ছবিতে শ্বাশত ও অঞ্জনা।
জুলাই মাসে যিনি পরদায় আসতে চলেছেন রণবীর কপূরের বাবা হয়ে, এ মাসে তিনিই কিনা একটি বাংলা ছবির শ্যুট শেষ করলেন এক মানসিক রোগগ্রস্ত সাহিত্যিকের চরিত্রে।
তিনি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সিঙ্গাপুরবাসী আইটি প্রফেশনাল নবারুণ সেন নিজেরই গল্প ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিয়ে যে ছবি করছেন, শাশ্বত সেখানে এমনই একটি চরিত্রে। পরদায় তার নাম কৌশিক।
কৌশিক একটি কাহিনি লিখছে, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র বিপিন। পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও এক জমিবিতর্কে এই বিপিন হারিয়েছে তার মা, স্ত্রী, এমনকী কন্যাকেও। কাহিনিটি লিখতে লিখতে কৌশিকের মধ্যে অদ্ভুত একটি পরিবর্তন আসতে থাকে। গল্পের চরিত্রগুলো যেন তার সামনে হেঁটেচলে বেড়ায়। সে তাদের সঙ্গে কথা বলে। রক্তমাংসের মানুষেরা যা কিছু আদানপ্রদান করে, কৌশিক তা-ই যেন করতে থাকে তার চরিত্রদের সঙ্গে।
প্রচণ্ড বিচলিত হয়ে তার স্ত্রী সুমনা (অঞ্জনা বসু) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। যেখানে কৌশিকের চিকিৎসার ভার নেয় দীপা (সায়নী ঘোষ)। দীপার ধারণা হয়, কৌশিক আক্রান্ত হয়েছে ‘ডিস-অ্যাসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার’ নামে জটিল রোগে।
এই সময়ই এক লড়াকু সহকারী চিত্র পরিচালক ঋত্বিক (কৌশিক কর) ‘বিপিন’ কাহিনিটি কোনও
এক খবরের কাগজে পড়ে সাহিত্যিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার বাড়ি এসে কৌশিকের পরিণতি জানতে পারে।
রোগীর চিকিৎসার অংশ হিসেবে ডাক্তার দীপা এর পরই ঠিক করে, ‘বিপিন’-এর কাহিনি নিয়ে সুমনার সঙ্গে যৌথ ভাবে তারা একটি ছবি তৈরি করবে। যার নির্দেশক হবে ঋত্বিক।
মন আর মননের এক আশ্চর্য খেলার আলোছায়ায় ধরা কাহিনিটি কি বিপন্নতা থেকে মুক্তি দেবে সাহিত্যিক কৌশিককে! এ নিয়েই জটিল মনস্তাত্ত্বিক ছবি ‘দ্বিখণ্ডিত’। শ্যুটিং পর্ব প্রায় শেষ। মুক্তি হয়তো বা বছরের শেষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy