Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চট্টোপাধ্যায় Vs চট্টোপাধ্যায়

ওঁরা নাকি সামনেই বন্ধু। আড়ালে সংঘাতের মনোভাব নিয়ে চলেন। সত্যি? আবীর আর পরমব্রতকে মুখোমুখি বসাল আনন্দplus। রেফারি ইন্দ্রনীল রায় সামনের ১৫ জানুয়ারি তাঁদের নতুন ছবির রিলিজ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বাস্তু-শাপ’। একে অপরকে ল্যাং, টেক্কা, ওয়ান-আপম্যানশিপের মধ্যে দিয়ে গেটওয়ে হোটেলে চলতে থাকল আড্ডা…

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:৩০
Share: Save:

এক জন কোন্নগরের ইভেন্ট থেকে। একজন সোজা শ্যুটিং ফ্লোর থেকে। এক জন অর্ডার করলেন ব্ল্যাক কফি। অন্য জন আর্ল গ্রে। আবীর-পরমব্রত, দু’জনেই ঘটনাক্রমে চট্টোপাধ্যায়। আপাত দৃষ্টিতে যতই বন্ধু-বন্ধু ভাব, ঠিক ততটাই টেনশন ভেতর-ভেতর। সামনের ১৫ জানুয়ারি তাঁদের নতুন ছবির রিলিজ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বাস্তু-শাপ’। একে অপরকে ল্যাং, টেক্কা, ওয়ান-আপম্যানশিপের মধ্যে দিয়ে গেটওয়ে হোটেলে চলতে থাকল আড্ডা…

পরমকেই প্রথম প্রশ্ন করি। ‘ব্যোমকেশ’ দেখলেন?

পরমব্রত: নতুন ‘ব্যোমকেশ’?

আবীরের ব্যোমকেশ।

পরমব্রত: ওহ, অরিন্দম শীল পরিচালিত, আবীর চট্টোপাধ্যায় অভিনীত?

ইয়েস...

পরমব্রত: হ্যাঁ, দেখলাম।

কাকে বেশি ভাল লাগল, আবীর না যিশু?

পরমব্রত: যিশুর ‘ব্যোমকেশ’টা আমি দেখেছি শেষ কুড়ি মিনিট, আমার কিন্তু দারুণ লেগেছে যিশুকে। আই রিয়েলি লাইকড যিশু। এটার আগে আমি আবীরের দু’টো ‘ব্যোমকেশ’ দেখেছি। প্রথমটা পার্শিয়ালি দেখেছিলাম। দ্বিতীয় ‘ব্যোমকেশ’টা একেবারেই ভাল লাগেনি। ছবিটাই ভাল লাগেনি। তৃতীয়টা তো দেখিইনি। আর এটা বেশ লেগেছে আমার। ব্যোমকেশটা আবীর সামহাউ নেইলস ইট। মানে ওর বাকি ফিল্মের অভিনয় সম্বন্ধে আমার নানা ক্রিটিসিজম আছে। কিন্তু ব্যোমকেশটা ঠিক দাঁড় করিয়ে দেয়।

মানেটা কী? বাকি ছবিগুলোতে আবীর খারাপ, কিন্তু ‘ব্যোমকেশ’‌য়ে পাশ নম্বর পেয়ে যায়?

পরমব্রত: (হাসি) আমি সেটা একবারের জন্যও বলিনি।

আবীর: (শুধুই হাসি)

পরমব্রত: আমি যেটা বলেছি, ব্যোমকেশ হিসেবে আবীরকে যেহেতু আমরা বেশ কয়েক বছর দেখছি, তাই একটা চোখ-সওয়া হয়ে গিয়েছে। ব্যোমকেশ হিসেবে ও অনেক অ্যাকসেপ্টেবল। এটাও বলব, আমার মতে আবীর বেটার ব্যোমকেশ দ্যান ফেলুদা।

আবীর, পরম তো সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন। এ বার আপনার পালা। পরমের টপ থ্রি অ্যাক্টিং পারফর্ম্যান্স কী হবে?

আবীর: প্রথমেই যে ছবির কথা বলব, সেটা ‘হারকিউলিস’। পরম ওয়াজ সুপার্ব ইন ইট।

বাকি দু’টো?

পরমব্রত: হ্যাঁ, বাকি দু’টো বল...

আবীর: সেকেন্ড হবে ‘কালবেলা’। ‘কালবেলা’ নিয়ে জানি না কেউ কেন কোনও কথা বলে না।

পরমব্রত: হ্যাঁ, সেটা আমারও মনে হয়েছে কেন ‘কালবেলা’ নিয়ে এত কম কথা হয়!

আবীর: আর থার্ড হবে, ‘২২শে শ্রাবণ’ আর ‘চতুষ্কোণ’।

পরমব্রত: মানে ‘২২শে শ্রাবণ’ স্ল্যাশ ‘চতুষ্কোণ’

আবীর: ইয়েস।

‘বাস্তু-শাপ’‌য়ে দুই চট্টোপাধ্যায়

এত মিউচুয়াল অ্যাডমিরেশন দেখে কেমন যেন একটা লাগছে!

আবীর: তা হলে কি ঝগড়া করতে হবে আমাদের?

না, তা নয়। কিন্তু এটাও তো পরিষ্কার, আপনারা দু’জনে শুধু একে অপরের পরিচিত। দারুণ বন্ধু অবশ্যই নন। নট গ্রেট ফ্রেন্ডস।

আবীর: দেখুন, আমি বিশ্বাস করি, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুবাদে অনেকেই আমরা পরষ্পরের পরিচিত। কিন্তু গ্রেট ফ্রেন্ডস এখানে হয় না।

পরমব্রত: আমি একটা কথা বলি আবীর?

আবীর: প্লিজ, বল।

পরমব্রত: এই প্রশ্নটা ঘোলাটে এবং ধোঁয়া-ধোঁয়া। এখানে অনেক দিন কাজ করতে করতে কিছু মানুষের সঙ্গে একটা মিউচুয়াল সখ্য গড়ে ওঠে। যাদের আমরা মাঝেমধ্যে ‘চল শালা, এক পেগ খাই’ বলি। আবীরের যে স্ট্যান্ডটা, সেটার সঙ্গে আমি কিন্তু একমত। এখানে সত্যিই গ্রেট ফ্রেন্ডস হয় না। কিন্তু আমার প্রবলেমটা হল, যখন আমার মুড ভাল থাকে, তখন এই মিউচুয়াল সখ্যগুলোকে মাঝে মধ্যে আমি গ্রেট ফ্রেন্ডশিপ ভেবে ফেলি। এটা ওর আর আমার মধ্যে বিরাট তফাত।

আচ্ছা, একটু ‘বাস্তুশাপ’‌য়ে ফিরি। আবীরের তো প্রথম ছবি এটা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে?

আবীর: ইয়েস, ফাইনালি।

শোনা যায়, আপনি নাকি বেশ সন্ধিগ্ধ ছিলেন। কৌশিকের সেট মানে পরমের হোম গ্রাউন্ড। সেখানে আপনি তো পার্থের বাউন্সি পিচে পড়লেন।

আবীর: হ্যাঁ, আমি যথেষ্ট অ্যাপ্রিহেনসিভ ছিলাম।

মানে এই ভয়টা ছিল যে, বেস্ট ডায়ালগ, কী পাঞ্চ লাইনগুলো পরিচালক নির্ঘাত পরমের জন্য সরিয়ে রাখবেন?

আবীর: হ্যাঁ, ছিল। এর জন্য আমি স্ক্রিপ্টটা শুনতে চেয়েছিলাম। একদিন প্রায় ৪৫ মিনিট আমি কেজি (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়)-র সঙ্গে ফোনে কথাও বলি। শ্যুটিং শুরু হওয়ার দু’দিন পর থেকেই অবশ্য মনে হয়েছিল আমি ঠিক ডিসিশন নিয়েছি।

শুনেছিলাম ‘বাস্তু-শাপ’‌য়ের আউটডোরে নাকি প্রচুর আড্ডা হত আপনাদের?

পরমব্রত: হত তো। শ্যুটিংয়ের পর প্রচুর আড্ডা হত। মাঝে মধ্যে ছ’পেগ খেয়ে আড্ডা মেরেছি।

আবীর ছ’পেগ খেতে পারেন নাকি?

আবীর: আরে ছ’‌পেগ খেয়েও স্টেডি থাকি (হাসি)। আর একটা কথা, ‘বাস্তু-শাপ’ দেখার অন্যতম কারণ কিন্তু এটা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি। অনেক দিন পর কৌশিকদা-র ছবি আসছে। ইট’স আ লাভলি ফিল্ম।

পরের প্রশ্নটা অ্যাকচুয়ালি আবীরকে। এটা কি সত্যি, আপনি ‘জুলফিকার’ ছবিটা করবেন না বলার সময় সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, ‘‘আগে আমাকে একটা ‘হেমলক সোসাইটি’র মতো ছবি দাও, তার পর আমি করব?’’

আবীর: হ্যাঁ, বলেছিলাম। আমি এখন আমার একটা সোলো ব্র্যান্ড তৈরি করার চেষ্টা করছি। এটা আমি খোলাখুলি বলছিও আজকাল।

আবীর

পরমব্রত

স্টেটাস: ইন আ রিলেশনশিপ

মেয়ের নাম: ময়ূরাক্ষী

বয়স: ৩৫

এ বছরের গুরুত্বপূর্ণ রিলিজ:
‘বাস্তু-শাপ’, ‘ব্যোমকেশ’,
সম্ভবত ‘ফেলুদা’, ‘তারিখ’

এ বছরের গুরুত্বপূর্ণ রিলিজ:
‘বাস্তু-শাপ’, ‘সিনেমাওয়ালা’, ‘জুলফিকার’, ‘হ্যামলেট’

উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয়:

ফেলুদা, ব্যোমকেশ

উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয়:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘কহানি’র ইন্সপেক্টর রানা, ‘চতুষ্কোণ’য়ের জয়ব্রত, ‘কালবেলা’র অনিমেষ,
‘অপুর পাঁচালী’র অপু

মানে আপনি ‘রাজকাহিনি’ করাটা রিগ্রেট করেন?

আবীর: রিগ্রেট না, তবে আমাকে ‘রাজকাহিনি’র যে স্ক্রিপ্ট শোনানো হয়েছিল, সেটা আমি পর্দায় দেখিনি। ছবির ক্ষেত্রেও দেখিনি, আমার চরিত্রের ক্ষেত্রেও দেখিনি। এই প্রথম আমার স্ক্রিপ্ট সেন্স ফেল করল।

তা হলে এ বার আমার প্রশ্নটা হল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, না সৃজিত মুখোপাধ্যায়?

পরমব্রত: অ্যাজ হোয়াট? অভিনেতা হিসেবে, মানুষ হিসেবে, না পরিচালক হিসেবে?

পরিচালক হিসেবে?

পরমব্রত: এই একটা প্রশ্নে কিন্তু আমাকে ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে। তার অন্যতম কারণ দু’জনের সঙ্গেই আমার অ্যাসোসিয়েশনটা অনেক অনেক দিনের, আর সেটা সিনেমার বাইরেও। তাই এই একটা প্রশ্নে আমি ডিপ্লোম্যাটিক (হাসি)।

আবীরের কী মত?

আবীর: আপনি জানেন উত্তরটা।

আমি সত্যি জানি না...

আবীর: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়…

পরম আর আবীর দু’জনকেই একটু গত বছরের মাঝামাঝি নিয়ে যেতে চাই। জানি না মনে আছে কি না, কিন্তু আনন্দplus-এর একটা ইন্টারভিউতে আবীর কিন্তু পরমব্রত সম্বন্ধে কটাক্ষ করেছিলেন। পরে নিজের লেখায় পরমব্রত সেই কটাক্ষটা ফিরিয়েও দেন। মনে আছে?

আবীর: হ্যাঁ মনে আছে। আমাকে বলা হয়েছিল পরমের কাছে কী আছে যা আমার কাছে নেই? তাতে আমি প্রথমেই বলেছিলাম পরমের কাছে ডিরেক্টর হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু সেটা লেখা হয়নি।

এত নিরামিষ উত্তর দিলে কোনও সম্পাদক খুশি হন না।

আবীর: তার পর জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমার কাছে কী আছে যা পরমের নেই। তাতে আমি বলেছিলাম আমার কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে দু’টো, যা পরমের নেই। আমার কাছে এটাও নিরামিষ উত্তর। কিন্তু আপনাদের তা মনে হয়নি।

এটা নিরামিষ উত্তর?

আবীর: আমার মত তাই। আর তা ছাড়া আমি বলেছিলাম আমার মধ্যে পরমের ফ্ল্যামবয়েন্সটা নেই। আমার ইমেজটা বয়-নেক্সট-ডোর-এর। আর বাঙালি দর্শক একটা স্টেজের পর ফ্ল্যামবয়েন্সের থেকে বয়-নেক্সট-ডোর ইমেজটা বেশি পছন্দ করে। আমি সেটা বিশ্বাস করি। আমার ক্লিয়ার করার কিছু নেই, কোনও দায় নেই।

আচ্ছা, আপনি যখন শুরু করেছিলেন অভিনয়, সেই সময় কিন্তু পরমব্রত স্টার। সেখানে পিছন থেকে এসে সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়াটা কি আপনার সায়লেন্ট ভিকট্রি?

আবীর: পরমকে প্রথম দেখি ‘হাফ চকোলেট’ সিরিয়ালে। তখন আমার কোনও প্ল্যান ছিল না অভিনয় করার। আমি কাউকে হারিয়ে দিয়েছি, কাউকে পিছনে ফেলে দিয়েছি, এ সব নিয়ে ভাবিওনি কোনও দিন। আর দেখুন, আমি শুরু করেছিলাম ‘বহ্নিশিখা’ দিয়ে। সেটাও বিরাট হিট ছিল কিন্তু। সুতরাং আমার শুরুটাও যথেষ্ট
হিট সিরিয়াল দিয়েই। তাই পিছন থেকে এসে এগিয়ে গিয়েছি, আমি মনে করি না।

পরমব্রত, আপনার কখনও মনে হয়নি, ইশ্শ, আবার দু’টো ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়ে গেল?

পরমব্রত: না, মনে হয়নি। আমি নিজেকে ডিটেক্টিভ হিসেবে দেখতেও পেতাম না।

এটা কি আঙুর ফল টক?

পরমব্রত: একেবারেই না।

যিনি তোপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তিনি ফেলুদা করতে চান না— এটা বিশ্বাসযোগ্য পরম?

পরমব্রত: একদমই চাইনি। আমি নিজেকে ফেলুদা হিসেবে কোনও দিন দেখিওনি। আর তোপসে তো আমি নিজে করতে চাইনি কারণ আমার ভাল লাগছিল না।

তবে হ্যাঁ, যখন শুনলাম আবীর ফেলুদা করছে, ব্যোমকেশ-ও করছে, আমার মনে হল এটা কী রে বাবা! দু’টো চরিত্রই আবীর করবে নাকি? এটা আমি কাউকে বলিনি, কিন্তু আমার মনে হয়েছিল। এখানে এটাও বলে রাখি আমাকে কিন্তু নিসপাল সিংহ অফার করেছিল ‘ব্যোমকেশ’। পরিচালক এবং অভিনেতা দু’টোরই অফার ছিল। আমি দু’মাস ভেবেছিলাম। কিন্তু তার পর দেখলাম এত বেশি ব্যোমকেশ হচ্ছে, এই ভিড়ের ঠেলাঠেলিটা পছন্দ হচ্ছিল না। তাই করিনি।

আজকে কি পরমব্রত আপনি মানবেন আবীর অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন আপনার থেকে?

পরমব্রত: অবশ্যই। যদি ২০১৪-র শেষ দিক থেকে ২০১৫-র শেষটাকে ধরি, তা হলে এই দু’টো ফ্র্যাঞ্চাইজি আবীরকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে আমার থেকে। কে না জানে এই দু’টো ফ্র্যাঞ্চাইজি বাংলা ছবির ব্লাড-লাইন! সেখানে গত বছর ‘কাদম্বরী’ ছাড়া আমার কোনও ছবি বক্স অফিসে তেমন সফল হয়নি। তাই আবীর তো এগিয়ে আছেই।

আবীর, পরমব্রতকে কোনও সাজেশন দিতে চান আপনি?

আবীর: আমি কাউকে সাজেশন দিতে চাই না।

মানে? কম্পিটিটর যদি কিছু ভুল করে, তাকে ঠিক রাস্তা দেখানোর কোনও দায় নেই আপনার?

পরমব্রত: হাহাহাহা...

আবীর: না, সে রকম কিছু না। পরমব্রত ভাল কাজ করছে। কয়েকটা ছবি হয়তো ক্লিক করেনি। কিন্তু সেটা হতেই পারে। আমি শুধু কাজ নিয়েই বদার্ড। অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চাই না।

মানে পরমব্রতর বিয়ে করা উচিত, পার্টি কমানো উচিত— এসব সাজেশন আপনি দেবেন না?

আবীর: কেনই বা দিতে যাব? দিনের শেষে পরমের কাজটা দেখব। সে কতক্ষণ পার্টি করছে, কার সঙ্গে করছে, আমি এসব নিয়ে ভাবতেই চাই না।

পরম, আপনি আবীরকে কোনও সাজেশন দিতে চান?

পরমব্রত: আমি আবীরকে একটা কথাই বলতে চাই। ফ্র্যাঞ্চাইজি তো ঠিক আছে, কিন্তু আমরা যারা অরিজিনাল স্ক্রিপ্টে কাজ করি, সেই স্ক্রিপ্টগুলো করার সময়...

আবীর: এটা একটু অদ্ভুত ব্যাপার। ফ্র্যাঞ্চাইজি কি অরিজিনাল নয়? লোকে ভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি করলেই হিট হবে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও হিট করাতে হয়...

পরমব্রত: আমি সেভাবে বলিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একটা সেট প্যাটার্ন দেওয়া থাকে। সেখানে আমরা যারা আলাদা চরিত্র করি, যেখানে নিজের মতো করে চরিত্রগুলোকে শেডস দিই, এমন ছবিগুলোতে আবীর আরও ভাল করতে পারে বলে আমার ধারণা। সেই চরিত্রগুলোতে আবীর নিজেকে আরও ভাঙতে পারে যেমন ‘কানামাছি’তে ভেঙেছিল।

আবীরের আর একটু কম ডিপ্লোম্যাটিক হওয়া উচিত এটা বলতে চাননি?

পরমব্রত: হ্যাঁ, সেটা তো আছেই। কিন্তু আবীর অনেকটা রাহুল দ্রাবিড়ের মতো। স্টেডি। ঠিক সময় বিয়ে করেছে। সংসারী। কোনও ফ্যান্সি গাড়ি চড়ে না। সেটা ও কতটা বদলাবে জানি না।

আবীর: এখানে আমি আর একটা কথা বলি। এই যে ভাঙার কথা বলছে পরম সেটা নিয়ে। এই বছরে কিন্তু আমার ‘কাটমুন্ডু’ বড় হিট। ডাউনলোডের সংখ্যা দেখলে দেখবেন ‘বোঝে না সে বোঝে না’ কী ‘হৃদমাঝারে’ প্রায় ২০ লক্ষ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

‘ফ্যাব ফাইভ’ আর্টিকেলের পরে শুনেছি, আবীর ঠিক সবার সঙ্গে মিশতে চান না। একটা অ্যাটিচিউড ডেভেলপ করেছে নাকি আপনার?

আবীর: আমি কোনও দিন খুব বেশি পার্টি করতাম না। বললাম না, আমি নিজেকে একটা ‘সোলো’ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সেটা যদি অ্যাটিচিউড মনে হয়, তা হলে ভুল।

থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...

আবীর: থ্যাঙ্ক ইউ।

পরমব্রত: ঝগড়া পেলেন? না পেলে ১৫ জানুয়ারি ‘বাস্তু-শাপ’ দেখে বলবেন প্লিজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE