কোন ১২৪টি ব্লকে অংশগ্রহণভিত্তিক নিবিড় পরিকল্পনা রচনা পদ্ধতি (ইনটেনসিভ পার্টিসিপেটরি প্ল্যানিং এক্সারসাইজ) মেনে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হবে, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সে তালিকা তৈরি করে ফেলল রাজ্য সরকার। শুধু তা-ই নয়, ২০১৫-২০১৬ আর্থিক বছর থেকে ওই ব্লকগুলোতে প্রকল্প রূপায়ণ করতে রাজ্য পর্যায়ে আধিকারিক নির্বাচন করে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই সব আধিকারিকেরা জেলা পর্যায়ের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, জেলা পর্যায়ের আধিকারিকেরা দেবেন ব্লক পর্যায়ের আধিকারিকদের। এই সব প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যদের নিয়ে বসে শ্রম বাজেট-সহ প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিষয় রচনা করবেন। বৈঠকে গ্রামবাসী বিশেষ করে জব-কার্ডধারীদেরও ডাকার কথা বলা হয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পরেই কেন্দ্রের নতুন সরকার জানিয়ে দেয়, ১০০ দিনের প্রকল্পে সব ব্লককে সমান গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পিছিয়ে পড়া ব্লকগুলিতে এই কাজের উপরে গুরুত্ব দেয় তারা। কোন রাজ্যে কত ব্লককে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তার তালিকা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪১টি ব্লকের মধ্যে ১২৪টিকে এই তালিকায় আনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচিত ব্লকের তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকেই। ১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের এই নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষিত হতেই বিতর্ক দেখা দেয়। কংগ্রেস, সিপিএম-সহ নান রাজনৈতিক দল তো বটেই, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই নীতির সমালোচনা করেন। সব ব্লককেই ১০০ দিন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, পিছিয়ে পড়া ব্লকগুলিতে নিবিড় ভাবে প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হবে। বাকি ব্লকগুলিতেও প্রকল্পটি চালু থাকবে। তবে কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেও বিতর্ক থামেনি।
এই বিতর্কের মধ্যেই অবশ্য রাজ্য ১২৪টি ব্লকের তালিকা তৈরির কাজে হাত লাগায়। কী কী মাপকাঠির ভিত্তিতে সেই তালিকা তৈরি করতে হবে তার একটি নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্র। প্রশাসন সূত্রের খবর, যোজনা কমিশন যে যে মাপকাঠিতে ‘পিছিয়ে পড়া’ ব্লক বাছাই করে, সেই সেই মাপকাঠি সংবলিত নির্দেশিকাই কেন্দ্র রাজ্যগুলির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল।
প্রকল্পের রাজ্য কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রের মাপকাঠি অনুসরণ করতে হলে কয়েকটি জেলা বাদ পড়ে যেত। আমরা চেয়েছিলাম, প্রতিটি জেলার কিছু কিছু ব্লক এই প্রকল্পের সুযোগ পাক।’’ সেই লক্ষ্যে ২০১১ সালের জনগণনার রিপোর্টের সাহায্য নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে, ব্লকে তফসিলি জাতি ও উপজাতির সংখ্যা, গড় রোজগার, কৃষির উপরে নির্ভরশীলদের সংখ্যার মতো বিষয় মাপকাঠি হিসেবে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy