Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চরিত্রের প্রয়োজনে চূড়ান্ত শারীরিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এই নায়ক-নায়িকিরা

দক্ষিণী এই নায়কের ‘বাহুবলী’র আগে কোনও ছবি যাঁরা দেখেননি, তাঁরা ভাবতেও পারবেন না, এমন পাশের বাড়ির ছেলের মতো চেহারা হতে পারে প্রভাসের।

মির্চি ও বাহুবলী

মির্চি ও বাহুবলী

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৭ ১১:৩০
Share: Save:

একটা সময় ছিল যখন নায়ক-নায়িকা মানে সুন্দর দেখতে আর সুঠাম চেহারা। এখন অবশ্য সেই প্রথাগত ছক বাতিল। সিনেমার জনপ্রিয়তম তারকারাও আর শুধু নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় আটকে থাকতে চাইছেন না। দর্শক-চাহিদার পালে ভর করে ঝুঁকছেন অভিনেতা হওয়ার দিকে। তাই আমির খান, হৃতিক রোশন বা প্রভাস থেকে শুরু করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া পর্যন্ত, চরিত্রের প্রয়োজনে আমূল বদল আনছেন নিজেদের চেহারায়।

হৃতিক রোশন

বলিউডের নায়কদের মধ্যে সব থেকে সুঠাম শরীরের অধিকারী নিঃসন্দেহে রাকেশ রোশন পুত্র। বলিউডে অনেকে বলেন, শরীর নিয়ে তাঁর নিজের খুঁতখুঁতানিও কম নয়। কিন্তু সেই হৃতিকই, সঞ্জয় লীলা ভংসালীর ‘গুজারিশ’ ছবির জন্য সাধের শরীরে মেদ জমাতে দ্বিধা করেননি। আবার পরের ছবি ‘কৃষ থ্রি’র জন্য মাত্র দশ সপ্তাহে ফিরে গিয়েছেন তাঁর গ্রিক ঈশ্বরের মতো ফিজিকে।

আমির খান

চেহারা নিয়ে ভাঙা গড়ায় প্রথম নামটা অবশ্যই মিস্টার পারফেকশনিস্টের। অনেক দিন থেকেই চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে বদলেছেন আমির। ২০০৭ সালে ‘তারে জমিন পর’ ছবির ছিপছিপে শিক্ষক পরের বছরই হয়ে গিয়েছেন মাসলওয়ালা ‘গজনী’। সেই ট্র্যাডিশনে ছেদ পড়েনি। গত ক’বছরেও নিজেকে তিন-তিনবার ভেঙেছেন তিনি। ‘পিকে’র শ্যুটিং শেষ করেই তিরিশ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন ‘দঙ্গল’-এর মহাবীর সিংহ ফোগত হওয়ার জন্য। আর সে ছবি শেষ হতেই নধর দেহ থেকে মেদ ঝরিয়ে আবার ছিপছিপে অবতারে আবির্ভূত হয়েছেন ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’ ছবির সেটে।

পিকে ও দঙ্গল

প্রভাস

দক্ষিণী এই নায়কের ‘বাহুবলী’র আগে কোনও ছবি যাঁরা দেখেননি, তাঁরা ভাবতেও পারবেন না, এমন পাশের বাড়ির ছেলের মতো চেহারা হতে পারে প্রভাসের। বিশ্বাস না হলে, ২০১৪ সালের ‘মির্চি’ ছবিটা দেখে নিতে পারেন। মাসলের লেশ মাত্র না থাকা শরীরটা যে ভাবে তার পরের বছরই অতিমানবিক বাহুবলীতে নিয়ে গিয়েছেন, তাতে তাঁকে কুর্নিশ না জানিয়ে কোনও উপায় নেই।

প্রিয়ঙ্কা চোপড়া

বলিউডি নায়িকারা শুধু লুকস নিয়ে ভাবেন, এমনটা মনে করলে ভুল করবেন। চরিত্রের প্রয়োজনে চেহারায় আমূল পরিবর্তন আনতে নায়িকারাও এখন পিছপা নন। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া অবশ্যই বড় প্রমাণ। ২০১৪ সালে ‘গুন্ডে’ ছবিতে যিনি ছিলেন পেলব সুন্দরী নন্দিতা, পরের বছরই তিনি স্বয়ং বক্সার মেরি কম!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE