Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

যিশু, আবিরেরা পেলেও তিনি পাননি, সেই দুঃখে কি একটু মলম পড়ল?

এখানে গোয়েন্দার ব্যক্তিগত জীবনেও ট্র্যাজেডি আছে। স্ত্রী আর কর্মজীবনের মধ্যে একটা বেছে নিতে হবে, সেই রকম পরিস্থিতি আসে। পার্থ যখন একটি জটিল কেস নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময়েই তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গুলি লেগে মারা যায়। পার্থ ইস্তফা দেয় চাকরিতে।

ছবিতে পরমব্রতর লুক।

ছবিতে পরমব্রতর লুক।

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ
শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১৬:৫০
Share: Save:

তাঁর সমসাময়িক অনেকের হাতে একটা করে গোয়েন্দা সিরিজ আছে। এত দিনে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্যেও শিকে ছিঁড়ল। তবে দুই মলাটের কোনও চরিত্র নয়, ছবির জন্যই গল্প লেখা হয়েছে।

পরমব্রতর চরিত্রের নাম পার্থ সেন। সে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার। পরিচালনায় ঋক বসু। যিনি আগে পাওলি দামকে নিয়ে ‘দেবী’ করেছেন। ঋকের কথায়, ‘‘কারও বাড়ির ডায়েরি চুরি, গণেশ চুরির মতো নয় এই ছবির গল্প। একদম আধুনিক সমাজের উপযোগী করে লেখা হয়েছে পার্থ সেনের চরিত্রটা।’’

এখানে গোয়েন্দার ব্যক্তিগত জীবনেও ট্র্যাজেডি আছে। স্ত্রী আর কর্মজীবনের মধ্যে একটা বেছে নিতে হবে, সেই রকম পরিস্থিতি আসে। পার্থ যখন একটি জটিল কেস নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময়েই তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গুলি লেগে মারা যায়। পার্থ ইস্তফা দেয় চাকরিতে। একটা সময় সারা দেশ থেকে পরপর মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে। পার্থর অমীমাংসিত কেসের সঙ্গে সেই ঘটনার যোগসূত্র থাকে। অতএব, পার্থ তার সহকর্মী জয়িতার অনুরোধে ফের আসরে নামে।

গোয়েন্দা এসে হারিয়ে যাওয়া মেয়েদের উদ্ধার করবে, এতটা সহজ-সরল ছকে ঋক তাঁর গল্প ভাবেননি। থ্রিলার একটা সময়ে সায়েন্স ফিকশনের রূপ নেয়। বাংলা ছবিতে সুপার সোলজারেরও দেখা মিলেবে! তবে বিষয়টা এখনও খোলসা করতে না চাওয়া পরিচালকের বক্তব্য, ‘‘আর কতদিন আমরা একই ধরনের থ্রিলার ছবি দেখে আসব? বাংলা সাহিত্যে তো আর গোয়েন্দাও বাকি নেই। নতুন কিছু করার তাগিদ থেকেই এটা ভাবা।’’

পরিচালকের আশা, এই গোয়েন্দাকে নিয়ে তিনি পরপর তিনটি ছবি করবেন। এমন ভাবনার জন্য তো বড় প্রযোজক প্রয়োজন? ‘‘কুইন্টেলসের নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় আমাদের ছবি প্রযোজনা করছে। নীলাঞ্জন সদ্য পড়াশোনা শেষ করে বাংলা ছবি প্রযোজনায় এসেছে। ছবির প্রায় পুরো টিমই যাকে বলে ইয়ং ব্লাড। যাতে তিনটি ছবি করা যায় সেই রকম পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগিয়েছি।’’


ঋতাভরী, সৌরসেনী

বাঁধাগতের গোয়েন্দা গল্প নয় বলে পরমব্রতও রাজি হয়েছেন। বললেন, ‘‘বাংলা ছবিতে এত গোয়েন্দা চরিত্র হচ্ছে যে, আমারও প্রথমে ইচ্ছে ছিল না। তবে পার্থ সেন বাংলার ক্লাসিক্যাল গোয়েন্দার মতো নয়। কিছুটা হলিউডি গোয়েন্দাদের মতো। মানুষটার মধ্যেও গ্রে শেড আছে। ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি আছে...’’ পরমব্রতর সমসমায়িক যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায়রা দিব্যি একটা করে গোয়েন্দা সিরিজ অভিনয় করছেন। সেই দুঃখে কি একটু মলম পড়ল? ‘‘দুঃখ বলব না। তবে একটু তো মনে হতোই। আসলে আমারও ধারণা ছিল, আমার মুখ গোয়েন্দা হিসেবে ভাল লাগবে না। কিন্তু ঋক যে ভাবে আমার লুক ডিজাইন করেছে তাতে ভাল লেগেছে,’’ বললেন পরমব্রত।

তিনি আপাতত মুম্বইয়ে অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে ‘পরি’ ছবিতে অভিনয় করছেন। অল্প কয়েক দিনের বিরতিতে কলকাতায় ফিরেছেন। তবে পার্থ সেন ছাড়া আরও একটি গোয়েন্দা চরিত্র তিনি করছেন। বাংলাদেশের ওয়েবসিরিজে তাঁকে ফেলুদার চরিত্রে দেখা যাবে।

ছবিতে পরমব্রতর সহকারী জয়িতার ভূমিকায় ঋতাভরী চক্রবর্তী। সে-ই পার্থ সেনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কলকাতার জনপ্রিয় মডেল সৌরসেনী রয়েছেন ঊর্মি নামক চরিত্রে। যাকে খুঁজতে পার্থ ফিরে আসে। শতাফ ফিগারকে দেখা যাবে খল চরিত্রে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE