রাতের চেয়েও অন্ধকার হবে আগামী সকাল। মানুষ হবে পিশাচ। অতিকায় মাকড়সা খুবলে নেবে অঙ্গ। এ ভাবেই ধ্বংস হবে পৃথিবী।
‘দ্য টাইম মেশিন’-এর ভবিষ্যদ্বাণীতে বর্ণিত এই মহাকাল থেকে সভ্যতাকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছে কয়েক জন আঠেরো। পাশ্চাত্য এমন ‘প্রলয় আসছে’ ধরনের কল্পবিজ্ঞান প্রায়ই লেখে। তেমনই তিন পর্বের ‘ডিস্টোপিয়ান’ বা নেতিবাদী উপন্যাস জেমস ড্যাশনারের। যার ভিত্তিতে তৈরি ‘মেজ রানার’ সিরিজ।
প্রথম সিনেমায় কয়েক জন কিশোরকে বন্দি করা হয়েছিল এক মানুষখেকো গোলকধাঁধায়। দ্বিতীয় সিনেমায় তারা গিয়ে পড়েছিল ঊষর মরুভূমিতে। মৃত্যুর তাড়া খেয়ে তাদের মধ্যে যারা বেঁচে ছিল, তারাই নাকি বিষরক্তের মহামারী থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করবে। কী করে তারা আনবে সেই বিশল্যকরণী, সেই ভয়ঙ্কর রাস্তায় কে মরবে, কে মরেও বেঁচে উঠবে, কে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, এই সবের উত্তর দিয়ে শেষ হয়েছে সিরিজটি।
উন্নত মানের ফিল্ম সিরিজ তৈরির নিয়ম হল, প্রতিটা সিনেমা ইটের মতো একটার গায়ে একটা সেঁটে থাকবে, কিন্তু একলাও ফ্যালনা নয়। একটা দেখলেই আগের ও পরের ছবিগুলো দেখতে ইচ্ছে করবে। এই নিয়মকে উড়িয়ে দিয়েছেন নির্মাতারা। আগের সিনেমাগুলো যাঁরা দেখেননি, তাঁদের এই সিনেমা দেখার অধিকারটুকুই দেননি।
মেজ রানার: দ্য ডেথ কিয়োর
পরিচালনা: ওয়েস বল
অভিনয়: ডিলান ও’ব্রায়েন,
কি হং লি, এডান গিলেন
৪.৫/১০
ছবি দেখতে দেখতে মাথা চেপেও ধরতে পারেন দু’হাতে। কারণ সিনেমাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেল থেকে পালানো কয়েদিদের কাহিনি। ‘গেম অব থ্রোনস’ খ্যাত এক ভিলেন তাঁর ফ্যাঁসফেসে গলা, আর সাপের মতো অভিনয় দিয়ে নিষ্ফল চেষ্টা করেছেন। শিউরে ওঠা, চোখ বুজে ফেলা সব দৃশ্য পরপর ঠেসে আতঙ্ক জমানোর চেষ্টা করেছেন চিত্রনাট্যকার।
তবে এ বার জমেছে রসায়ন। তিন ছবির পর মুখ্য চরিত্রাভিনেতাদের দলটির মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া দেখা গিয়েছে। এঁদের নিয়ে অন্য গল্পে অন্য ছবি করলে সব রকমের দর্শকই হলমুখী হতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy