প্র: আপনার অফিসে গীতা আছে?
উ: কেন? শপথ করাবেন?
প্র: হ্যাঁ।
উ: না, গীতা নেই, সঞ্চয়িতা আছে। তবে কিছু লাগবে না। সব সত্যি কথাই বলব।
প্র: একটা জোক শোনা যাচ্ছে, আপনাকে নাকি বঙ্গ প্রেমিকবিভূষণ পুরস্কার দেওয়া হবে। নেবেন?
উ: আমি প্রেমিক মানুষ। সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভালবাসার মধ্যে কোনও দোষ নেই। যারা এই উপাধি নিয়ে কথা বলছে, তারা বোধহয় একটু ফ্রাস্ট্রেটেড। ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে বিয়ে করা যায়। কিন্তু ও ভাবে ঘোষণা করে প্রেম করা যায় না। প্রেম বিষয়টা যতক্ষণ গোপন থাকে, ততক্ষণই সেটার মজা। লোকজনকে জানিয়ে প্রেম করতে হবে নাকি? এ বার লোকে বলবে চুমু খেলেও জানিয়ে খেতে হবে!
প্র: টলিউডের হিরোদেরও আপনি গসিপে পিছনে ফেলে দেবেন!
উ: পরিচালক রাজ চক্রবর্তী হিসেবেও কিন্তু আমাকে নিয়ে আলোচনা হয়। মিডিয়া গসিপ নিয়ে লিখতে চায় তাই লেখে।
প্র: আপনি, শুভশ্রী আর মিমিকে নিয়ে যা লেখা হয়েছে আনন্দ প্লাসে সেটা ভুল বলছেন?
উ: দেখুন, আমি সত্যি কথা বলব আগেই বলেছি। তাই স্পষ্ট করেই বলছি, শুভশ্রীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। কিন্তু সেটা নিয়ে ঢাক-ঢোল পেটাতে চাইনি। আর বললাম তো লুকিয়ে প্রেম করার মধ্যেই মজা।
প্র: তা হলে প্রশ্নটা সোজাসুজি করে ফেলা যাক। আপনার সঙ্গে শুভশ্রীর সম্পর্ক আছে না নেই?
উ: এই মুহূর্তে আমি সিঙ্গল।
প্র: আপনারা কি বিয়ে করছেন?
উ: না। আমার আর শুভশ্রীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল এটা সত্যি। কিন্তু কিছু সমস্যা হচ্ছিল। শুভ খুব ভাল মেয়ে। আসলে আমাদের মধ্যে অনেক লোকজন ঢুকে প়ড়ল। কিছু পরিচিত লোক নানা রকম গেম খেলতে লাগল। আমাকে এক রকম কথা বলছে তার পর অন্য জায়গায় গিয়ে সেটা ঘুরিয়ে বলছে। এগুলো ক্রমশ পরিবারকে এফেক্ট করতে থাকল। সেখানে দাঁড়িয়ে মনে হল, আমি আর বিষয়টা ব্যালান্স করতে পারছি না। এই সমস্যাটা আমাদের দু’জনেরই হল। আর একটা জিনিস, ইন্ডাস্ট্রির প্রচুর মানুষ চাইছিল না, আমাদের সম্পর্কটা টিকে থাকুক।
প্র: আপনাদের দু’জনের সম্পর্ক থাকবে কি থাকবে না, সেটা ইন্ডাস্ট্রির কেউ ঠিক করার কে?
উ: সেটা ঠিকই। কিন্তু এর জন্য নানা জটিলতা তৈরি হল। আর চাইবে নাই বা কেন? তবে আমাদের বিয়ে হলে একটা খাওয়া পাওনা হতো।
প্র: বরং ব্রেকআপ পার্টি দিন!
উ: আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে আর অন্য লোক পার্টি করেছে সে খবরও আছে। যাক গে, ও সব বিষয় আর বলতে চাই না। আমি আর শুভশ্রী রিলেশনে ছিলাম আর আমরা দু’জনে মিলেই ব্রেকআপের
সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দু’জনেই এখন কাজকে প্রায়োরিটি দিতে চাই। আমাদের বাড়ির লোকজনও সাফার করছিল। এত ঝামেলা করে একটা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানে হয় না।
প্র: শুভশ্রীর সঙ্গে ব্রেকআপ নিয়ে মিমি কী বলছেন?
উ: মিমির সঙ্গে আমার কথা হয়নি। আর জটিলতা বাড়াতে চাইছি না।
আরও পড়ুন:দেব মহিমা
প্র: মিমির সঙ্গে আপনার ব্রেকআপের পর প্রথম দিকে তো কথাবার্তা ছিল না। পরে আবার সেটা শুরু হয়...
উ: দেখুন, আমাদের সম্পর্ক ছিল চার বছর। আমরা ভাল বন্ধু ছিলাম। তাই মিমির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরও ওর প্রতি কোনও তিক্ততা ছিল না। শুভশ্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই মানে, ওর প্রতি আমার শ্রদ্ধা চলে গিয়েছে তা তো নয়।
প্র: মিমির সঙ্গে কি নতুন করে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে?
উ: আমার মনে হয়, বন্ধুত্ব রাখাই ভাল। আর কোনও সম্পর্কে যেতে চাই না।
প্র: এই জন্যই আপনার ঘনিষ্ঠরা বলে, রাজ প্রেম করবে কিন্তু কাউকে বিয়ে করবে না...
উ: সে যে যা খুশি বলুক। এটা বুঝতে পেরেছি যে, আমার দ্বারা সম্পর্ক সামলানো যাবে না। এ বার প্লিজ আমরা একটু ‘চ্যাম্প’ নিয়ে কথা বলি? সামনে আরও একটা ছবি আছে। যেটায় কিন্তু মিমি নয়, অঙ্কুশ আর নুসরত আছে।
প্র: আপনার আর দেব দু’জনের কাছে তো ‘চ্যাম্প’ গুরুত্বপূর্ণ। দু’জনেরই অনেক দিন হিট নেই?
উ: আমার ‘কাট-মুণ্ডু’ ব্রেক ইভন করেছিল। ‘অভিমান’ও ভাল ছবি ছিল। ‘চ্যাম্প’ নিয়ে আশাবাদী। এই ধরনের ছবি আগে বানাইনি। আর দেব অসম্ভব ভাল অভিনয় করেছে। যা প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তাতে ছবিটা ভাল চলবে বলেই মনে হয়।
প্র: বলা হতো, বাণিজ্যিক ছবির মশলা রাজ সবচেয়ে ভাল মাখতে পারেন। সেই জায়গা ক্রমশ বিরসা দাশগুপ্ত নিয়ে নিচ্ছেন...
উ: আমিও বলছি, বিরসা খুব ভাল ছবি বানায়। ও আমার চেয়ে অনেক বেশি পড়াশোনা জানে। ও ভাল ছবি বানাবে না তো কে বানাবে?
প্র: জিতের ‘বস টু’ এবং সলমন খানের ‘টিউবলাইট’ও একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে...
উ: ‘চ্যাম্প’ আর ‘বস টু’ মিলে ‘টিউবলাইট’-এর ফিউজ উড়িয়ে দেবে।
লভলাইফ নিয়ে কথা নয়
রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে শুভশ্রীর বিচ্ছেদ হয়েছে না কি হয়নি? আদৌ কি তাঁদের মধ্যে প্রেম ছিল নাকি পুরোটাই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে একটা ‘সাজানো ঘটনা’? রাজ-শুভশ্রীর মাঝে রাজের প্রাক্তন বান্ধবী মিমির প্রবেশ, তার জেরে ব্রেকআপ এবং শুভশ্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা... এ রকম বহু প্রশ্ন যখন তাঁদের ভক্তকুলের মুখে-মুখে ফিরছে, তখন আনন্দ প্লাস যোগাযোগের চেষ্টা করে শুভশ্রীর সঙ্গে। কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘‘লভলাইফ নিয়ে কোনও প্রশ্ন আমি শুনতে পর্যন্ত রাজি নই।’’ তিনি মুখ না খুললেও রাজের এহেন স্বীকারোক্তির পর বোঝা যাচ্ছে, সত্যি, ‘রাজ’ নে বড়া দুখ দিয়া...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy