স্যাভি। ছবি: সুদীপ্ত চন্দ।
প্র: বাঙালি ছেলের নাম স্যাভি!
উ: আমার পুরো নাম সৌভিক গুপ্ত। আমি ‘অভিলাষা’ নামে একটা ব্যান্ডে বাজাতাম। সেই ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট আমায় স্যাভি বলে ডাকতেন। সেই থেকেই...
প্র: আপনার স্টুডিয়ো তো দেখছি সেলিমপুরে। এখানেই থাকেন বরাবর?
উ: আমার বাড়ি বেহালায়। বাবা এখনও থাকেন ওখানে। ওই পাড়ায় তাই যাতায়াত লেগেই থাকে। এখানে মাসির বাড়ি। ক্লাস নাইন থেকেই মাসির কাছে চলে আসি, প়ড়াশোনার সুবিধের জন্য। নব নালন্দায় পড়তাম, টিউশন, স্কুলের সুবিধে হতো। তার পর বি টেক করে ব্যান্ড শুরু করি। তখন থেকেই এই পাড়ার বাসিন্দা। পরে নিজের ফ্ল্যাটও কিনেছি এখানে।
প্র: ছোটবেলা থেকেই কি গানবাজনার শখ?
উ: আর পাঁচটা বাঙালি পরিবারে গানের চর্চা যেমন হয়... আমার দিদিও গান শিখত। কিন্তু আমি কোনও দিন গান শিখিনি। ছোটবেলায় আমাকে তবলা শেখানোর প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু আমার মন ছিল খেলাধুলোয়। গলি ক্রিকেট তো চলতই। বেহালা ক্লাবে আন্ডার থার্টিনও খেলেছি। ‘রোজ়া’র অ্যালবাম শুনে গানের প্রতি প্রথম আগ্রহ তৈরি হয়। এ আর রহমানের কম্পোজ়িশন আমার দারুণ লাগে। তখন মনে হল, গান নিয়ে কিছু করব। মাধ্যমিকের পর কি বোর্ড শেখা শুরু করলাম। তার পর ‘অভিলাষা’য়... পরে ‘ক্রিস্টাল গ্রাস’ নামে নিজের ব্যান্ড তৈরি করি। অঞ্জন দত্ত, নীল দত্তকেও অ্যাসিস্ট করেছি একটা সময়ে।
প্র: টলিউডে এলেন কী ভাবে?
উ: গান বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করতাম। হিমাংশু ধানুকা ফেসবুক থেকে আমার গান শুনে যোগাযোগ করেন। তখন জিতের ‘ফাইটার’ ছবির কাজ চলছে। সেই ছবিতে প্রোমো মিউজ়িক করার সুযোগ পাই। তার পরই ‘খোকাবাবু’র ‘খোকা চালু চিজ়’ গানটি... ব্যস! আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
প্র: তার পর থেকেই বাংলা বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গীতে...
উ: না, শুধু বাণিজ্যিকে আর থেমে নেই। এখন তো প্যারালাল ছবিতেও কাজ করছি। এই যেমন ‘বিবাহ ডায়েরিজ়’, ‘ঘরে অ্যান্ড বাইরে’... এগুলো তো একটু অন্য ধরনের ছবি। সামনেই ‘জেনারেশন আমি’ ছবির মিউজিকও করছি। কিন্তু এত কাজ করলেও আমাকে কেউ পুরস্কার দেওয়ার যোগ্যই মনে করেনি (আক্ষেপের সুরে)।
প্র: কার কার সঙ্গে কাজ করেছেন?
উ: অরিজিৎ সিংহ, শান, আরমান মালিক, অনুপম রায়, লগ্নজিতা চক্রবর্তী... সকলের সঙ্গেই কাজ করেছি। অরিজিৎ তো আমার স্টুডিয়োয় এসে গানও গেয়েছে।
প্র: এ আর রহমানের সঙ্গে দেখা হয়েছে কখনও?
উ: মুম্বইয়ে এক বার একটা শোয়ের কাজে গিয়েছিলাম। সেখানে এ আর রহমানও ছিলেন। কাজ শেষে তিনি যখন বেরোচ্ছেন, আমি একটা অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। উনি সোজা ‘না’ করে দিয়ে চলে গেলেন। খুব শক্ড হয়েছিলাম।
প্র: আর রিলেশনশিপ স্টেটাস?
উ: পাঁচ বছর হল বিয়ে করে সংসার করছি ঊষসীর সঙ্গে। আমার আড়াই বছরের যমজ ছেলেও আছে, ইভান আর ভিহান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy