টাইগার
প্র: ‘বাগী টু’-তে আমরা নতুন কী দেখব?
উ: যখনই কোনও অ্যাকশন ফিল্ম সই করি, আমার মাথায় সব সময় কাজ করে, হোয়াটস নিউ ইন দিস ফিল্ম? ‘বাগী টু’-এর জন্য আমার স্ট্যামিনা আরও বাড়িয়েছি। মাসল বানিয়েছি। এমন কোনও স্টান্ট করিনি, যা আমাকে আগে করতে দেখা গিয়েছে। এই ছবিতে দর্শক আমাকে আর দিশা পাটনিকে প্রথম বার একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখতে পাবেন। তাই কৌতূহলও অনেক।
প্র: আপনার স্টান্ট কিন্তু পর্দায় দেখে মনে হয় খুব রিস্কি! ভয় লাগে না ওগুলো করতে?
উ: যে দিন আমি স্টান্ট করার আগে ভয় পাব, সে দিন থেকে অ্যাকশন করা ছেড়ে দেব। ভয় পেলে তা আমার মুখে-চোখেও দেখা যাবে। তা হলে দর্শক কী ভাবে বিশ্বাস করবেন? আমি বডি ডাবল কখনও ব্যবহার করি না। অন্য কেউ স্টান্ট করলে, তাঁর কৃতিত্ব আমি কেন নেব?
প্র: মা-বাবাকে জানান এই সব ভয়ঙ্কর স্টান্ট সম্পর্কে?
উ: আমার মা খুব বিন্দাস। বাবা ভীষণ টেনশন করেন। বাড়িতে জানালে আমাকে এ সব কোনও দিন করতে দিতেন না। আসলে বাবা দেখেছেন সেটে অভিনেতারা কী রকম ঝুঁকি নিয়ে এ সব করেন। আমি তাই চুপচাপ থাকি। প্রিমিয়ারের দিন যখন জানতে পারেন, তখন বকাঝকা করেন। আমি বাবার নাম আরও উজ্জ্বল করতে চাই। আর মায়ের জন্য সম্প্রতি মুম্বইয়ে জমি কিনেছি। এখন ওইটুকুই সামর্থ্য।
আরও পড়ুন: ‘কাজের অভাবে পর্দা থেকে সরে ছিলাম, এমনটা নয়’
প্র: দিশার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে অনেক খবর শোনা যাচ্ছে। আপনিই বলুন তার কতটা সত্যি?
উ: দিশা আমার খুব ভাল বন্ধু। তাই ওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও খুব ভাল। রোম্যান্টিক দৃশ্যেও আমাদের মধ্যে জড়তা নেই। দু’জনেই লাইমলাইটে আছি, তাই আমাদের নিয়ে লেখালিখি হয়। কারও সঙ্গে ডিনার করলেই সে আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাবে? এটা কোনও লজিক নয়।
প্র: ঝুলিতে মোট পাঁচটা ছবি। এর মধ্যেই নিজের একটা ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেছেন। কী ভাবে দেখেন নিজের স্টারডমকে?
উ: খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকের অনেক ভালবাসা পেয়েছি। তাই ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। কখনও কোনও কিছুকে হালকা ভাবে নিই না। অভিনয়ে আসার আগে সব সময় ভাবতাম, এমন কী করতে পারি, যা আমাকে অন্যের চেয়ে আলাদা করবে। আজ টাইগার শ্রফের নাম নিলে সবচেয়ে আগে মাথায় যে শব্দ দুটো আসে, তা হল অ্যাকশন আর ডান্স। আর হ্যাঁ, স্টারডম এনজয় করি, কিন্তু মাঝে মাঝে অল্প বিরক্তও লাগে, কারণ আমার কোন প্রাইভেসি নেই।
প্র: নিজেকে চাপমুক্ত রাখেন কী ভাবে?
উ: ঘুমিয়ে (হেসে)! সারা বছরই আমার স্পেশ্যাল ডায়েট চলে, তার সঙ্গে ওয়র্কআউট। তাই মাঝে মাঝে ডায়েট ভেঙে বড়া পাও বা পছন্দের স্বাদের আইসক্রিম খেয়ে নিই। নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেও খুব ভালবাসি।
প্র: এখন তো নিজের কাজ নিয়ে প্রচণ্ড ফোকাস্ড। টাইগার ছোটবেলায় কী রকম ছিলেন?
উ: ছোটবেলায় খুব শান্ত ছিলাম। স্পোর্টসম্যান ছিলাম, তাই খেলাধুলো নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতাম। ম্যাচ খেলতে যেতাম। প্র্যাকটিস করতাম। খুব ডিসিপ্লিনড ছিলাম। এখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও, সেই ডিসিপ্লিনড লাইফটাই ফলো করি। আমি বাবার একদম উল্টো (হেসে)।
প্র: অ্যাকশন-ডান্স নির্ভর ফিল্ম ছাড়া অন্য কিছু ট্রাই করবেন?
উ: এই মুহূর্তে আমার ছবি অ্যাকশন-ডান্স দিয়েই চলছে, আরও কিছু দিন চলুক এ ভাবে। আমির খান আমার বাবাকে জগ্গু বলে ডাকেন। উনি একবার বলেছিলেন, ‘জগ্গু, আমি যখন প্রত্যন্ত গ্রামে যাই, ওখানে দেখি জ্যাকি শ্রফ আর সঞ্জয় দত্তকে সবাই চেনে। এখনও ওখানে ‘খলনায়ক’, ‘হিরো’, ‘তেরি মেহেরবানিয়া’... দেখতে ভালবাসেন দর্শক। অ্যাকশন সুপারস্টারদের একটা বড় কানেকশন থাকে দর্শকের সঙ্গে। রমকম গ্রামের লোকে কখনওই দেখবে না।’
প্র: পরের ফিল্ম ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার-টু’-এর প্রস্তুতি চলছে?
উ: ‘বাগী টু’-এর একদম উল্টো প্রস্তুতি। চুল একটু বড় করব। মাসলগুলো কমাব। ক্লিন লুক হবে, জামাকাপড়ও একটু লুজ পরব। ‘স্টুডেন্ট...’-এর চরিত্র তাই আমার এখনকার লুকের বিপরীত। এর পর হৃতিক রোশনের সঙ্গে ছবি, তার পর ‘বাগী থ্রি’-এর শুটিং শুরু করব। আর তার পর ‘দেশি র্যাম্বো’।
প্র: আপনার আইডল হৃতিক রোশনের সঙ্গেও তো একটা অ্যাকশন ছবি করছেন। আপনি কি একটু নার্ভাস?
উ: আমি সত্যিই জানি না সেটে গিয়ে কী ভাবে হৃতিক স্যারের সামনে ডায়লগ বলব! উনি আমার ইনস্পিরেশন। ওঁর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সবই কী নিখুঁত! ওঁর চেয়ে বড় ডান্সার আর কেউ নেই। ওঁকে ম্যাচ করাটা আমার কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy