Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

'ডিনারে এখনও কার্টুন দেখি'

আগামী ছবি ‘সমান্তরাল’ নিয়ে তিনি একটু টেনশনে। আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়আগামী ছবি ‘সমান্তরাল’ নিয়ে তিনি একটু টেনশনে। আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়

সুরঙ্গনা

সুরঙ্গনা

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ০০:২০
Share: Save:

শিশুশিল্পী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পরিচিতি আসে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এর মাধ্যমে। কলেজে পরীক্ষাপর্ব সেরে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে আড্ডায় বসলেন। সামনে যে আরও বড় পরীক্ষা!

প্র: ‘সুরঙ্গনা’ নামটা কে দিয়েছেন?

উ: আমার বড়মামা (হাসি)। বাবার খুব ইচ্ছে ছিল, মেয়ের নাম রাখার। মা-ও সাহিত্যের ছাত্রী। তবে এই নামটা মামার খুব পছন্দ হয়।

প্র: নামের মধ্যেই সুর আছে। আর আপনি গায়িকাও...

উ: নামে সুর আছে আর গান গাই, বিষয় দুটো কিন্তু কাকতালীয় (হাসি)। আমার বাবা-মা-দাদু গান পছন্দ করেন। বলতে পারেন, ওঁদের জন্যই গানে আগ্রহ বেড়েছে। তবে কোনও দিন প্রশিক্ষণ নিইনি। স্কুলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। প্রাইজও পেয়েছি। ‘ওপেন টি...’তে আমার লিপেই গান ছিল। আর সৃজিতদা’র (মুখোপাধ্যায়) ‘উমা’ ছবিতে অনুপম রায়ের গাওয়া একটি গান গেয়েছি।

প্র: মাইকেল জ্যাকসনের নাচও নাকি পারেন...

উ: ভরতনাট্যম শিখেছি। ওয়েস্টার্নে ফ্রি স্টাইলের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। শেষ পারফর্ম করেছি, তা প্রায় আট বছর হয়ে গেল! কিন্তু মাইকেল জ্যাকসন তখনও প্রিয় ছিল, এখনও। ওটা বদলাবে না (হাসি)।

প্র: নাচ-গান ছেড়ে অভিনয়কে বেছে নিলেন কেন?

উ: আমি ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ছবির অফার পাই। তখন দশ বছর বয়স। নতুন অভিজ্ঞতা হবে, সেই ভেবে গিয়েছিলাম। তবে অভিনয় নিয়ে সিরিয়াসলি কখনও ভাবিনি। ‘ওপেন টি...’ করেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। লোকে আমাকে চিনতে শুরু করে। আমি নিজেকেও নিজে চিনতে পারি। ‘ওপেন টি...’ থেকে ঋদ্ধি (সেন) ও রাজর্ষি (নাগ) ভাল বন্ধু হয়েছে। আর হাইস্কুলের বন্ধু প্রত্যূষা। আমাদের চার জনের গ্রুপ আছে।

প্র: আপনার সাক্ষাৎকার হলে ঋদ্ধির প্রসঙ্গ উঠবেই। এটা কি বিরক্তির কারণ?

উ: একেবারে নয়। জীবনে পরিবারের যেমন অবদান থাকে, বন্ধুদেরও থাকে। বন্ধু হিসেবে, সহ-অভিনেতা হিসেবে অনেক কিছু শিখেছি ওর কাছ থেকে। হি ইজ মোর লাইক আ টিচার।

প্র: অভিনয় ছাড়া ঋদ্ধির কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?

উ: ম্যাচিয়োরিটি। কয়েকটি বিষয়ে আমি একটু ইমপালসিভ ছিলাম। সেন্সিবিলিটিও শিখেছি।

প্র: ঋদ্ধির সঙ্গে মেলামেশা নিয়ে আপনার বাড়িতে আপত্তি ছিল?

উ: একেবারেই নয়। কোনও বন্ধুর ক্ষেত্রে নেই, তা হলে ঋদ্ধির ক্ষেত্রে কেন হবে? তবে আমাদের সমাজ বাঁধা গতে ভাবতেই পছন্দ করে।

প্র: ‘সমান্তরাল’ ছবিতে আপনার চরিত্রটা কি জটিল?

উ: চরিত্রটার নাম তিতলি, ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। সে প্রাণোচ্ছ্বল, আবার সংবেদনশীলও। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তা করে। অর্কর (ঋদ্ধির চরিত্র) মামার স্বরূপ খুঁজে বের করতে তিতলি সাহায্য করে।

প্র: এই ইন্ডাস্ট্রিতে কোন দু’টি বিষয় ‘সমান্তরাল’ চলে?

উ: বেশ কঠিন প্রশ্ন। (কিছুক্ষণ ভেবে) মেয়েদের ক্ষমতায়নের কথা বলি। আবার আইটেম সং-ও হচ্ছে। আর এটা শুধু টলিউডে নয়, সব ইন্ডাস্ট্রিতেই হচ্ছে।

প্র: ব্যক্তিজীবনে কোন দু’টি বিষয় ‘সমান্তরাল’ চলতে পারে না?

উ: ধরুন, কারও পছন্দের বিষয় ইংরেজি। কিন্তু সে অর্থনীতি পড়ল, কারণ তাতে কাজের সুযোগ বেশি। নিজে সেই কাজটা করে সে অন্যকে বলে, ‘ফলো ইয়োর হার্ট’। এই দুটো বিষয় একসঙ্গে চলতে পারে না।

প্র: আর প্রেমের ক্ষেত্রে?

উ: দুটো সম্পর্ক একসঙ্গে চলতে পারে না। বাবা-মাকেও আমরা সমান ভালবাসি না। আমার অভিজ্ঞতা কম, তবু দেখেছি দুই সন্তানকেই শুধু বাবা-মা সমান ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখে।

প্র: পরিচিতি উপভোগ করছেন?

উ: এত মানুষ হাসিমুখে এসে কথা বলেন, সেটা বড় পাওয়া (হাসি)।

প্র: ফ্রি টাইম কী ভাবে কাটান?

উ: ‘মাস্টারশেফ’ দেখতে ভীষণ পছন্দ করি। ডিনারে বসে এখনও কার্টুন দেখি। ছবি দেখতে পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে প্রিয় ঘুম। পরীক্ষার জন্য এখন ঘুমোতে পারছি না, এটা যে কী কষ্টের (হাসি)!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE