জেডেন
লুই ভিতোর ফ্যাশন শোয়ে জেডেন স্মিথ এসেছিলেন এক্কেবারে সাদামাঠা সাজে। কিন্তু মুখ খুলতেই চমক। ধাঁধাঁ লাগল ছেলের হাসিতে। সোনালিরঙা চুল ও জামার সঙ্গে ম্যাচ করে, দাঁতের নীচের পাটিতে সোনা পরেছেন তিনি! নিমেষে ক্লিক ক্লিক ক্লিক। জেডেনের সঙ্গে ছবি তুলতে প্রায় হুমড়ি খেতে খেতে ছুটে এলেন ‘গেম অব থ্রোনস’-এর সানসা স্টার্ক। মানে সোফি টার্নার।
এ ভাবেই ১৯ বছরের জেডেন আবারও প্রমাণ করলেন, কেন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত টিন-তারকা। বাবা উইল স্মিথের বিখ্যাত ‘এক্স ফ্যাক্টর’ আর ‘চার্ম’ টগবগ করছে মধ্যম পুত্র জেডেনের শিরায়। মা জেডা পিঙ্কেট স্মিথের থেকে প্রাপ্তি সুর-তালের বোধ। অভিনয়ে নেমেছিলেন মাত্র দু’বছর বয়সেই, ‘মেন ইন ব্ল্যাক টু’ ছবিতে। ‘দ্য পারস্যুট অব হ্যাপিনেস’-এ অন স্ক্রিনেও বাপ-ছেলে সেজে দুর্দান্ত জমিয়ে দিয়েছিলেন উইল-জেডেন।
দশ বছর হতে না হতেই অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেডেন শুরু করলেন গান লিখতে ও গাইতে। র্যাপের রাজা হওয়াই তাঁর লক্ষ্য। তার পর শুরু করলেন মডেলিং। ২০১৩ সালে শুরু নিজের ফ্যাশন-লাইন। সেই বছরই তাঁর ১৫ বছরের জন্মদিনের উপহারে বাবা উইল স্মিথ সমাজের বন্ধন ও রীতিনীতি থেকে মুক্ত করে দিলেন ছেলেকে।
তখন থেকেই কলেজে তিনি মাঝেমধ্যেই আসতেন বেণী বেঁধে, স্কার্ট পরে। ছুটে যেত পাপারাৎজির দল। ক্রসড্রেসার হিসেবেও রীতিমতো চোখ টেনেছেন জেডেন। তাঁর গানের অ্যালবাম বিকোচ্ছে বেশ। যদিও অনেকেই বলছেন, ওর গান ঠিক বুঝি না। তবে জেডেন থেমে নেই। তিনি আত্মবিশ্বাসী। এই জন্যই ক্রসড্রেসিং এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ক্যারি করেন। অল্পবয়সিদের ডাক দেন দ্বিধাহীন আর অকুতোভয় হতে। সেই দেশের ‘আঠেরো বছর বয়স’ তাঁর এই স্পর্ধায় বেশ মুগ্ধ।
তবে এক বার আইকন হয়ে গেলে শুধু সাহসই যথেষ্ট নয়। দরকার দায়িত্বেরও। তরুণ সমাজকে উন্নয়নের পথ দেখানো। এ বার জেডেনের দিকে সেই উদ্দেশ্যেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy