মুম্বইতে ভীষণ বৃষ্টি। বৃষ্টির জন্যই বোধ হয় ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। চোখ খুলে আই ফোনটা চালু করতেই দেখলাম হোয়াটসঅ্যাপে আনন্দplus থেকে দিম্মার ছবি পাঠিয়েছে।
কিছু দিন আগে ফেসবুকে দেখেছিলাম আমার মায়ের সঙ্গে মহারানি গায়ত্রী দেবীর একটা ছবি ‘ভাইরাল’ হয়ে গিয়েছে। অনেকে বোকার মতো গায়ত্রী দেবীকে দিম্মা ভেবে বসে। এগুলো দেখি আর ভাবি এদের কি কোনও কাজ নেই! তাই প্রথম যখন হোয়াটসঅ্যাপে ছবিটা দেখি, ভাবলাম এটাও বোধহয় সেই রকম ‘ভাইরাল’ হয়ে যাওয়া কোনও ছবি।
কিন্তু ভাল করে দেখতেই বুঝলাম এটায় কোনও ভুল নেই। এটা দিম্মাই। আপনাদের সুচিত্রা সেন। কোথা থেকে ছবিটা আনন্দplus পেল, অবাক হয়ে যাচ্ছি।
এক ঝলক দেখেই মনে হল, এই দিম্মাই তো আমার ছোটবেলার দিম্মা। সত্যি এক ছবিতেই কত স্মৃতি। দিম্মার এই ছবিটা সেই সময়কার, যখন দিম্মা নিজেকে একেবারে সরিয়ে নিয়েছিল। তাই এই দিম্মাকে সত্যি এত দিন খুব কম মানুষই দেখেছেন।
সেই সময় আমরা হ্যারিংটন ম্যানসনস-এ থাকতাম। আর দিম্মা থাকত বালিগঞ্জে। শুক্রবার বিকেলে স্কুলের ছুটি হলেই আমরা গাড়ি করে সোজা দিম্মার বাড়ি।
আমাদের বাকি সব কাজিনও চলে আসত উইকএন্ড কাটাতে। মায়ের ছোট মাসির মেয়েরা, তৃণা, লগ্না— এরাই ছিল আমার আর রিয়ার খেলার সঙ্গী।
যে চেয়ারটা দেখছেন ছবিতে, সেই চেয়ারটা ছিল দিম্মার সবচেয়ে প্রিয়। ছোটবেলায় মনে আছে, ওই চেয়ারে চড়ে আমি দিম্মাকে কত ধামসেছি, আদর করেছি, চুমু খেয়েছি... এই চেয়ারের মাথার পিছনেও উঠতাম আমরা। আর দিম্মা আমাদের সাবধানে নামিয়ে দিত। আজ এত বছর পর এই ছবিটা দেখে তাই বুকের ভিতরটা হুহু করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy