রাজবাড়িতে অনির্বাণ
বিদেশি ছবিতে পুতুল-ভূতের তালিকা চাইলে, যে কেউ পেল্লায় একটা লিস্ট ধরিয়ে দেবেন। খানকতক তেমন হিন্দি ছবিও যে পাওয়া যাবে না, তাও নয়। কিন্তু বাংলায়?
আপাতত উত্তরটা ক্যুইজ মাস্টারের হটসিটের জিম্মায় দিয়ে এটুকু বলা যাক, পুতুল-ভূত নিয়ে গপ্পো ফেঁদে থ্রিলার-হরর-সাইকোলজিক্যাল ড্রামার ককটেলে একটা বাংলা ছবির শ্যুট সবে
শুরু হল।
ছবির প্রথম টান যদি ‘ভূত’ হয়, দ্বিতীয় ধাপটিও কম টানবে না! নায়ক যে অনির্বাণ ভট্টাচার্য! ‘ঈগলের চোখ’-এর বিষাণ রায়, ‘দুর্গা সহায়’-এর মাধব, পরপর দু’টো নেগেটিভ রোলে দর্শককে ক্লিন বোল্ড করে এ বার তিনি কীসে? শ্যুটিংয়ের মাঝে ফোনে ধরায় ও পারে রহস্যের হাসি অনির্বাণের, ‘‘বলতে পারেন, ছবিটায় আমি পাগল-প্রেমিক। আবার যে কিনা একটা মনস্তাত্ত্বিক দৌড়ের মধ্য দিয়ে যায়, এটুকুই বলতে পারি।’’
বারুইপুরের রাজবাড়ি। পরপর দু’দিনের শ্যুটে এক দিন অনির্বাণ কাটাবেন সুদর্শনা, নবাগতা অভিনেত্রী দর্শনা বণিকের সঙ্গে। অন্য দিন যোগ দেবেন পোড়খাওয়া টলিউডি সায়নী ঘোষ।
শৈশব-প্রেম। ছাড়াছাড়ি। ছাদ থেকে প্রেমিকের ঝাঁপ। আবার প্রেম। ফোনে হুমকি। ককটেল পার্টি। টলমল নাচ। মদ্যপ গাড়িতে সওয়ার হয়ে পথচারীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া। আবারও প্রেমের ছাড়ান। শেষমেশ শহর থেকে ৭৫ কিমি দূরে পুতুলের বেবি-সিটার হয়ে থাকা এক যুবতী! তার মধ্যেও একের পর এক রোমহর্ষক ঘটনা। খুন। পুলিশ। লোপাট হওয়া লাশ।
সব মিলিয়ে পাল্স-রেট বাড়িয়ে দেওয়ার যাবতীয় মশলা ঢেলে ‘জোজো’ নামের চড়া মাপের গল্পটি লিখেছেন ছবির নির্দেশক অর্ঘ্যদীপ চট্টোপাধ্যায়।
অনির্বাণ এখানে পরদাতেও অনির্বাণ। তানিয়া (দর্শনা বণিক) তার প্রেমিকা। তানিয়ার বন্ধু পৌলমী (সায়নী ঘোষ)। বিলাসপুরের সিংহরায় রাজবাড়িতে তানিয়া বেবিসিটার হয় পুতুল জোজোর। এই বনেদি পরিবারটির কর্তা-গিন্নি পুত্রহারা হয়েছে বহুকাল আগে। তার পর এই জোজোর মধ্যেই খুঁজে পেয়েছে তাদের ছেলেকে। আর তানিয়া এই দম্পতির অবর্তমানে আবিষ্কার করে ফেলেছে, জোজো ঠিক যেন পুতুল নয়! তবে কী? একের পর এক কামড়ে ধরা আতঙ্ক তাকে থাবা বসিয়ে যায় ক্রমশ! তার পর?
শিউরে ওঠা মুহূর্ত, আলো-আঁধারিতে ভয়াল দৃশ্য, বাতাসের গায়ে ছমছমানি তোলা আদুল রহস্যে মোড়া ‘জোজো’। ছবির মুক্তি সম্ভবত নভেম্বরের শেষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy