অনীক দত্ত।
ভূতেদের ভবিষ্যৎ দেখতে রীতিমতো উপচে পড়েছিল হল। বিজ্ঞাপনী চমক ছাড়া স্রেফ লোকমুখে প্রচার ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’কে সুপারহিট করে! এ বার ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর ভাগ্য কেমন হয়, সেটাই দেখার।
না, সিক্যুয়েল নয় এ ছবি। অনীক দত্ত বেশ জোর দিয়ে বললেন, ‘‘কনসেপ্ট একেবারেই আলাদা। গল্প, চরিত্র সবই নতুন। একমাত্র কমন ফ্যাক্টর ভূত।’’
তবে ভূতেদেরও রকমফের আছে। মৃত ভূতের পাশাপাশি থাকবে জীবিত ভূতও! চমকাবেন না। অনীকের আগের ছবির স্যাটায়ারগুলো মনে করলেই বুঝতে পারবেন গল্পের মোচড় কোথায়। পরিচালক স্পষ্ট করলেন, ‘‘জীবিত অবস্থাতেই কিছু লোক বাতিল হয়ে যায়। সমাজজীবন থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন। ভূতেদের মতোই অবস্থা। এ বার তারা সত্যিই ভূত হয়ে গেলে কী অবস্থা হবে?’’ গল্প সরলরেখায় চলে না। আলাদা পরত আছে। কলকাতা শহরে জীবিত মানুষদের থাকার জায়গাই যেখানে নেই, সেখানে ভূতেদের আস্তানা মিলবে কোথায়? তবে হাল আমলের ভূত বলে কথা, ভার্চুয়াল স্পেস সম্পর্কে তারা অবগত। তাই সেখানেই তৈরি করে ফেলে সোশ্যাল কমিউনিটি। এখানেও টুইস্ট। ভার্চুয়াল স্পেসে থাকলে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়বে। অতএব? না, গল্পের পাতা এর বেশি না উল্টানোই ভাল। খুব সহজ ভাষায় নোনতা-মিষ্টি স্বাদে জিনিসটা তুলে ধরতে চাইছেন পরিচালক।
ঝালও আছে। জীবিত ভূত থেকে বাসস্থান সমস্যা... গল্পের এই উপাদানগুলোই বলে দিচ্ছে পরিচালক স্যাটায়ারের স্টাইলে তাঁর সামাজিক-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ছাপ রেখেছেন গল্পে। অনীকও মেনে নিলেন বিষয়টা। তাঁর আগের তিনটে ছবিতেও এই ধারা প্রত্যক্ষ করেছেন দর্শক। ‘‘সে ভাবে দেখতে গেলে সব ছবিতেই কোনও না কোনও ভাবে রাজনৈতিক বার্তা থাকে। কোনও ছবিতে জোর করে অরাজনৈতিক থাকার চেষ্টা করা মানে সেখানেও এক রকম রাজনীতির ছোঁয়া থেকেই যাচ্ছে,’’ স্পষ্টবাদী অনীক। ছবির গল্প তাঁর নিজেরই।
‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর চরিত্র তালিকা বেশ লম্বা। কৌশিক সেন, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, বরুণ চন্দ, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র প্রমুখ রয়েছেন। দেখা যাবে মুনমুন সেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কেও। ১২ জানুয়ারি থেকে শ্যুটিং শুরু করছেন অনীক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy