Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘আমি সকলের সামনে ক্ষমা চাইতে রাজি’

কপিল শর্মা! যাঁর কথায় দর্শককুল হেসে কুটিপাটি, এ বছর তিনি নিজেই শিকার হয়েছিলেন ডিপ্রেশনের। জুড়িদার সুনীল গ্রোভার, আলি আসগর এবং বাল্যবন্ধু চন্দন প্রভাকরের সঙ্গে ঝগড়া... সব মিলিয়ে কপিল ধরাশায়ী। তাঁর সিগনেচার শো ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ এখন অফ এয়ার। কিন্তু তাঁর ছবি ‘ফিরঙ্গি’ খুব শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে। সব বিতর্কের জবাব নিয়ে আনন্দ প্লাস-এর মুখোমুখি কপিল শর্মা কপিল শর্মা! যাঁর কথায় দর্শককুল হেসে কুটিপাটি, এ বছর তিনি নিজেই শিকার হয়েছিলেন ডিপ্রেশনের। জুড়িদার সুনীল গ্রোভার, আলি আসগর এবং বাল্যবন্ধু চন্দন প্রভাকরের সঙ্গে ঝগড়া... সব মিলিয়ে কপিল ধরাশায়ী। তাঁর সিগনেচার শো ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ এখন অফ এয়ার। কিন্তু তাঁর ছবি ‘ফিরঙ্গি’ খুব শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে। সব বিতর্কের জবাব নিয়ে আনন্দ প্লাস-এর মুখোমুখি কপিল শর্মা

কপিল শর্মা

কপিল শর্মা

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

প্র: ‘ফিরঙ্গি’র ট্রেলার লঞ্চ থেকে আজ পর্যন্ত কী রকম ফিডব্যাক পেয়েছেন?

উ: ‘কিস কিস কো প্যায়ার করু’র মতো স্ল্যাপস্টিক কমেডি ফিল্ম করার পর হয়তো আমার কাছ থেকে দর্শকের অন্য কিছু আশা ছিল। ‘ফিরঙ্গি’ একটি পিরিয়ড ফিল্ম। তবে ছবিটা একদম অন্য ধরনের। চেষ্টা করেছি অন্য কিছু দেখানোর। দর্শকদের ট্রেলার পছন্দ হয়েছে দেখে ভাল লাগছে। বাকিটা অপেক্ষা...

প্র: এত বিতর্ক আপনাকে নিয়ে যে, বিতর্কে আপনাকে সলমন খানের ছোট ভাই বলা হচ্ছে!

উ: আমি তো ঈশ্বর নই, ভুল মানুষ মাত্রই করে। আমি সকলের সামনে ক্ষমা চাইতে রাজি, যাঁরা আমার জন্য দুঃখ পেয়েছেন। আমার সম্পর্কে মিডিয়া যখন এত কথা লিখছিল, তখন আমার তা পড়ার সময় ছিল না। ‘ফিরঙ্গি’র শ্যুটিং নয়তো শো নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। আমি ছবিটার প্রযোজকও বটে, তাই মাঝখানে কিছু টাকার অভাব হয়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়াতে শো করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওখানে শোয়ের দিন একটা বড় ঝামেলা হয়ে যায়। স্টেজে ওঠার ঠিক আগের মুহূর্তে আমার টিমের একটি মেয়ে এসে বলে, সে পারফর্ম করতে পারবে না। সেই সময় আমার মাথায় আর কিছু আসছিল না, কারণ আমার দেড় ঘণ্টার পারফরম্যান্স ছিল আর সেই সময় বাল্যবন্ধু চন্দন প্রভাকরের সঙ্গে আমার খুব কথা কাটাকাটি হয়। সেই ঝগড়া চলতে থাকে আমাদের ইন্ডিয়া আসার ফ্লাইট পর্যন্ত। সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে আমার কোনও ঝগড়া হয়নি। হ্যাঁ, ওর খারাপ লেগেছিল, আমি যেভাবে চন্দনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার আর সুনীলের কোনও সমস্যা ছিল না। আমি সুনীলকে খুব শ্রদ্ধা করি, ও খুব বড় মাপের আর্টিস্ট। ও যখন আমার শো ছেড়ে অন্য চ্যানেলে শো করতে গেল, তখন আমার চ্যানেলের কর্মকর্তারা বলেছিল, ওর বিরুদ্ধে কেস করবে। কিন্তু সেটা আমি হতে দিইনি। সুনীল পরবর্তী কালে আমার শো-তে ফেরতও আসে। আমাদের কোনও ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স বা ইগোর সমস্যা ছিল না। তবে আমি জানি, চট করে অনেকেই সব কিছু ভুলে যেতে পারে না। সুনীলকে আমি আমার ফিল্ম লঞ্চের দিন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তখন ও দেশের বাইরে ছিল।

আরও পড়ুন: বিপ্লবী, তবু পিতৃতান্ত্রিক

‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এ সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে

প্র: এত সাফল্য দেখার পর, এই উচ্চতায় এসে একাকিত্ব অনুভব করেন?

উ: যখন আমাকে নিয়ে এত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, তখন আমি ব্যস্ত ছিলাম শ্যুটিংয়ে। কিন্তু তার পর একটা সময় এল, যখন নিজেকে নিয়ে একের পর এক স্টোরি পড়ে খুব আপসেট হয়ে পড়েছিলাম। প্লেনের মধ্যে আমার সুনীলকে জুতো ছুড়ে মারা, আমাকে বাদ দিয়ে বাকিরা খাবার খেয়ে নিয়েছে বলে আমার রাগ করা... এ সব কথা এক বর্ণও সত্যি নয়। সেই সময়ে আমি আমার অফিসে সারা দিন বসে থাকতাম। কারও সঙ্গে দেখা করতাম না। ফোন সুইচড অফ থাকত। খুব ড্রিংক করা শুরু করেছিলাম। আমার সারা দিনের সঙ্গী ছিল পোষা কুকুরটা। একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। নিজের টিম থেকে দূরে চলে গিয়েছিলাম, সেটা মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। যখন আমি আমার শোয়ের শ্যুটিং বন্ধ করি, মা জানতেন ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাইক চলছে, তাই শ্যুটিং বন্ধ। এই কঠিন সময়ে আমার বন্ধু ‘ফিরঙ্গি’র ডিরেক্টর রাজীব ধিঙ্গরা আমাকে খুব সাহায্য করেন।

প্র: যে শো আপনাকে ‘দ্য কপিল শর্মা’ বানাল, সেই শো বন্ধ করে দিলেন!

উ: শ্যুটিং চলাকালীন আমার অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হত, কোনও কিছুতে মন বসাতে পারতাম না। সারা রাত জেগে থাকতাম। শুধু মনে হত, লোকে আমার নামে এ সব মিথ্যে খবর পড়ে কী ভাবছে! মাঝে বেঙ্গালুরু চলে যাই, ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য। ২৪ নভেম্বরের পর আমি আমার শো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করব এবং নিশ্চয়ই আবার ফিরব টেলিভিশনে। সকলের ভালবাসা, শ্রদ্ধা আবার ফিরে পেতে চাই।

প্র: এমনও শোনা যাচ্ছে, শাহরুখ খান থেকে সলমন খান, সবাই নাকি আপনার উপর রেগে আছেন। এটা কি সত্যি?

উ: মিথ্যে। শাহরুখ খানের সঙ্গে আমার শ্যুট ক্যানসেল হয়েছিল আমার জন্যই। সলমন খানের সঙ্গেও আমার কোনও সমস্যা নেই। কন্ট্রোভার্সি সকলের জীবনে থাকে, কিন্তু চর্চা সবাইকে নিয়ে হয় না। আমরা পরিচিত মুখ, তাই আমাদের নিয়ে চর্চা করতে সকলে পছন্দ করে। একবার ভাবুন, যদি আগেও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ফোরাম থাকত, তা হলে আমরা পুরনো স্টারদের সম্পর্কে কত কিছু জানতে পারতাম (হেসে)!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE