সুপ্রতিম সেনগুপ্ত
কল্পনা চাওলার বায়োপিকের কাহিনিটা লিখছেন তিনিই। ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’র চিত্রনাট্যও তাঁর।
বছর পনেরো আগেও তিনি থেকেছেন কখনও যোধপুর পার্ক, কখনও গল্ফ গ্রিন, তো কখনও বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে। তাঁর এক পিসতুতো দিদি গায়িকা ও অ্যাঙ্কর পার্সন পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন তাঁর ঠিকানা মুম্বইয়ের বান্দ্রা। তিনি সুপ্রতিম সেনগুপ্ত। পাঠভবনের ইস্কুলবেলা পেরিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্সে ইকনমিক্স নিয়ে পাশ করে মাইকায় ‘মাস্টার্স ইন কমিউনিকেশন’ করেছেন।
ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞাপনের ব্যবসা ফাঁদবেন। হঠাৎ ঢুকে পড়েন চাকরিতে। টিভি চ্যানেলে। তিন বছর আগে বাবার আকস্মিক মৃত্যু জীবনটাকেই পাল্টে দিল। চাকরি ছেড়ে স্ক্রিপ্ট রাইটার।
এখন ‘ধর্মা’-‘ফক্স’ বা ‘যশরাজ ফিল্মস্’-এর কাজেও তিনি। জন গ্রিনের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টার্স’ নিয়ে তাঁর তৈরি স্ক্রিপ্ট নিয়ে ছবি হওয়ার অপেক্ষায়।
৩৭ বছরের সুপ্রতিম পাঁড় মেসি-ভক্ত। তাঁর দেখা পেতে নিউ ক্যাম্প, বার্সিলোনা পর্যন্ত ধাওয়া করেছিলেন। শেষ মুহূর্তে মেসি চোট পেয়ে যাওয়ায় শখ চটকে যায়। অপেক্ষায় আছেন পরের সুযোগের।
‘পেয়ারি বিন্দু’র পর পরিণীতি তাঁর লেগপুলিং-এর বন্ধু। গুডি গুডি বয় আয়ুষ্মান তুলনায় ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’। আর পরিচালক অক্ষয় বা প্রযোজক মণীশের সঙ্গে তো ভীষণ দোস্তি সুপ্রতিমের! ওই ছবির সূত্রেই খরাজ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, অপরাজিতা আঢ্য সমেত একগুচ্ছ বাঙালির সঙ্গে প্রথম বার কাজ করে আর তাদের নিয়ে বলিউডে প্রশংসা শুনে মন ভ’রে গেছে। তবে মাঝে মাঝেই খুব মন কাঁদে কলকাতায় থাকা মা আর তাঁর হাতের আলুপোস্তর জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy