ঋষি
ঋষি কৌশিক
মদ খেয়ে গাড়ি চালানো একেবারে নয়। এটা প্রাথমিক শর্ত। আর মোটরবাইক হলে হেলমেট। যে সময়ই হোক, যত তাড়াই থাকুক না কেন, হেলমেট ছাড়া বাইক চালাবেন না। বাইকে যেমন হেলমেট, গাড়ির ক্ষেত্রে তেমন সিটবেল্ট। অনেক সময় আমরা শহরের মধ্যে পুলিশের ভয়ে সিটবেল্ট পরে থাকি। হাইওয়েতে উঠেই খুলে ফেলি। এর থেকে বড় ভুল আর হতে পারে না। হাইওয়েতেই কিন্তু বিপদের সম্ভবনা বেশি। নিজে যেহেতু ক্রুজার বাইক চালাই, তাই বলছি বাইকের ক্ষমতা অনুযায়ী স্পিড তুলুন। বেশি গতিতে বাইকের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সমস্যার, সেটা মাথায় রাখবেন। গাড়ি হোক কী বাইক, টায়ার যেন নিয়মিত পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। টায়ারের গ্রিপ আর এয়ার প্রেশার ঠিক থাকা ভীষণ জরুরি।
মিমি চক্রবর্তী
মিমি
ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভিংয়ের চেয়ে বড় কোনও ক্রাইম আর হতে পারে না। নিজের বা অন্যের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। কেউ যেন কখনও সেটা না করে। পার্টি থেকে ড্রিংক করে ফিরতে হলে ওলা বা উবের নিয়ে নিলেই তো হয়। আর সিটবেল্ট পরা। ওটাও মাস্ট। আগে নিজে ড্রাইভ করলেও এখন আর তেমন ড্রাইভ করি না। তবে ড্রাইভারকে বলে দিয়েছি জোরে যেন গাড়ি না চালায়। দরকার হলে দাঁড়িয়ে থাকব, কিন্তু র্যাশ ওভারটেক যেন না করে। অনেক সময় শো শেষ করে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়, তাই আমি সব সময় ড্রাইভারের কোনাকুনি বাঁদিকে বসি। নিজে তো ঘুমোই না। আর পিছন থেকে দেখতে পাই, ও ঘুমিয়ে পড়ল কিনা।
শুভশ্রী
শুভশ্রী
গাড়ি চালানোর সময় পুরো মনোযোগ সেই দিকেই থাকা উচিত। পাশের লোকের সঙ্গে বেশি কথা বলা বা ফোনে কথা বলাও উচিত নয়। খুব জরুরি কল হলে আমি ফোন ধরে পরে করতে বলে দিই। আগে নিয়মিত ড্রাইভ করতাম এখন আর সেটা হয়ে ওঠে না। নিজে ড্রাইভ করলে সিটবেল্ট তো অবশ্যই পরি। এমনি যদি সামনের সিটে বসি, তা হলেও। ড্রাইভারের পাশে যে বসছে তারও অনেক দায়িত্ব। ড্রিংক করে ড্রাইভ করাটা কিন্তু অপরাধ। আমি নিজে কোনও দিনই সেই কাজটা করিনি। পাঠকদেরও বলতে চাই, জীবনের দাম অনেক। ড্রাইভিংয়ের মজা নিতে গিয়ে বেপরোয়া হলে চলবে না। আর স্পিড লিমিটের খেয়াল তো সব সময় রাখা উচিত। খুব ভাল ড্রাইভার না হলে রাতের বেলা গাড়ি না চালানোই ভাল। আমি নিজে অন্তত চালাই না।
অঙ্কুশ
অঙ্কুশ
একটা কথা তো স্বীকার করতেই হবে, যারা নিজেরা গাড়ি চালায় তারা ভালবেসেই চালায়। আমার যেমন কোনও নিয়মিত ড্রাইভার নেই। কিন্তু মনে রাখা দরকার, মজা-আনন্দ-ভাললাগা সব ঠিক আছে, কিন্তু তাতে ভেসে যাওয়া উচিত নয়। দুর্ঘটনা ঘটলে, নিজের এবং আশপাশের অনেক লোকের ক্ষতি হতে পারে। তাই গতি বেশি তুলতে হলে অবশ্যই লিমিট মেনে আর রাস্তা বুঝে। বিশেষ করে, টার্নের সময় অনেক ব্লাইন্ড স্পট থাকে, সেটা মনে রাখা দরকার। হাইওয়েতে আর একটা সমস্যা হয়, আচমকা রাস্তায় ছাগল-গরু চলে আসা। অ্যাকসেলেরেটরে চাপ দেওয়ার আগে সেটা যেন মাথায় থাকে। ভোরের দিকে হাইওয়ের আর একটা সমস্যা হল, ট্রাক। অনেক সময় ট্রাক চালকরা কোনও ইন্ডিকেশন না দিয়েই লেন পাল্টায়, তাই ট্রাকের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চালানোটাই ভাল। গাড়ি নির্মাতা সংস্থার কাছে আমার একটা অনুরোধ, প্লিজ সব গাড়িতেই এয়ার ব্যাগ দেওয়া হোক। কম দামি গাড়ি বলে বাদ দেওয়ার যুক্তি মানা যায় না। মানুষের নিরাপত্তাটাই তো আসল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy