মনমিত ও হরমিত সিংহ
তাঁদের আসল নামে অনেকেই হয়তো চেনেন না। কিন্তু তাঁদের কম্পোজ করা গান টিনএজারদের প্লেলিস্টের একদম উপরে। ‘বেবি ডল’, ‘পিঙ্ক লিপস’, ‘হাই হিলস’, ‘হ্যাংওভার’, ‘চিটিয়া কলাইয়া বে’-এর মতো পার্টি সংয়ের কম্পোজার মিত ব্রাদার্স সম্প্রতি শহরে এসেছিলেন। বলিউডের নামী কম্পোজারদের ভিড়ে রীতিমতো সাড়া ফেলেছে হরমিত ও মনমিত সিংহের জুটি।
আপনাদের গান মানেই তো পার্টি সং। এই প্রজন্ম কি মেলোডি শুনতে পছন্দ করে না? ‘‘পার্টি সং বানানো সহজ নয়। ইন্ডাস্ট্রির পাঁচ-সাত জন কম্পোজারই পার্টি সং বানান। মুম্বইয়ে হাজার হাজার মানুষ রোজ আসেন কম্পোজার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। তাঁদের সকলের কাছেই মেলোডি আছে। কিন্তু পার্টি সং বানাতে তাঁরা চান না,’’ ফোনে বলছিলেন মনমিত। মিত ব্রাদার্সের সুরের তো কোনও নিয়ম কানুন নেই। ‘‘এখন সময় ফাস্ট। জেনারেশন ফাস্ট। মানুষ এমন মিউজিক শুনতে চান যা, তাঁরা দ্রুত কনজিউম করতে পারবেন। তাই আমাদের সংগীত হল চটজলদি কফির মতো। নিয়ম মেনে করতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যাবে। অত সময় মানুষের এখন নেই,’’ সাফ জবাব মনমিতের।
বলিউডে মিত ব্রাদার্স ট্রেন্ডসেটার। হরমিত বলছেন, ‘‘আমরা নিজে থেকেই বলেছিলাম, সব ক’টা গান না করে একটা ছবির দু’তিনটে গান কম্পোজ করব। এতে অনেকেই প্রথমে অবাক হয়েছিলেন। একটা ছবির গান না চললে পুরো পরিশ্রম জলে! সেই সময়ে আমরা যদি পাঁচটা ছবির দশটা গান করতে পারি, সেটা অনেক বেশি কাজের। আর এখন বেশির ভাগ ছবিতেই মাল্টি কম্পোজার। সকলে আমাদের পথই অনুসরণ করছে।’’
হরমিত ও মনমিত স্বভাবের দিক থেকে আলাদা হলেও চিন্তাভাবনায় এক। তবে সুরের ক্ষেত্রে হরমিত ইন্ডিয়ান ও মনমিত ওয়েস্টার্ন। ‘‘তাই আমাদের গানে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিল আছে,’’ বলছেন মনমিত। তাঁর পছন্দের গান ‘গার্ল আই নিড ইউ’ (বাগি) আর হরমিতের ‘শার্ট দ্য বাটন’ (ক্যায়া সুপার কুল হ্যায় হম)। দুই ভাই গর্ব করে বলছেন, ‘‘আগামী এক বছর হিন্দি ছবির ৬০-৭০ শতাংশ গানে থাকবে পঞ্জাবি এসেন্স।’’ তাঁদের লাকি চার্ম গায়িকা কণিকা কপূর, সানি লিওনি ও গীতিকার কুমার। তাঁদের দল থেকে অঞ্জন ভট্টাচার্য বেরিয়ে গেলেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে কোনও ছেদ হয়নি বলে জানালেন মিত ব্রাদার্স।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপলক্ষে তাঁরা বানিয়েছেন সিঙ্গল ‘ইয়ারি বে’, যেখানে গান গেয়েছেন প্রকৃতি কক্করও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy