কাজ: নকশায় বদল করে কাজ পুরোদস্তুর শুরু। নিজস্ব চিত্র
নকশাতে ত্রুটি ধরা পড়ায় প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল শিলিগুড়ি গেটের কাজ। ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ মতো নকশায় বদল করে পুরোদস্তুর গেটের কাজ শুরু হল। শনিবার গভীর রাতে গেটের মূল স্তম্ভের মাথায় অংশ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, এর জন্য রাত ১০টার পর থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশ কমিশনারেটের সামনের অংশে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রাত ২টো অবধি কাজ হলেও প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য অবশ্য স্তম্ভের মাথার লোহার ফ্রেমের অংশ বসানো সম্ভব হয়নি। রবিবার রাত ১০টার পর ফের কাজ শুরু হতেই যান নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বিকল্প রুটে সমস্ত গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দার্জিলিং মোড় লাগোয়া ওই গেটের জাতীয় সড়কের অংশটি অত্যন্ত ব্যস্ত বলে পরিচিত। রাতদিন সেখান দিয়ে গাড়ি চলাচল করে। ইসলামপুরের দিক থেকে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত গাড়ি, বাস, ট্রাক শহরে এখান দিয়েই ঢোকে। আবার সিকিম, কালিম্পং, ডুয়ার্সের দিক থেকে গাড়ি ওই পথেই দক্ষিণবঙ্গের দিকে যায়। এ ছাড়া শিলিগুড়ির সঙ্গে মাটিগাড়ার মূল সংযোগকারী রাস্তা ওই অংশ দিয়েই যায়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অফিসারদের সঙ্গে আলোচনার পর পুলিশ ঠিক করেছে, রাত ১০টা থেকে ২টো অবধি কাজের সময় ঠিক হয়েছে। যত ক্ষণ রাস্তার ধারে কাজ চলবে, তত ক্ষণ জাতীয় সড়ক খোলা থাকছে। স্তম্ভের মাথায় কাজ শুরু হতেই বাইরের সমস্ত গাড়িটিকে মেডিক্যাল মোড়-নৌকাঘাট হয়ে ঘুরপথে যাতাযাত করানো হচ্ছে। এ ছাড়া ঝংকার মোড়ের চতুর্থ মহানন্দা সেতু এবং জংশনের রেল ওভারব্রিজ দিয়েও ছোট গাড়ি চলবে।
শিলিগুড়ির ডিসি (ট্রাফিক) সুনীল যাদব বলেন, ‘‘গেটের মাথায় কাজের জন্য কোনও ঝুঁকি নেওয়া হবে না। রাতে রাস্তা কাজের সময় বন্ধ থাকবে। মাথার অংশ জোড়া হয়ে গেলেই স্বাভাবিক ভাবে জাতীয় সড়ক রাতে খোলা থাকবে।’’
২০১৫ সালের পর গৌতম দেব উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকাকালীন ওই গেট তৈরির পরিকল্পনা নেন। ৪ কোটি টাকা দিয়ে খরচ করে কাজ শুরু হয়। দু’পাশের স্তম্ভ পাকা হলেই উপরের অংশ কাচের করার কথা ছিল। কিন্তু নকশায় ত্রুটি ধরা পড়ে। তা হেলে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। গৌতমবাবু কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। রাইটসকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়। নকশায় পরবির্তন করে কাচের বদলে হালকা ফাইবার গ্লাস দেওয়া এবং ফ্রেমেও কিছু অদলবদল করা হয়।
এর পরে প্রায় দু’বছর কাজ বন্ধ ছিল। উত্তরবঙ্গে সফরে এসে বাগডোগরা থেকে শহরে ঢোকার সময় অসমাপ্ত কাজটি মুখ্যমন্ত্রীর নজরেও আসে। গত নভেম্বরের শেষে তিনি দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। আসরে নেমে নতুন নকশায় কাজ করে গেটটি চালুর করার নির্দেশ দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy