Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শুধু খোঁজাই সার

বৃষ্টিভেজা পাহাড়ি শহর রিমটিক। একদিন পুলিশের কাছে খবর আসে, এক বাড়ি থেকে মহিলার চিৎকার ভেসে আসার। টহলে যায় ইন্সপেক্টর সায়ন বসু (বিক্রম চট্টোপাধ্যায়)।

অরিজিৎ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ১২:৪৫
Share: Save:

খোঁজ

পরিচালনা: অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়

অভিনয়: বিক্রম, শতাফ, পুনম, ললিত

৫/১০

রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। হঠাৎ পাশের বাড়ি থেকে এক মহিলার চিৎকার কানে এল। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন? না, এ প্রশ্নের কোনও নীতিমূলক উত্তর ছবিতে দেওয়া নেই। তার দরকারও ছিল না। ‘খোঁজ’ আদ্যোপান্ত এক থ্রিলার, যার শুরু অবশ্য ওই মহিলার চিৎকার দিয়ে।

বৃষ্টিভেজা পাহাড়ি শহর রিমটিক। একদিন পুলিশের কাছে খবর আসে, এক বাড়ি থেকে মহিলার চিৎকার ভেসে আসার। টহলে যায় ইন্সপেক্টর সায়ন বসু (বিক্রম চট্টোপাধ্যায়)। ডা. প্রশান্ত চৌধুরীর (শতাফ ফিগার) বাড়ি গিয়ে জানতে পারে, ডাক্তারবাবুর স্ত্রী জোনাকি (সুস্মিতা দে) অসুস্থ, ইনজেকশন দেওয়ায় চিৎকার করছিল। যদিও চিৎকারের উৎসের সঙ্গে দেখা হয় না পুলিশের। জোনাকিকে প্রতিবেশীরাও নাকি কেউ দেখেনি। টুইস্টের এই সবে শুরু। পর দিনই স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরি করতে থানায় হাজির হন ডা. চৌধুরী! আপাত নিস্তরঙ্গ শহুরে জীবনে ঢেউ খেলে যায়। পুলিশের সন্দেহ ডাক্তারবাবু খুন করেছে স্ত্রীকে। সত্যিই কি তাই? জানতে হলে ছবিটা দেখতে হবে। ছবির প্রথম অর্ধ ঠিকঠাক এগোলেও ক্লাইম্যাক্সে গোল পাকিয়ে গেল!

ছবির গল্প টানটান। থ্রিলারের মশলা আছে চিত্রনাট্যে। রাজা নারায়ণ দেবের আবহসংগীতও মানানসই। তবে চমকে দেবে দৃশ্যগ্রহণ! মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা, রোদ... এমন ভাবে ক্যামেরায় ধরেছেন রিপন চৌধুরী যে, ছবিটা দেখে দার্জিলিং মেলের টিকিট কাটতে না-চাওয়া একমাত্র পাথর-হৃদয়ের মানুষের পক্ষেই সম্ভব! তবু ফার্স্ট ডিভিশন দেওয়া যাবে না পরিচালক অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়কে।

প্রথম ভুল অবশ্যই কাস্টিং। শতাফ যেমন সারাক্ষণ চড়া দাগের অভিনয় করে গেলেন। বিক্রম আবার ‘ইচ্ছেনদী’ ধারাবাহিকের অনুরাগই রয়ে গেলেন। তাই বোধহয় সন্দেহভাজনের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারলেন না লাজুক পুলিশ ইন্সপেক্টর! কিংবা তদন্তে নেমে সাহায্য চাইবেন ডাক্তারের কাছেই! নাকি সেও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ, তাই? বাস্তবে যেমন, অনিচ্ছাকৃত হত্যায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করেও পুলিশকর্তা ঘোষণা করেছেন, তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে! মনে রাখার মতো অভিনয় বলতে পুনম গুরুঙ্গ আর ললিত মাল্লা। কাস্টিংয়ের মতো যুক্তিও চিত্রনাট্যে কয়েক জায়গায় আলগা। আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর দিন রক্তাক্ত জামায় কেউ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারে কি?

তবে প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে পরিচালককে এটুকু ছাড় দেওয়া যেতে পারে। চিত্রসম্পাদক শুভজিৎ সিংহ যে ছবিটাকে দু’ঘণ্টার মধ্যে রেখেছেন, সেটাই বা কম কী!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE