত খরচ নিয়ে কিন্তু কেউ প্রশ্ন তোলেননি!’’ সুজনবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ঘর মেরামতে যত লাগে, ৪টে মাইক সারাতেও যদি তা-ই লাগে, তবে তো আমরা পাগলের রাজত্বে বাস করছি।’’ এই তরজার সময়ে বাম-কংগ্রেসের কোনও সদস্য সভায় ছিলেন না।

সুজনবাবু ১২ হাজার টাকায় মেরামতের কথা বলায় স্পিকার দু’দিনের মধ্যে সে কাজ করে ফেলতে বলেছিলেন। আশ্বাস দেন, এত অল্প খরচে মেরামতি সম্ভব হলে বিধানসভার তহবিল থেকেই টাকা মেটানো হবে। যদিও শনিবার দুপুর পর্যন্ত সুজনবাবুদের তরফে কেউ তাঁর কাছে যাননি বলে স্পিকারের অভিযোগ। কেন যাননি, তার ব্যাখ্যা দিতে সুজনবাবু বলেন, ‘‘বাইরের কাউকে দিয়ে বিধানসভায় কাজ করাতে গেলে তো ওয়ার্ক অর্ডার লাগে। স্পিকার তা দেননি। আমাদের জন্য শনিবার পর্যন্ত যে অপেক্ষা করা হয়েছে, তা-ও তো কেউ জানাননি!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sujan Chakraborty Speaker Vidhan Sabha CPIM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE