অরিন্দম
প্র: পরপর গোয়েন্দা ছবি করছেন। একঘেয়ে লাগছে না?
উ: কোথায়! গত বছর ‘দুর্গা সহায়’ আর ‘ধনঞ্জয়’ মু্ক্তি পেল। এ বছর শবর আর ব্যোমকেশের মাঝে বাংলাদেশেরও একটা ছবি করছি সুচিত্রা ভট্টাচার্যর ‘ঢেউ আসে ঢেউ যায়’ নিয়ে। টেলিভিশন সিরিজ ‘ভূমিকন্যা’ করছি। আর ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ প্রেজেন্ট করতে রাজি হলাম কেন, সেটা ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন। ধ্রুব (‘গুপ্তধনের...’ পরিচালক) আচ্ছা আচ্ছা পরিচালকের নাকে ঝামা ঘষে দেবে।
প্র: নিজে পরিচালক হয়ে এ কথা বলছেন!
উ: হ্যাঁ। এখন তো সব ‘মুখেন মারিতং জগৎ’ হয়ে গিয়েছে। আমি প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী।
প্র: আপনার কাছে দুটো গোয়েন্দা ফ্র্যাঞ্চাইজির নিশ্চিত হিট আছে বলেই কি এই আত্মবিশ্বাস?
উ: ব্যোমকেশের কথা বাদ দিলাম। ওটা আইকনিক চরিত্র। কিন্তু শবর নিয়ে যে ভাবে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। তার সঙ্গে একটা প্রেশারও তৈরি হয়েছে। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির তিন নম্বর ছবি তৈরি করা সহজ নয়। এ বারের শবর আগের চেয়ে অনেক বেশি ভায়োলেন্ট। সিরিয়াল কিলিং আছে, অনলাইন ডেটিং সাইটগুলোর আড়ালে কী চলে, তার পর বাবা-মা সন্তানকে সময় না দিলে কী রকম ক্ষতি হয়... এ রকম অনেক বিষয় উঠে এসেছে শবরে।
আরও পড়ুন: ‘মা দুর্গার বুক নিয়েও কমেন্ট করছে লোকে, আমি তো কোন ছার’
প্র: ডেটিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন?
উ: ওহ! সে এক অভিজ্ঞতা বটে। ফেক অ্যাকাউন্ট একটা খোলা হয়েছিল। সেখানে যা সব প্রস্তাব আসছিল, ভাবতে পারবেন না (হাসি)!
প্র: মাঝে তো ভেবেছিলেন শবরের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে বদলে দেবেন। নতুন মুখও ঠিক করে ফেলেছিলেন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন কেন?
উ: অপু যে আবার ক্যামব্যাক করল। থাইরয়েডের জন্য ওর ফিটনেসের সমস্যা হচ্ছিল। এখন সব ঠিক আছে। তবে ওর আরও একটু বেশি এফর্ট দেওয়া উচিত। ফিটনেস আরও বাড়াতে হবে।
প্র: উনি তো সিগারেটও ছেড়ে দিয়েছেন...
উ: হ্যাঁ, তার বদলে অন্য কিছু বেড়ে গিয়েছে (সেই ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি)!
প্র: বলা হয়, আপনি আবির চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি বায়াসড। মানবেন?
উ: (ঠোঁটের হাসিটা ফিরে এল) সত্যিই বায়াসড। তার সঙ্গে এখন আরও কয়েক জনের প্রতি বায়াসড। অনির্বাণ, সোহিনী আর সুদীপ্তা।
প্র: ওয়েব সিরিজে অনির্বাণের ব্যোমকেশ দেখে কি ব্যোমকেশ বদলের ভাবনা মাথায় ঘুরছে?
উ: আবির করছে তো। আর দর্শকও ওকে অ্যাকসেপ্ট করেছে।
প্র: ইন্ডাস্ট্রির মতে, অনির্বাণ কিন্তু আবির, যিশু দু’জনকেই প্রতিযোগিতা দিচ্ছেন।
উ: এমনি এমনি তো আমি বায়াসড হইনি (হাসি)! আমার একটা ছবিতে আবির আর অনির্বাণ একসঙ্গে আছে কিন্তু।
প্র: সরাসরি তুলনা আর প্রতিযোগিতার জায়গাটা খুলে দিলেন তো!
উ: ভাল তো। (আবার সেই হাসি)
প্র: আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন মুখদের সুযোগ দেন না। সেই আবির, যিশু, ঋত্বিক... এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে চরিত্রগুলো।
উ: কী বলছেন! আমি সবচেয়ে বেশি নতুনদের সুযোগ দিয়েছি। অনির্বাণের কথাই ধরুন। আমার আগের শবরে অনেক নতুন মুখ ছিল। এ বারেও আছে।
প্র: এ বার বলুন তো, অঞ্জন দত্তর সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেললেন কী করে? উনি আপনার ব্যোমকেশে অভিনয়ও করছেন!
উ: অঞ্জনদা আর আমি বসে সব মিটমাট করে নিলাম। যা হয়েছে সব কিছুই অভিমান থেকে। অঞ্জনদা ইজ আ ক্রেজি পার্সন। এটা নিয়ে তো কোনও দ্বিমত নেই (হাসি)! এখন আমরা একে অপরের থেকে সাজেশন নিই। সিদ্ধান্ত হয়েছে বছরে একটা করে ব্যোমকেশ আসবে— আমার, নয়তো অঞ্জনদার। একটা খবর দিই আপনাকে। অঞ্জনদা এসভিএফ-এর পরের যে ছবিটা করছেন, সেখানে আমি অভিনয় করছি (ঠোঁটের হাসিটা আবার ফিরে এল)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy