তব্বু
দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে ২৪ বছর কাটিয়ে দিলেন তব্বু। বিভিন্ন জঁরের ছবিতেই অভিনেত্রী তাঁর প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। ‘মাচিস’, ‘হু তু তু’র মতো ছবিতে তিনি যতটা সাবলীল, ততটাই স্বচ্ছন্দ ‘গোলমাল এগেন’-এর মতো ছবিতেও। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি ‘মিসিং’। সাক্ষাৎকার দিতে তাঁর খুব একটা ভাল লাগে না। কথা বলার আগেই শর্ত দেওয়া হল, জোধপুর কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা ও সলমন খানকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন রাখা যাবে না।
এত বছর পরেও কোন ধরনের চরিত্র পেলে উত্তেজিত হন? প্রশ্নটা শুনেই নায়িকার মুখে দেখা গেল একচিলতে হাসি। বললেন, ‘‘একই ধরনের চরিত্র আমি কখনও করতে চাইনি। এখনও চাই না। এমন চরিত্রের খোঁজেই থাকি, যা আমাকে কোনও অদেখা বা অচেনা পৃথিবীর সঙ্গে আলাপ করাবে। সুযোগ পেলে আমার আম্মির চরিত্রে অভিনয় করতে চাইব। ওঁর জীবন খুব ঘটনাবহুল ছিল।’’ এই প্রজন্ম কি সব ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারে? জবাবে অভিনেত্রী হালকা মেজাজে বললেন, ‘‘প্রযোজক পরিচালককে চাপ দিচ্ছে। পরিচালক অভিনেতাকে। আর অভিনেতা তাঁর টিমকে। আমরা এ সব নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি। যত বেশি চিন্তা করব, তত বেশি খোলসের মধ্যে ঢুকে যাব। একটু হালকা ভাবেই বিষয়গুলি নেওয়া উচিত।’’
পর্দায় অনেক বলিষ্ঠ নারীচরিত্রে দেখা গিয়েছে তব্বুকে। নারীর ক্ষমতায়ন বলতে কী মনে হয়? অভিনেত্রী বলছেন, ‘‘আমার মতে, আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হলেই ক্ষমতায়ন হয় না। কেউ যদি নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন, তাতেও নিজেকে স্বাবলম্বী ভাবতে পারেন। মানুষ যখন কাউকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসে, সেটাও এক ধরনের ক্ষমতা তৈরি করে। তবে আমি যখনই যে চরিত্র করেছি, এ সব ভেবে কিন্তু কিছু করিনি। আর একটা কথা মানি যে, নারী-স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তাভাবনা বন্ধ হলেই সত্যি সত্যি ক্ষমতায়ন হয়েছে বলে ভাবতে পারব।’’
ব্যক্তিজীবনে তব্বু গোপনীয়তা রাখতেই পছন্দ করেন। বলছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিই ঠিকই। তবে বেশি কথা লিখি না। প্রতি মুহূর্তের আপডেট দেওয়াও পছন্দ করি না।’’ অবসর যাপনের জন্য তব্বুর সঙ্গী গান, বই। ‘‘সাঁতার ও ব্যায়াম করে নতুন উদ্যম পাই। আর কিছু করার না থাকলে, ঘুরতে চলে যাই।’’
তব্বু কিন্তু বন্ধুবৎসলও। তিনি মনে করেন, ‘‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুঁজি বন্ধুরা। অজয় (দেবগণ), ফরহা (খান) আমার অনেক দিনের বন্ধু। এঁরা ছাড়া আমি কিন্তু অসম্পূর্ণ। তবে আমার সব ছবির নায়কের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব আছে।’’ খুব শিগগিরই অজয়ের সঙ্গে আরও একটি ছবিতে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে তব্বুকে। ১৯ বছর পর তাঁরা পর্দায় রোম্যান্স করবেন। অন্য ধরনের ছবিতে বেশি দেখা গেলেও তব্বুর ‘গোলমাল এগেন’ বাণিজ্যিক ভাবে ভীষণ সফল। সেই কথা বলতেই অভিনেত্রী বেশ গদগদ কণ্ঠে বললেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই আমি এমন একটা ছবির অপেক্ষা করছিলাম, যা বক্স অফিসে খুব ভাল ফল করবে! এই ছবির সাফল্যে আমি খুবই খুশি। তবে এই ছবি থেকে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী ছিল, জানেন? জনি ভাইয়ের (লিভার) সঙ্গে গল্প। শুটিংয়ের ফাঁকে সুযোগ পেলেই গল্পে বসে যেতাম আমরা। নির্ভেজাল মজা করেছি এই ছবির শুটিং চলাকালীন।’’
পার্টি করতে তব্বুর একটুও ভাল লাগে না। হাজার কাজের ফাঁকে ইন্ডাস্ট্রির বাকিরা যখন পার্টি করে চাপমুক্ত হন, তখন তব্বু আবার উল্টো পথেই হাঁটা পছন্দ করেন। নায়িকা বলছেন, ‘‘ধুর, পার্টি করে মজা হয় নাকি! আমি কোনও পার্টিতে যাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy