Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘লক্ষ্য’ই এখন আমার জীবনের লক্ষ্য

ভাইপো লক্ষ্য নাকি তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি একতা কপূরভাইপো লক্ষ্য নাকি তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি একতা কপূর

একতা

একতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০০:১৫
Share: Save:

তাঁকে বলা হয় টেলিভিশনের ‘প্রাইম টাইম কুইন’। এখন যদিও তাঁর নজরে ডিজিটাল মাধ্যম। তাঁর প্রযোজিত ‘বোস: ডেড অর অ্যালাইভ’ ওয়েব সিরিজের প্রচারে শহরে এসেছিলেন একতা কপূর।

প্র: ‘বোস...’ নিয়ে ছবি না করে ওয়েব সিরিজ বানালেন কেন?

উ: দেখুন, ওয়েবের বিস্তৃতি ছবির দুনিয়ার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। হল থেকে ছবি চলে যাওয়ার পরে টেলিভিশন আর ওয়েবেই তো সবচেয়ে বেশি মানুষ ছবিটা দেখে। ছবির ক্ষেত্রে টাকারও প্রশ্ন আছে। কোনও উইকএন্ডে দর্শক যদি হলে না যান, তবে সে ছবির কপাল মন্দ। কিন্তু ওয়েব সিরিজে সেই ভাবনা নেই। ছবির ক্ষেত্রে সময় বাঁধা। এখনকার ছবি তো দু’ঘণ্টার বেশি হয় না। এই সিরিজের ৯টি এপিসোডের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২৫ মিনিট। আড়াই ঘণ্টা তো এখানেই হয়ে গেল। ছবিতে তা সম্ভব নয়।

প্র: টেলিভিশন কি জনপ্রিয়তায় ওয়েবের কাছে পিছিয়ে পড়ছে?

উ: এই প্রশ্নের উত্তরে আমি পাল্টা প্রশ্ন করব। রক কনসার্টে যাতায়াত বাড়লে কি বাড়িতে দীপাবলি সেলিব্রেট করা হয় না?

প্র: মানে দুটোই থাকছে?

উ: সব থাকবে। ১২০ কোটির দেশ। এত ধরনের লোক, এত রকমের পছন্দ। আমি যা ওয়েবে দেখব, সেটা টেলিভিশনে দেখব না। কারণ ওয়েবে আমি এমন কিছু দেখব, যা একার উপভোগ্য। আবার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে যখন টেলিভিশন দেখছি, তখন এমন কনটেন্ট দেখব যেটা পরিবারের সকলের পছন্দ হবে। টেলিভিশনে যদি বাড়ির সদস্যের একাংশের একঘেয়েমি আসে, তা হলেও দেখবেন আর এক দল আগ্রহ পাচ্ছে।

প্র: কিন্তু ইন্টারনেটের দর্শককে তো কোনও গ্রুপে ফেলা যায় না...

উ: হ্যাঁ, সেই জন্যই বাঁধাগতের বাইরে বেরোতে হবে। একটা নির্দিষ্ট দলের টেস্ট যদি বুঝে ফেলা যায়, তা হলেই কাজ শেষ। ডিজিটালের এটাই সুবিধে, একটা ছোট দুনিয়া ধরে ফেলতে পারলেই আমাদের ব্যবসা হয়ে যাবে।

প্র: ইন্টারনেট কনটেন্টের উপর সেন্সরের কাঁচি নেই...

উ: আমার মতে, ‘বোস...’-এর ক্ষেত্রে সেন্সরের ছাড় পাওয়া হয়তো একটু কঠিন হতো। কারণ অনেক বিষয় খোলাখুলি দেখানো হয়েছে। কিন্তু অসম্ভব বোধহয় ছিল না। তবে কথা হচ্ছে, ওই ঝামেলার মধ্যে কেন যাব? যদি কিছু বানাতে হয়, তার জন্য ভয় পেয়ে কী লাভ? এমন একজন দেশপ্রেমিককে নিয়ে গল্প বোনা হয়েছে, যিনি সেটাই করেছিলেন যেটা তাঁর কাছে ঠিক মনে হয়েছিল। একটুও ভয় পাননি। আর আমরা সেন্সরের ভয়েতে মরি। বর‌ং এর চেয়ে ওই বিষয় নিয়ে কাজ না করাই ভাল। কিন্তু যদি করি, তবে যে মাধ্যমে সেই গল্প দেখানো উচিত, যেমন ভাবে দেখানো উচিত, সেটা করাই সমীচীন। আমরা সেটাই করেছি।

প্র: আপনার প্রযোজনা সংস্থার শেষ কয়েকটি হিন্দি ছবি তো চলেনি...

উ: বেশ কয়েকটা খুব খারাপ ছিল (হাসি)। তবে এই বছরে দুটো হিট হয়েছে। ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ আর ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’। সেই জন্য গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্তও ভেবেছিলাম, আর ছবি বানাব না। কিন্তু এই বছরের জুনের পর সিদ্ধান্ত বদলেছি (হাসি)। নাও আই অ্যাম ব্যাক টু মুভিজ।

প্র: ছবির ক্ষেত্রে কেমন কনটেন্ট বাছবেন?

উ: কোনও ফিক্সড কনটেন্ট নয়। ওয়েবে কিছু দেখার আগেও দর্শক এখন কত কী ভাবে! আর ছবি তো টিকিট কেটে দেখবে। তার জন্য আরও বেশি ভাববে (হাসি)।

প্র: এই বছরে বলিউড তো কনটেন্টের দিকে ঝুঁকছে...

উ: দেখুন, সব ধরনের ছবির দর্শক আছে। ‘গোলমাল এগেন’ ব্লকব্লাস্টার। তার মানে যখন ‘মশালা অডিয়েন্স’-এর জন্য ছবি হচ্ছে, তাদেরকে খুশি করতে হবে। আবার ‘নিউটন’-এর মতো ছবি বানালে আর্বান দর্শককে খুশি করতে হবে। আর কীসের জন্য টাকা খরচ করব, সেটা সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত।

প্র: লক্ষ্য (তুষার কপূরের ছেলে) আসার পর জীবন কতটা বদলাল?

উ: জীবনের মোড় ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। ও-ই আমার জীবনের লক্ষ্য (হাসি)। আমি এখন সকাল সাড়ে সাতটায় উঠি। আগে আমার বাড়িতে কারও সাহস ছিল না, ওই সময়ে আমাকে ডাকার। তুষার সকালে ওঠে। লক্ষ্যও তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে। আমার দরজায় এসে কড়া নাড়ে। আমি চাইলেও আর ঘুমিয়ে থাকতে পারি না। ওকে ঘরে ডেকে নিই(হাসি)।

প্র: বিয়ের কোনও ভাবনা-চিন্তা...

উ: ওটা ভাবনা-চিন্তার স্তরেই। তার বেশি এগোয় না (হাসি)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE