Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

চোখের সামনে ফেডেরার জকোভিচ

মাত্র কয়েক হাত দূরের সেই দৃশ্য দেখে নিজেকে চিমটি কাটতে ইচ্ছে করতেই পারে! দিল্লিতে ফেডেরার-জকোভিচ লড়াই পাশাপাশি বসে দেখছেন সাম্প্রাস-বেকার! স্টেডিয়ামে বসে সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়-এর মনে হল প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘লাইফ ইজ কমপ্লিট, নো রিগ্রেটস’ কথাটা ধ্রুব সত্যমাত্র কয়েক হাত দূরের সেই দৃশ্য দেখে নিজেকে চিমটি কাটতে ইচ্ছে করতেই পারে! দিল্লিতে ফেডেরার-জকোভিচ লড়াই পাশাপাশি বসে দেখছেন সাম্প্রাস-বেকার! স্টেডিয়ামে বসে সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়-এর মনে হল প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘লাইফ ইজ কমপ্লিট, নো রিগ্রেটস’ কথাটা ধ্রুব সত্য

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০০
Share: Save:

ভারতের কোর্টে রজার বনাম জোকার যুদ্ধ!

এ দেশ স্বচক্ষে পেলে-মারাদোনা-মেসি দেখেছে। উসেইন বোল্ট-এমিল জ্যাটোপেক-কার্ল লুইস দেখেছে। দিল্লিতেই সাম্প্রতিক অতীতে ঘুরে গিয়েছেন টাইগার উডস। শহরের অদূরে নয়ডার বুদ্ধ সার্কিটে ড্রাইভ করে গিয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লুই হ্যামিলটন। আইপিটিএলের মধ্যেই তো নিঃশব্দে তাজমহল দেখে গেলেন স্টেফি গ্রাফ! কিন্তু কোনও খেলার টাটকা বিশ্বসেরা আর সেই ইভেন্টেই সর্বকালের সেরা নিজেদের টপ ফর্মে থাকা অবস্থায় পরস্পরের বিরুদ্ধে যুযুধান—এমন অলৌকিক ফ্রেম বোধহয় ভারতবাসী স্বপ্নেও কখনও দেখেনি!

কিন্তু ৮ ডিসেম্বর ২০১৪-র পরে সেটাও আর এ দেশের কাছে কল্পনা নয়। ঘোরতর বাস্তব। তবে সেই মহাকল্পনা যদি কয়েক হাত মাত্র দূরে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একটু-একটু করে ঘোর বাস্তবে দৃশ্যমান হতে থাকে, তখন যে দেখছে তার তো নিজেকে চিমটি কাটতে ইচ্ছে করতেই পারে! যে, চোখের সামনে যা ঘটছে সেটা স্বপ্ন না সত্যি!

কোর্টের ধারেই পাতা স্পেশ্যাল বার টুল্‌স-এ বসে ফেডেরারের খেলা উপভোগ করছেন পিট সাম্প্রাস আর বরিস বেকার। এক জন ফেডেরারের মতোই সাত বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। অন্য জন উইম্বলডনের সর্বকালীন ওয়ান্ডার বয়। মাত্র আঠারো বছরে ওয়াইল্ড কার্ডধারী থেকে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন! এক জন যদি স্বয়ং ফেডেরারের আইডল প্লেয়ার হয়ে থাকেন, তো অন্য জন বর্তমানে জকোভিচের কোচ। কিন্তু আজ সেসবেও নিকুচি করেছে রজারের ভারতীয় ভক্তদের! ফেডেরার-জকোভিচ লড়াই স্টেডিয়ামে পাশাপাশি বসে লাইভ দেখছেন সাম্প্রাস-বেকার! এ দৃশ্য কে কোথায় কবে এর আগে দেখেছে গুগল সার্চে গিয়েও বার করা কঠিন! কিন্তু এমন মহাগুরুপাক ফ্রেমেও ইন্দিরা গাঁধী ইন্ডোরের দর্শকদের বদহজমের কোনও সিন নেই যেন! তারা যে ঘোরতর ফেডেরার-সিনড্রোমে আক্রান্ত! একটা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখলাম—‘লাইফ ইজ কমপ্লিট। নো রিগ্রেটস’! একেবারে ধ্রুবসত্য। ফেডেরার ফ্যানের মননে।

যার একটু দূরে মাথার ওপর বিশাল প্ল্যাকার্ডটা তুলে ধরে পাগলের মতো চিত্‌কার করে চলেছেন অত্যাধুনিক পোশাকে সুন্দরী টিনএজার। “উইল ইউ ম্যারি মি রজার?” প্ল্যাকার্ডে লিখে আনা স্লোগানটাই চিত্‌কার করে বলে চলেছে নাগাড়ে। এক-এক সময় মনে হচ্ছিল, স্টেডিয়াম চত্বরটায় শুধু যদি একটু স্ট্রবেরি আর ক্রিম মিলত! কিংবা কোর্টের মাথার ওপর দিয়ে মাঝেমধ্যে খেলা চলার মধ্যেই গোঁ গোঁ শব্দে ফ্লাইট যাতায়াত করত! তা হলে হুবহু গ্র‌্যান্ড স্ল্যাম আবহ। দিল্লির বুকে এক টুকরো উইম্বলডন অথবা ইউএস ওপেন!

সাধে কি আর ফেডেরার-জকোভিচ মহাযুদ্ধ রাত দশটার ইন্দিরা গাঁধী ইন্ডোরের প্রেসবক্সে বসে চেটেপুটে নিতে নিতে মনে পড়ে যাচ্ছিল ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’-এ ফেলুদার সেই সংলাপ? ‘‘...কাশীতে বিশ্বনাথের মন্দির তো সবাই দ্যাখে, বিশ্বশ্রীর মন্দির আর ক’জন দ্যাখে বলুন?”

সত্যিই তো! দিল্লিতে কুতুবমিনার বা গায়ে-গায়ের আগ্রায় তাজমহল তো সবাই দ্যাখে, ফেডেরার-জকোভিচ হাইভোল্টেজ টেনিস মহারণ আর ক’জন দেখতে পারে বলুন!


ফেডেরারের আরও ছবি দেখতে হলে ABP AR APP-টি
ডাউনলোড করে এই ছবিটি স্ক্যান করুন

আরও সোজাসাপ্টা— এ দেশের মাটিতে এমন মহার্ঘ দৃশ্য আর ক’জন দেখতে পায়! ফেডেরার কী! কেমন বস্তু! হোটেলেই আমার রুমের ঠিক উল্টো দিকের ঘরে রাত একটাতেও তার নিদর্শন পেয়েছি দিল্লিতে। অনলাইনে সতেরো হাজার টাকার টিকিট কেটে হায়দরাবাদ থেকে আসা ফেডেরার-ভক্ত তরুণ বঙ্গসন্তান আইটি এক্সিকিউটিভের ঘরের চতুর্দিকে অত রাতেও পেন্সিল, রং, তুলি, কাঁচি, স্কেল, বড় বড় সাদা আর রঙিন বোর্ড পেপার ছড়ানো-ছেটানো! সব ক’টায় রজার ফেডেরারের নানা ভঙ্গির কাট আউট আর স্লোগানে স্লোগান!

“কী রকম হয়েছে বলুন? কেমন বানিয়েছি আমার ভগবানের জন্য প্ল্যাকার্ডগুলো? কাল স্টেডিয়ামে সারাক্ষণ এক-একটা তুলে ধরব। দেখি ব্যাটা টিভি ক্যামেরা একবারও জুম করে স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখায় কি না? না দেখালেও কুছ পরোয়া নেহি! কোর্ট থেকেও রজারের চোখে পড়তে পারে এগুলো!” ছেলেটার চোখ দুটো প্রবল উত্তেজনায় চকচক করে উঠল।

ওরকমই ফেডেরার-পাগলে ডিসেম্বরের গোড়ার রাজধানী ভর্তি! ইন্দিরা গাঁধী ইন্ডোরের আঠারো হাজারের গ্যালারি তো বটেই। স্টেডিয়ামের বাইরেও দুপুর থেকে গভীর রাত— যতক্ষণ আইপিটিএল চলছিল, ‘র-জা-র র-জা-র’ শব্দব্রহ্মে এক-একটা সময় কান পাতা দায়! স্বয়ং টেনিসের রাজা রজারের একই অবস্থা। দিল্লিতে তিন দিনের ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার টেনিস লিগের শেষ দিন ইন্ডিয়ান এসেসের জার্সিতে সর্বকালের গ্রেটেস্ট টেনিস প্লেয়ার যখন এই মুহূর্তে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরের বিরুদ্ধে খেলছেন, হাজার হাজার ভক্তকুলের হিস্টিরিয়াপনায় কোর্টেই নিজের কানে একবার আঙুল দিলেন। এমন কানফাটানো চিত্‌কার!

সতেরোটা গ্র‌্যান্ড স্ল্যাম। একটানা আড়াইশোরও বেশি সপ্তাহ বিশ্বের এক নম্বর থাকা। দীর্ঘ তিন দশকের পেশাদার ট্যুরের নিংড়ে নেওয়া ম্যারাথন কেরিয়ারে একবারের জন্যও কোনও বড় ধরনের চোটের শিকার না হওয়া। টেনিসের কোনও শটেই সামান্যতম দুর্বলতা না থাকা। খেলাটার ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাইজমানি জেতা। নিজের ট্রফি ক্যাবিনেটে সমস্ত খেতাব ঢুকে পড়া—শুধু কি এগুলোই রজার ফেডেরার বুঝতে যথেষ্ট?

কয়েক হাত দূর থেকে টেনিসের ভগবান দর্শনের পর ফেডেরার-ভক্তের নির্ঘাত মনে হবে, ওগুলো রজারকে বড়জোর পঁচিশ শতাংশ চেনাবে। ফেডেরারের বাকি পঁচাত্তর শতাংশ বুঝতে মানুষটাকে জরিপ করতে হবে। কোর্টে। কোর্টের বাইরে। সাইডলাইনে।

প্রেস মিটে। হোটেলের লবিতে। টিভি ক্যামেরার সামনে। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে। ফেসবুকে। সেলফিতে। পেশাদার ট্যুরের সতীর্থদের সঙ্গে। কেরিয়ারের প্রথম টিম টেনিসে যোগ দিয়ে ইন্ডিয়ান এসেস-এর টিমমেটদের সঙ্গে মহানায়কের বিরলতম নাচে!

টিভিতে এক যুগ ধরে অজস্র ফেডেরার-ম্যাচ দেখেও যেটা ধরা পড়ে না, স্বচক্ষে ফেডেরার-লাইভ দর্শনে সেটা ধরা গেল। লোকটা কী অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় বেসলাইন থেকে ছিটকে বেরোয় নেটের সামনে! বিদ্যুত্‌ গতিতে। চিতাবাঘের ক্ষিপ্রতায়। এবং পুরোটাই নিঃশব্দে। অথচ আমার-আপনার মতোই স্টেপে! কিন্তু সেই পদক্ষেপগুলো কী অনির্বচনীয়। যেন হাওয়ায় উড়ছে!

ভারতের কোর্টে প্রথম পা রেখে সতীর্থদের সঙ্গে হাই ফাইভ, কিসিং সবই হল। কিন্তু কোথায় যেন বিশ্বের অন্য সব টেনিস তারকার সঙ্গে টেনিসের ভগবানের একটা অদৃশ্য দূরত্ব সেখানে সারাক্ষণ বিরাজ করে গেল। সম্ভ্রমের দূরত্ব। অনেকটা উত্তমকুমারের সঙ্গে যেমন ছিল বাকি টলিউডের। সতীর্থ ইভানোভিচ, সানিয়া, মফিঁস বলুন! কিংবা অপোনেন্টের সঙ্গা, ওজনিয়াকি, চিলিচরা বলুন! সবাই ফেডেরারের সঙ্গে স্বাভাবিক গল্প-আড্ডা মারলেও কোথায় যেন তার ভেতরেও তারকা আর মহানায়কের সূক্ষ্ম ব্যবধান!

টিভিতে আর যেটা পুরো ধরা পড়ে না—টেনিসের সর্বকালের সেরা প্লেয়ারের গ্ল্যামার! শুধু অসম্ভব ফিট-ই নন। দেবদূতের মতো চেহারা। সাধে কী আর কোর্টে আমির খান-দীপিকা পাড়ুকোনদের পাশেও দিব্যি গ্ল্যামারে টক্কর দেন তিনি! ফেডেরারকে নিয়ে বলিউডের টেনিস-তামাশাও দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, রজার-দীপিকা কেবল কোর্টে মিক্সড ডাবলসেই নন, বলিউড ছবিতেও জুটি হতে পারেন।

অথচ তিনি ফেডেরার কী অদ্ভুত সাধারণ! কী অসাধারণ নম্র! কী অবিশ্বাস্য ডাউন টু আর্থ! সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে পা রাখলেও নিজের পা সারাক্ষণ মাটিতে রাখা! ভারতে তাঁর একমাত্র প্রেস কনফারেন্সের মাঝপথে সাউন্ড সিস্টেম ফেল করে বসল। উদ্যোক্তারা প্রমাদ গুনছেন। এই বুঝি মহানায়কের মেজাজ বিগড়ে যায়। সাংবাদিক সম্মেলন অসমাপ্ত রেখেই না উঠে পড়েন। সাংবাদিককেরা ইতস্তত করছেন, বিনা মাইকে এত বড় তারকাকে প্রশ্ন করা উচিত কি না।

ওমা! ফেডেরার একবার তাঁর সামনের টেবিলের ওপর রাখা মাইকটায় বারদুয়েক আঙুলে টুস্‌কি মেরে বলে উঠলেন, “মনে হচ্ছে, সাউন্ড চলে গিয়েছে। ও কে। মাইক ছাড়াই কথা বলা যাক।” এর পর এমনকী হল-এর একেবারে কোণে বসে থাকা সাংবাদিকের প্রশ্নও একমনে কান খাড়া করে শুনে ফেডেরার যখন খোশমেজাজে উত্তর দিচ্ছেন, দেখতে দেখতে কেমন যেন একটা অদ্ভুত লাগছিল! আমাদের দেশের দেড়শোরও বেশি এটিপি র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা প্লেয়ারও এ রকম অবস্থায় এত স্বাভাবিক ভাবে প্রেস কনফারেন্স করতেন না গ্যারান্টি। হয় সাউন্ড সিস্টেম ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন, নইলে হল ছেড়ে বেরিয়ে যেতেন। আর জকোভিচের মতো মেজাজি মহাতারকা হলে কী হত? ভাবলেই শিউরে উঠছি। অথচ ফেডেরার বিনম্র ভাবে ভারতীয় মিডিয়াকে বলে গেলেন, এর পরেও তিনি টেনিসে পারফেকশন খুঁজে চলেছেন। এখনও শিখছেন। জিনিয়াস নন, ভাল প্লেয়ার হিসেবে ভাবীকালের কাছে তিনি থাকতে চান। জিনিয়াস শব্দটা তাঁর কাছে খুব জটিল।

তিরিশটা দেশের মাটিতে খেলেছেন। তবু ভারতে আসার জন্য কী প্রচণ্ড কৌতূহলী আর আগ্রহী ছিলেন ফেডেরার। এমনকী সুইস আল্পসের কোলে সদ্য তৈরি সাড়ে ছয় মিলিয়ন ডলারের নতুন প্রাসাদে গৃহপ্রবেশ পর্যন্ত দিনকয়েক পিছিয়ে দিয়েছিলেন! অথচ পেশাদার ট্যুরে প্লেয়ারের নিখাদ ছুটি হাতে গোনা। জরুরি ব্যক্তিগত কাজ সারার সময়ও নেহাত কম। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, ভারতে দু’দিনে গোটা পাঁচেক প্রদর্শনী সেট খেলেই দু’মিলিয়ন ডলার তো কামিয়ে গেলেন ফেডেরার। কিন্তু তাঁর মোট ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের কাছে দু’মিলিয়ন ডলার কি কোনও অঙ্ক?

হয়তো সে জন্য কৃতজ্ঞ আইপিটিএল প্রাণপুরুষ মহেশ ভূপতি যদি রাত তিনটেয় দিল্লিতে টিম হোটেলের লবিতে ফেডেরারকে বরণ করেই অত রাতেও টুইট করেন, ‘হি ইজ হিয়ার। চেক্ড ইন। অ্যান্ড রেডি টু গেট গো!’ তা হলে স্বয়ং ফেডেরার দিল্লি এয়ারপোর্টে পা রেখেই রাত আড়াইটেয় টুইট করেছেন, ‘অবশেষে ভারতে খেলতে পৌঁছলাম। আর বিমানে উঠে কাকে পাশের সিটে পেলাম জানেন? পিস্তল পিট!’

দক্ষিণ দিল্লির পাঁচতারা হোটেলের লবিতে অত রাতেও থিকথিকে ভিড়। সেই যে তখন থেকে বিন্দুমাত্র বিরক্তি ছাড়া ফেডেরারের এ দেশে অটোগ্রাফ দেওয়া শুরু হয়েছিল, সেটা পরের দু’দিন চলল স্টেডিয়ামে। লকাররুমের আশপাশে। মিডিয়া লাউঞ্জে— কোথায় নয়! এ দেশের অসংখ্য ফেডেরারপ্রেমী যদি তাঁকে চেটেপুটে খেয়ে থাকেন ওই দু’দিন, তা হলে ফেডেরারও এ দেশকে চেটেপুটে খেয়ে গিয়েছেন। না-ই বা হল দিল্লির কোন সাতটা দ্রষ্টব্য স্থানে যাবেন নিজেই তার লিস্ট বানিয়েও ফেডেরারের শেষমেশ একটাও দেখতে না পারা! তা-ও দিল্লি ছাড়ার আগে তিনি টুইট করেন, ‘গ্রেট মোমেন্টস। আমার চিরকালীন স্মৃতিতে থাকবে। ট্রিমেনডাস দর্শক সমর্থন। ধন্যবাদ নয়াদিল্লি।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE