Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সলিল সাগরে

আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর নব্বইতম জন্মদিন। ২০১৫-র ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ জমানায় ফিরে এলে কেমন লাগত তাঁর। সলিল চৌধুরীকে নিয়ে টাইম ট্রাভেল আর স্মৃতির সাগরে শঙ্করলাল ভট্টাচার্যআগামী বৃহস্পতিবার তাঁর নব্বইতম জন্মদিন। ২০১৫-র ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ জমানায় ফিরে এলে কেমন লাগত তাঁর। সলিল চৌধুরীকে নিয়ে টাইম ট্রাভেল আর স্মৃতির সাগরে শঙ্করলাল ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০০:৪২
Share: Save:

সলিল চৌধুরীর ‘ক্যালকাটা’ সিম্ফনি শেষ পর্যন্ত আর শোনা হল না আমাদের। বড় সাধ ছিল কাজটা বড় কনসার্ট হলে বড় করে প্রেজেন্ট করার।

কাজটা কি পুরোপুরি শেষও করতে পেরেছিলেন শেষ অবধি? জানি না। তবে এক দুপুরে পিসটার নানা জায়গা থেকে টুকরো টুকরো বাজিয়ে শোনাচ্ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে কমেন্ট আসছে: ‘‘এই যে-টা শুনলে, সেটা ছাড়া কলকাতাকে কল্পনা করা যায়? জীবন জোয়ার, থ্রিল, বলতে পারো ডিপ এক্সট্যাসি।’’

সলিলদাও অর্কেস্ট্রেশনে সিন্থেসাইজার রাখতে চেয়েছিলেন। শুনে বললাম, ‘‘এত ক্লাসিক্যাল ফর্ম্যাটে কম্পোজ করছেন? এত ট্র্যাডিশনাল ইনস্ট্রুমেন্টেশন, সেখানে হঠাৎ সিন্থেসাইজার কেন?’’

সলিলদা বোঁ করে ওঁর পিয়ানো স্টুলে ঘুরে বসে বললেন, ‘‘সে কী! মোৎজার্টকেই দেখো না কেন! ওঁর সময়ের কোনও যন্ত্রকে বাদ দেননি ওঁর কম্পোজিশন থেকে। আজকের দিনে হলে এখনকার সব যন্ত্রই এসে যেত ওঁর কাজে। একটা নতুন যন্ত্র মানে একটা নতুন মজা। এটা তো মানবে?’’

না মেনে উপায় আছে? এ রকম যন্ত্রবিলাসী, যন্ত্রবিজ্ঞানী সুরকার ক’জন পেয়েছি আমরা? যাঁর কিছু দিনের শিষ্য রাহুল দেব বর্মন তো কাচের গ্লাস, বোতল থেকেও অদ্ভুত অদ্ভুত আওয়াজ তুলে নিতেন গানে ঢোকাবেন বলে। আর তিনিই সলিলের সুরের কারসাজিতে এতই মন্ত্রমুগ্ধ যে বাবা শচীনদেবের প্রথম প্রথম আশঙ্কাই ছিল ছেলেটা সলিলের একটা কপি-ই তৈরি হল বলে।

আজ সলিলদা ফিরলে ওঁর প্রথম কাজ হত ‘ক্যালকাটা’ সিম্ফনি নিয়ে মঞ্চে আসা।


সেই জুটি: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সলিল চৌধুরী

আজ যদিও ইভেন্ট আর ধামাকাবাজির যুগ, তবুও দিনে দিনে গড়ে ওঠা সলিল চৌধুরীর লেজেন্ডটা কাজে আসত। ইভেন্ট ম্যানেজারদের পক্ষে সলিল চৌধুরীর ‘ক্যালকাটা’ দিয়ে নেতাজি ইন্ডোর ভরানো কোনও ব্যাপারই হত না।

ফিরে আসা সলিল চৌধুরীর বেজায় স্ফূর্তি হত এখনকার মাল্টিপ্লেক্সে বসে সিনেমা দেখতে। দু’তিন বার চাপা স্বরে ব্রাভো ব্রাভো করে, ঘাড় ঘুরিয়ে ফিসফিস করে বলতেন, ‘‘এই হচ্ছে সাউন্ড। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সারাউন্ড সাউন্ড। যা আমি পাইনি। ভাবো তো, ‘মধুমতী’র ‘আ যা রে পরদেশি’র প্রতিধ্বনিটা ফেরত আসছে পাহাড় থেকে এই ঢেউ, এই ব্যালান্সে। আর সে তো ‘সাউন্ড অব মিউজিক’-এর ‘দ্য হিলস্ আর অ্যালাইভ’ হয়ে যেত।’’

আরেকটু পরে মুখে একটা তাজ্জব ভাব এনে বলতেন, ‘‘আরে, এ তো আমাদের লতা গো! কী নাম মেয়েটির?’’এক ধারে বসা শিষ্য দেবজ্যোতি মিশ্র ধরিয়ে দিলেন, ‘‘ও শ্রেয়া ঘোষাল। দারুণ গাইছে এখন।’’ সলিল বললেন, ‘‘তোর ছবিতে গাইয়েছিস? বলেই বললেন, ‘‘দাঁড়া, গানটা শুনে নিই।’’

শো শেষে হল থেকে বেরোতে বেরোতে সলিল ছবির কয়েকটা গান হামিং-এর চেষ্টা করে বললেন, ‘‘দেখলি দেবু, এই নিয়ে তিনটে ছবি দেখা হল। এদের বেশ ক’টা গান তুই বলছিস হিট। কিন্তু একটাও হাম করা যাচ্ছে না। আর ওই ছেলেটার কাজ বেড়ে লাগছে, কী নাম যেন?’’

দেবজ্যোতি ধরিয়ে দিলেন, ‘‘শান্তনু মৈত্র?’’

সলিল হেসে বললেন, ‘‘হ্যাঁ, কেন জানিস? ওর সুরে পিয়োরিটি আছে। দিশি আর বিলিতি সুরের মেলামেশার ভারসাম্য আছে। রবিঠাকুরই তো দেখিয়ে গেলেন যে মোৎজার্টের করা গানের সুর, কী স্কটিশ হাইল্যান্ডস-কে কেমন পুরো বাংলা চলনে আত্মস্থ করা যায়। আত্মস্থ কেন, আত্মসাৎই বলা যায়। ইংরিজিতে একটা কথা আছে না? গুড পোয়েটস স্টিল। ব্যাড পোয়েটস ইমিটেট। মানে বাজে কবিরা টোকে। ভাল কবিরা চুরি করে নেয়। মুকেশের গলায় তোলা আমার ‘সুহানা সফর ইয়ে মৌসম হাসিন’ শুনে কে বুঝত ওটা ইস্ট মোল্ডাভিয়ান ফোক?’’

সলিল চৌধুরী যে সময়ে চলে গেলেন, তার সামান্য ক’দিন আগে ময়দানের ডালহৌসি ক্লাবের টেন্টে বেশ লম্বা আড্ডায় বসেছিলাম আমরা। বললেন, ‘‘বম্বে যাচ্ছি। একটা নতুন সিরিয়ালের টাইটেল সং-টা করে আসতে। এসে কিছু নতুন ধরনের কাজ করার ইচ্ছে আছে।’’

আড্ডায় ছিলেন শিল্পী বিমল দাস (যাঁর আঁকা ‘দেশ’-এর প্রচ্ছদের সব জল রং, পোর্ট্রেট কে ভুলতে পারে?)। বললেন, ‘‘আপনার কোন গানটা পুরনো হল চৌধুরীমশাই? সেই রহস্যটা জানতে পারলে হত।’’

সলিলদা বললেন, ‘‘একটা আত্মজীবনী লিখেছি বটে। ‘জীবন উজ্জীবন’ বলে, কিন্তু কী সুরে, কী টেকনিকে কোন গান বেছেছি, সেটা নিজের মুখে ওখানে বলতে চাইনি।’’ তার পর এক লহমা তাকিয়ে বললেন, ‘‘কেউ যদি কাজ ধরে ধরে জিজ্ঞেস করে যেত তো বলে যেতে পারতাম। তাতে একটা বই দাঁড়িয়ে যেত।’’ সেদিনই ঠিক হয়েছিল উনি মুম্বই থেকে ফিরলে সময় করে বসা হবে। ওঁর গানের গড়ন-রহস্য নিয়ে কথাবার্তা রেকর্ড করা হবে। কিন্তু উনি মুম্বই থেকে ফিরেই হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এবং সেখান থেকে ফিরে এলেন না।

নব্বই বছরের জন্মদিনে সলিলদার দ্বিরাগমনে কবি ইয়েটস-এর ভাষায় ‘সেকেন্ড কামিং’-এ একটা দাবি উঠত ওঁর গানের কথা লিপিবদ্ধ করার। কিন্তু ক্ষণিক সফরে কোনও ধর তক্তা, মার পেরেকে উনি যেতেন না। নিজের রোয়াবি স্টাইলে বলতেন, ‘‘হয়নি যখন হয়নি। কাজগুলো তো রইল।’’

যখন শুনতেন সুবীর সেন খুবই অসুস্থ আর জটিলেশ্বর সবে অসুখ থেকে উঠেছেন, বলতেন, ‘‘কোথায় থাকে যেন ওরা? কী বললে? গল্ফ গ্রিন? চলো, চলো ওখানেই যাই।’’ গাড়িতে যেতে যেতে বলতেন, ‘‘কী একটা ভয়েস ছিল সুবীর! বলো তো? আওয়াজ লাগালেই গান তৈরি হয়ে যায়। বলছ, দশ বছর হতে চলল ও প্রায় গায়ই না! লজ্জা, লজ্জা!’’

দু’জায়গায় দাঁড়িয়ে সলিল চৌধুরীর চোখে জল আসত। একবার ওঁর ফেলে যাওয়া রেকর্ডিং স্টুডিয়োটার সামনে এসে একটা দীর্ঘশ্বাস নামত। বলতেন ‘‘অনেক স্বপ্নই তো ধারবাকিতে ফুরিয়ে যায়। এই প্রিয় কাজের জায়গাটা দেখে মনে হচ্ছে ‘ক্যালকাটা’ সিম্ফনি নয়, ভাল হত মোৎজার্টের শেষ কাজ ‘রেকুইয়ম’ বা বিদায়গীতির মতো কিছু কম্পোজ করে চলে গেলে।’’

ভাল করে দেখার জন্য গাড়ি থেকে নামতেন সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ওপর। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্ট্যাচু দেখতে। মিনিটপাঁচেক তাকিয়ে দেখে বলতেন, ‘‘ঠিকই আছে। দেখতে ভাল। তবে একটু বেশি সিরিয়াস। হেমন্তদার ব্যাপারটা হল, চুপচাপ, নীরব মুখ, কিন্তু সেই মুখেই একটা অদৃশ্য হাসির ছায়া। আর কোনও মানুষের মধ্যে এটা আমি দেখিনি। ওঁর জন্য করা কোনও গানের সুর ওঁর মনে ধরেছে টের পেতাম কী করে? বাজিয়ে বা গেয়ে শোনানো মাত্র প্রায় শোনা যায় না এমন ভাবে নিজের মনে গুনগুন করতেন। আর আমি বুঝে যেতাম, ব্যস! তার পর এক সময় এমন ভাবে ফেরত আসত সে গান, যা পৃথিবী কখনও শোনেনি। ভগবান! ভগবান! সাধে বলেছিলাম, ওঁর মৃত্যুর পর ভগবান গান গাইলে হেমন্তর কণ্ঠে গাইতেন?’’

সলিলদা কপালে হাত জড়ো করে প্রণাম করলেন মূর্তিকে। ঠিক সেই সময় হেমন্তের শেষ আলো এসে পড়ল হেমন্ত ও সলিলের মুখে। চোখ দু’টো উদাস, গম্ভীর। সলিলের চোখে দু’ফোঁটা জল। না বলে উপায় ছিল না, ‘‘আপনারও এমন একটা স্ট্যাচু থাকা উচিত শহরে।’’

হো হো করে হেসে উঠে সলিলদা বললেন, ‘‘তার চেয়ে আরেকটু সচল কিছু দিয়ে স্মরণ করলে ভাল হত না কি?’’

—যেমন?

—যেমন একটা সলিল চৌধুরী ফাউন্ডেশন ফর দ্য মিউজিক্যাল আর্টজ। এই তো শুনলাম আমাকে নাকি এখন বাংলা পল্লিগানের একজন মহাজন জ্ঞান করা হয়। তা আমার সেই রচনাগুলো নিয়ে একটু নাড়াচাড়া হবে না? শুনলাম আমার হিন্দি, বাংলা গান গেয়ে ছেলেমেয়েরা টিভি-র সব মিউজিক কনটেস্টে ফার্স্ট, সেকেন্ড হচ্ছে। এ সব শুনে মন ভরে যাচ্ছিল, আর ভাবছিলাম এমন কম্পোজিশনের আর্ট অ্যান্ড আর্টিফিসেরও চর্চা হওয়া দরকার। এ ভাবেই তো ঘরানার ব্যাখ্যা হয়, ঘরানা তৈরি হয়। স্ট্যাচু বানালে তো কাক আর পাখিদের সুবিধে। যখন-তখন বসে...

—তাহলে মানছেন আপনারও একটা ঘরানা হতে চলেছে...

—চলেছে কী? হয়ে আছে। একবার তো নাদিম-শ্রাবণের করা ‘দিল হ্যায় কি মানতা নহি’ গানটা শুনে চমকে উঠে ভেবেছিলাম, আরে এরা তো আমার ঘরে ঢুকে পড়ছে! তারপর ধরো কলাবতী রাগিণীটা, নানাভাবে এনেছি কম্পোজিশনে। পরে দেখেছি অনেকেরই এর প্রতি পক্ষপাতিত্ব। এখন আবার দেখছি সুরকারদের শিওর শট হয়ে দাঁড়াচ্ছে হংসধ্বনি রাগটি। ভাল, বেশ লাগে। তবে এ বারে এসে এও দেখছি মিউজিক ডিরেক্টররা অজস্র যন্ত্র ঢুকিয়ে ফেলছে গানে, কিন্তু সে সবের অ্যাপ্লিকেশনে মেরিট নেই। স্ক্রিনে একশোটা ছেলেমেয়ে ধেই ধেই করে নেচে যাচ্ছে, সঙ্গে গান চলছে। কণ্ঠ বা যন্ত্র কার কী প্লেস বোঝা যাচ্ছে না।

জিজ্ঞেস করতেই হল, ‘‘কণ্ঠ এবং অর্কেস্ট্রেশনের মিলজুলে ভাল কী নমুনা দেখলেন এ বার এসে?’’

সলিলদা সামান্য হাঁটাহাঁটি শেষে গাড়িতে উঠতে উঠতে বললেন, ‘‘দেখো বাপু, আমি চিরকালই সোজা কথার লোক। কোদালকে কোদালই বলি। কিন্তু তোমাদের এখনকার এই ফেসবুক, ট্যুইটারে, পেজ থ্রি, পেজ সিক্স কালচার দেখে শিউরে উঠছি। রক্ষে করো, ওর মধ্যে ঢুকব না।’’

—আমি তো একটা গানের নমুনা চাইছিলাম।

—দেব, তবে একটা বিলিতি ছবি আর গানের। ও কে?

—নিশ্চয়ই।

—তাহলে বলি, ‘স্কাইফল’ নামের জেমস বন্ড ফিল্মের টাইটেল সং যেটা অ্যাডেল নামের গায়িকাটি গেয়েছে। দারুণ!

—আমাদের এ আর রহমানকে নিয়ে কিছু বলবেন না?

—সে কি আমার কাজ নিয়ে কিছু বলেছে অ্যাদ্দিনে? ওর যখন শোনার বা বলার সময় হল না এখনও, এত দূর থেকে আমিই বা বলি কেন?

—তা হলে কী বা কাকে নিয়ে নিতে ইচ্ছে করে?

গাড়ির সিডি প্লেয়ার থেকে লতার গলায় ভেসে আসছে সলিলদারই সুর-করা ‘ও সজনা বরখা বাহার আয়ি/ আঁখিয়োঁ মে প্যার লায়ি’।

আমরা চুপ মেরে শুনছি। শেষ হতে সলিলদা স্মিত মুখে বললেন, ‘‘গানটা মনে হয় থেকে গেল।’’

সঙ্গীতকে আজও তিনি শুধুই বিনোদন হিসেবে দেখতেন না। চার পাশে যা ঘটছে তার প্রতিফলন ঘটত গানে। অনেক অন্যায়, দুর্নীতি আমরা দেখি। কিন্তু শিল্পে তার প্রতিফলন হয় না। সলিল ফিরে এলে ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা, আমার প্রতিরোধের আগুন’য়ের মতো বিদ্রোহের গান এই সময়ে নতুন করে লিখে সুর দিতেন। সলিল মানে প্রতিবাদ, বিদ্রোহ। তাঁর সেই ভাবমূর্তি আবারও ফুটে উঠত।

শান্তনু মৈত্র

কিছু মানুষ সময়কে পেরিয়েও বেঁচে থাকেন। সব সময়ই তাঁরা আধুনিক। সলিল চৌধুরীও তাই। তিনি যুগোত্তীর্ণ। এই সময়ে তিনি থাকলে ইলেকট্রনিক মিউজিককে আরও বেশি ব্যবহার করতেন। ইলেকট্রনিক মিউজিকের একটা নতুন দিক আবিষ্কার করতেন। ভারতের মাটিতে মেলোডি ছিল, আছে, থাকবে। আর থাকবে বলেই সলিলের মতো গীতিকার, সুরকারের আজকের দিনে স্বমহিমায় জায়গা করে নিতে অসুবিধে হত না।

ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত

আজকের সময় দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীর নানা ধরনের সঙ্গীত ডাউনলোড করতেন। ইউটিউবে তাঁর গান, অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ ভিউয়ারশিপ হত। নিজের গান ‘রানার’য়ের রক-অপেরা করতেন। চিরতরুণ তিনি। গানে সুর দেওয়ার পাশাপাশি জুটিয়ে নিতেন বাইশ-চব্বিশের তরুণতরুণীদের। আমরা কেউ তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারতাম না। হিন্দি, বাংলা, দক্ষিণী ছবির গানের সব সুর তিনিই দিতেন। আধুনিক সঙ্গীত যন্ত্রের প্রতি তাঁর আগ্রহ বরাবরের। আধুনিকতম গ্যাজেটস নিয়ে কাজ করা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিতেন।

দেবজ্যোতি মিশ্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE