আথিয়া
হিন্দি ছবির নায়িকারা যেখানে বছরে দু’-তিনটে ছবির প্রস্তাব নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করছেন। আথিয়া শেট্টি সেখানে দ্বিতীয় ছবি করতেই দু’বছরেরও বেশি সময় নিয়ে নিলেন। তিনি ইন্ডাস্ট্রির বাইরের লোক নন। সুনীল শেট্টির কন্যা। তা হলে? ‘‘আমার তো কোনও তাড়া নেই,’’ স্পষ্ট জবাব চব্বিশ বছরের নায়িকার। কিন্তু প্রায় প্রতি শুক্রবার যেখানে নতুন নায়িকার মুখ দেখা যায়, সেখানে দু’বছর কিছু না করে বসে থাকার বিলাসিতা কি তারকা-কন্যা বলে? ‘‘আমার তো মনে হয়, সেটা আরও অসুবিধা। লোকে মনে করে তারকার ছেলে-মেয়ে মানে দারুণ কিছু করবে। স্টার কিড হওয়া তো সাফল্যের গ্যারান্টি হতে পারে না। ভাল করলেও লোকে বলবে, আরও ভাল করতে পারত,’’ বলেন আথিয়া। বলছিলেন, বাবা সুনীল শেট্টির থেকে টিপস নয়, অভিনয় নিয়ে আলোচনা করেন অনেক। মনে করেন, প্রথম ছবি ‘হিরো’ সমালোচকদের প্রশংসা না পেলেও ফ্লপ নয়। কারণ নবাগত নায়ক-নায়িকার জন্য তিরিশ কোটির বক্স অফিস মোটেই মন্দ নয়। তবে এ বার আরও বড় ব্রেক। ‘‘আমি বরাবর এই রকম টিপিক্যাল হিন্দি ছবির নায়িকা হতে চেয়েছিলাম। ‘মুবারকাঁ’র স্ক্রিপ্ট পেয়ে তাই সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই।’’ বলছিলেন, অনিল কপূরের সঙ্গে কাজ করার সুযোগটাও বড় পাওনা। আর বয়ফ্রেন্ড অর্জুন কপূরের সঙ্গে অভিনয়? ‘‘এই সব কথাগুলো এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিই। উল্টোপাল্টা গসিপের জন্যই আমি আর খবর দেখি না। সম্পর্ক এত সহজে হয় নাকি! আমি বেশ বুঝে গিয়েছি, সম্পর্ক মানেই হল দেওয়া নেওয়া। সমঝোতা তোমাকে করতেই হবে,’’ বলেন নায়িকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy