নীতি মোহন
তাঁর গানেই এই প্রজন্ম শিখেছে প্রেমের নতুন ভাষা ‘ইশকওয়ালা লাভ’। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ‘জিয়া রে’র সৌজন্যে বলিউডে নতুন গায়িকাদের ভিড়ে নিজের জায়গা পাকা করেছেন নীতি মোহন। শাস্ত্রীয় সংগীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গায়িকার কথায়, ‘‘প্লেব্যাক শিল্পী হওয়ার জন্য শাস্ত্রীয় সংগীতের পাঠ খুব জরুরি। পাশ্চাত্য সংগীতের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। তবে স্কেলের বোধ সেখানেও প্রয়োজন।’’
লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে ও কিশোরকুমারের গান শুনে বড় হয়েছেন নীতি। যখন তিনি টিনএজার, তখন বুঁদ হয়েছেন এ আর রহমানের ‘রঙ্গিলা’, ‘বম্বে’র গানে। আর তখনই সিদ্ধান্ত নেন গায়িকা হওয়ার। ‘‘আমার পরিবারের কারও এই পেশা সম্পর্কে ধারণা ছিল না। তবু বাবা-মাকে যখনই নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছি, তাঁরা একবাক্যে রাজি হয়েছেন। এটা জেনেও যে, এই পেশায় নিশ্চয়তা নেই,’’ বলছেন নীতি। এ আর রহমানের ব্যান্ডে পারফর্ম করা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো। মনখারাপ হলে তিনি স্বস্তিও পান রহমানের সুরে।
‘তুমহে আপনা বনানে’, ‘সোচা হ্যায়’, ‘হর কিসি কো’— এই পুরনো গানগুলির নয়া ভার্সনে শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠ। শিল্পীর কাছে এর ভাল দিক কী? ‘‘এই গান শুনেই আমরা বড় হয়েছি। এই গানে পুরনো মেলোডি আছে। আবার নতুন শিল্পীর স্টাইলও আছে। গানের কথা-সুরেও অনেক বদল করা হয়। তাই শুনতেও ভাল লাগে।’’ নীতির মতে, বিগ বাজেট ছবিতে গান গাওয়ার চেয়ে ভাল গান গাওয়া বেশি জরুরি। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘পদ্মাবত’-এ ‘ন্যানোওয়ালে নে’ গেয়ে উচ্ছ্বসিত নীতি। ‘‘সঞ্জয় স্যারের কাছ থেকে ডাক পাওয়া বড় ব্যাপার। শুটিং সেটেও গিয়েছিলাম। আমার বোন শক্তি এই গানে কোরিওগ্রাফিও করেছে।’’ তবে ছবিতে যে গানটা নেই! ‘‘পরিচালকের যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা আছে। আমি সেটাকে শ্রদ্ধাও করি।’’
নীতির কথা উঠলেই তাঁর প্রতিভাসম্পন্ন দুই বোনের (মুক্তি, শক্তি) কথাও বলতে হয়। ‘‘আমরা একে অন্যের পারফরম্যান্স দেখে ফিডব্যাক দিই। কার কেমন ড্রেস পরা উচিত, সে নিয়েও মতামত দিই,’’ হাল্কা হাসি নীতির গলায়।
লাইভ শো করতে গিয়ে অনেক রকম ভক্তের সঙ্গে আলাপ হয়েছে নীতির। ‘‘সে দিন ইন্টারনেটে দেখলাম, ‘ক্রাশ’ লিখতে গিয়ে ‘ক্র্যাশ’ লিখেছেন একজন। বোধহয় অটোকারেক্ট অন ছিল,’’ হাসির দমক তাঁর গলায়। এই প্রজন্মের অনেক অভিনেত্রীর লিপে গাইলেও নীতির পছন্দ মাধুরী দীক্ষিত। ‘‘মাধুরী ম্যামের লিপে একটি রিয়্যালিটি শোয়ের জিঙ্গল গেয়েছিলাম। সেটাই বড় প্রাপ্তি।’’
কেরিয়ারে সাফল্যের চেয়েও ব্যর্থতার মুহূর্তগুলি নীতিকে এগিয়ে যাওয়ার রসদ জোগায়। বলছেন, ‘‘হোঁচট খেয়েও যখন উঠে দাঁড়াই, সেটাই কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy