শুভশ্রীর সঙ্গে দেব।
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মু্ক্তি পাচ্ছে ‘ধূমকেতু’। যে ছবি নিয়ে দেবের সঙ্গে প্রযোজক রানা সরকারের একটা সময় বিস্তর মনোমালিন্য হয়েছিল। আর্থিক সমস্যার কারণেই মূলত ঝামেলার সূত্রপাত। দু’পক্ষের কেউই তখন কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি! যে কারণে ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ছবি এত দিন বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে ছিল। তবে এ বার তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেছেন। ১৫ অগস্টের ছুটির সময়েই মুক্তি পাবে ‘ধূমকেতু’।
দেব এবং প্রযোজকের সম্পর্ক যে দিকে বাঁক নিয়েছিল, সেখানে সন্ধিপ্রস্তাব অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। সেখান থেকে মীমাংসার রাস্তায় তাঁরা এলেন কী করে? রানার বক্তব্য, ‘‘দেখুন, কোনও প্রযোজকই ইচ্ছে করে ছবি ফেলে রাখেন না। ছবি রিলিজ না করলে আমার তো ক্ষতি হবেই। তবে তার চেয়েও বড় ক্ষতি পরিচালক, অভিনেতাদের! তাঁদের সেরা কাজ নষ্ট হয়ে যেত! এর আগে অনেক বার মিটমাট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েও শেষ অবধি সমস্যা মেটেনি। আশা করি, এ বার আর কোনও সমস্যা হবে না!’’
ছবি মুক্তি প্রসঙ্গে দেব বললেন, ‘‘অনেক বার এ রকম রিলিজ ডেট জেনেছি। আগে ছবিটা মুক্তি পাক, তার পর এ নিয়ে কিছু বলব। এর আগে আমি টুইটও করেছিলাম ২৫ ডিসেম্বর ‘ধূমকেতু’ রিলিজ হবে। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পর আমি সত্যিই ভয়ে-ভয়ে আছি, আদৌ ছবিটা মুক্তি পাবে তো!’’ অবশ্য দেব নিজে একাধিক বার বলেছেন, ‘ধূমকেতু’ তাঁর কেরিয়ারের সেরা কাজ। ছবিতে দেবের লুক চমকে দেওয়ার মতো! ‘‘আমার সেরা কাজের কথা ছেড়েই দিন। এ রকম ছবি বাংলাতেও আগে হয়নি। আশি বছরের এক বৃদ্ধকে নিয়ে ছবি কি বাংলায় হয়েছে? এটা তো তিন-চার বছর আগেকার ছবি। এমন নয় যে, ‘ককপিট’ বা ‘কবীর’-এর মতো ছবি আমি এখন করছি। অন্য ধরনের ছবি করার চেষ্টা চার বছর আগে থেকেই শুরু করেছিলাম। আমি যে ছবিগুলো করছি, প্রত্যেকটাই অভিনেতা এবং প্রযোজক হিসেবে খুব চ্যালেঞ্জিং। যখন আমি ‘ধূমকেতু’ সই করি, তখন ‘কবীর’-এর মতো ছবি ছিল না আমার কাছে। ‘কবীর’ আমার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ফিল্ম। তবে ‘ধূমকেতু’ও ততটাই চ্যালেঞ্জিং। ছ’ঘণ্টা লাগত মেকআপ করতে! তার পর ওই নিয়ে শুট করা। এ বছর যদি ‘ধূমকেতু’ মুক্তি পায়, আমার চেয়ে বেশি খুশি কেউ হবে না,’’ বেশ আশাবাদী শোনাল অভিনেতাকে।
দেব-শুভশ্রী জুটির ক্যামব্যাক দেখতে দর্শককে অগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy