ফ্লাইটে দেব, কোয়েল, রুক্মিণী
বিমানে উঠেই একটা স্বস্তির শ্বাস ছাড়লেন দেব। ‘‘অবশেষে স্বপ্ন সফল হল,’’ প্রায় স্বগতোক্তির ঢঙে বললেও চোয়ালের দৃঢ় ভাব বুঝিয়ে দেয় কতটা পথ পেরোলে সেটা সম্ভব হয়। আসলে স্বপ্নটাই যে অভিনব। মাঝ আকাশে হবে ছবির মিউজিক লঞ্চ! করলেনও তাই। সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের নিয়ে চার্টার্ড বিমানে পাড়ি দিলেন দুর্গাপুরের কাছে অন্ডাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে। সঙ্গে অবশ্যই রুক্মিণী আর কোয়েল। টেক অফ করার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘অনেক খেটে ছবিটা বানিয়েছে ওরা। প্লিজ সবাই দেখতে যাবেন।’’
পঞ্চাশ আসনের বিমান মাটি ছাড়ার পর যা হল, সেটাকে কোয়েলের ভাষায় ‘পিকনিক’ বলাই ভাল। খাওয়াদাওয়া, হাসি-ঠাট্টা, জমাটি আড্ডা... মিউজিক লঞ্চ বা প্রেস কনফারেন্স তো একটা বাহানা।
• আবহাওয়া খারাপের জন্য বিমান ছাড়তে একটু দেরি। এক সাংবাদিকের ‘কখন ছাড়বে’ প্রশ্নে এগিয়ে এলেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। নিজের স্মার্টফোনে ফ্লাইটট্র্যাকারে দেখালেন বিমানের গতিবিধি। ছবির গবেষণায় যে অনেক সময় দিয়েছেন, সেটা স্পষ্ট।
• রুক্মিণী তাঁর সহযাত্রীর বোর্ডিংপাস পেয়েই মহাখুশি। কারণ তাঁর সহযাত্রীর বোর্ডিংপাসেও যে রুক্মিণীর নাম। টলিউড অবশ্য তাঁকে ‘কোয়েল’ নামেই বেশি চেনে। ‘‘ও তো লাউঞ্জ থেকেই লাফাচ্ছে রুক্মিণী মৈত্র-রুক্মিণী মল্লিক পাশাপাশি,’’ বলছিলেন কোয়েল। দেব গান ধরলেন, ‘রুক্মিণী রুক্মিণী শাদিকে বাদ ক্যায়া ক্যায়া হুয়া’। তা শুনে কোয়েলের টিপ্পনি, ‘... শাদি সে পেহলে...’।
দুই নায়িকার সেলফি
• মিনিট কুড়ির বিমান যাত্রার পর অন্ডাল এয়ারপোর্টে অবতরণ। প্রেস কনফারেন্সে দেবের বাবা গুরুপদ অধিকারীর সঙ্গে সাংবাদিকদের আলাপ করিয়ে দিলেন রুক্মিণী। সাংবাদিক সম্মেলনে যতটা সময় লাগল, দেব-কোয়েল-রুক্মিণীকে তার থেকে কিছু বেশি সময়ই দিতে হল সেলফি শিকারিদের অাবদার মেটাতে। হলেনই বা পুলিশ, আদতে তো বাংলা ছবির ভক্ত!
• ফিরতি বিমানেও খাওয়ার কোনও বিরাম নেই। সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য বিশেষ সন্দেশ তৈরি করিয়েছিলেন দেব। সন্দেশের উপর বিমানের মোটিফ আর লেখা ‘ককপিট’। রুক্মিণীর দিকে সন্দেশের একটা প্যাকেট বাড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নায়িকা। ডায়েট ভুলে সুস্বাদু সন্দেশের অনেকটাই খেলেন। পাশ থেকে দেবের সরস মন্তব্য, ‘‘কলকাতার রসগোল্লা এখন সন্দেশ খাচ্ছে।’’ ইউটিউবে সদ্য রিলিজ করা তাঁর ছবির গানের রেফারেন্স।
সৌরভের সঙ্গে টিম ককপিট
• টলিউডের এক বড় প্রযোজক সংস্থার ছবিও মুক্তি পাবে দেবের ছবির সঙ্গে একই দিনে। রেষারেষি যে সাংঘাতিক পর্যায়ে, তা বলাই বাহুল্য। একই দিনে তারাও সে ছবির নানা সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করেছিল। নাম না করেই দেবের মন্তব্য, ‘‘একজন ঊনত্রিশ হাজার ফুট আর আমি ছত্রিশ হাজার ফুট!’’ বুঝতে অসুবিধা হয় না, কোন অভিযানের কথা বলছেন। ‘ককপিট’ ছবির শ্যুট যে হয়েছিল ছত্রিশ হাজার ফুট উপরে!
ছবি: সুমন বল্লভ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy