Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Presents

আশ্রয়

কে বলেছে বৃদ্ধাবাস মানে শুধু হা-হুতাশ? জীবনের শেষ ল্যাপেও চুটিয়ে দৌড়ন। শুধু তার বন্দোবস্ত আগে থেকে করে রাখার পরামর্শ দিলেন গার্গী গুহঠাকুরতা।কে বলেছে বৃদ্ধাবাস মানে শুধু হা-হুতাশ? জীবনের শেষ ল্যাপেও চুটিয়ে দৌড়ন। শুধু তার বন্দোবস্ত আগে থেকে করে রাখার পরামর্শ দিলেন গার্গী গুহঠাকুরতা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৫ ০১:১১
Share: Save:

বাঁশদ্রোণীর একলা ফ্ল্যাটে বিকেল বড় বিষণ্ণ ঠেকে ব্রজবাবুর। একমাত্র ছেলে বিদেশে, আজ বহু দিন হল। স্ত্রী অসুস্থ। আজকাল নিজেরও বাতের ব্যথা চাগাড় দেয় সময়-অসময়ে। বুড়ো-বুড়ির সংসারে একঘেয়ে দিন কাটে সন্ধের অপেক্ষায়। বস্টনে বসে থাকা নাতনির সঙ্গে স্কাইপ-এ দেখা হবে বলে। এর বাইরে বছরভর হাপিত্যেশ শুধু পুজোর দিন ক’টার জন্য। যত না মা দুর্গার অপেক্ষায়, তার থেকেও অনেক বেশি ছেলে-বৌমা-নাতনির বাড়ি আসার আনন্দে!

শেষ বয়সের এই অসহায়, নিঃসঙ্গ জীবনের ছবি আজ ঘরে-ঘরে। কারও ছেলে-মেয়ে বিদেশে, তো কেউ কাজ করেন ভিন্‌ রাজ্যে। কেউ নিজের ভিটে-মাটি-চেনা পরিবেশ ছেড়ে অন্যখানে যেতে রাজি নন, তো কোনও ছেলেমেয়ের আবার সময় নেই নিজের কেরিয়ার আর সংসার সামলে বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেওয়ার। কিন্তু কারণ যা-ই হোক, জীবনের শেষ ল্যাপ-টা আপনিই বা খামোখা এমন কষ্টে, দুঃখে আর অন্যের মুখ চেয়ে বাঁচবেন কেন? যদি সামর্থ থাকে, তবে অন্য কেউ কেন ঠিক করে দেবেন আপনার বাঁচার শর্ত?

হ্যাঁ, বৃদ্ধাবাস

এত দিন এখানে এসেই থমকে যেত প্রশ্নটা। পাল্টা প্রশ্ন উঠত, তবে যাব কোথায়? কে নেবে শেষ বয়সের দায়িত্ব? কিন্তু এখন কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে চাহিদা-জোগানের স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বৃদ্ধাশ্রম। যেখানে থাকার ভাল পরিবেশ ও নিরাপত্তা রয়েছে। আছে অসুস্থতায় দেখাশোনা আর চিকিৎসার বন্দোবস্ত। এমনকী বিনোদনের উপাদানও। অনেকটা হোটেলের মতো। সঙ্গে উপরি পাওনা সমবয়সীদের সান্নিধ্য।

নজরকাড়া পরিষেবা

বৃদ্ধাবাস বলতেই সাধারণত ম্যাড়ম্যাড়ে, প্রায় অন্ধকার ঘরের ছবি চোখে ভাসে আমাদের। যেখানে এক বুক দীর্ঘশ্বাস চেপে মৃত্যুর দিন গোনেন ছেলে-মেয়ের ঘরে ঠাঁই না-পাওয়া বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। শুরুতেই বলে রাখি, এখানে যে-পরিষেবার কথা আমরা আলোচনা করছি, তা কিন্তু সেই চালু ধারণা থেকে অনেকটাই আলাদা।

নিজের বাড়িতে প্রিয়জনের কাছে থাকার বিকল্প কখনওই কিছু হয় না। কিন্তু এই সমস্ত বৃদ্ধাবাসে আপনার জন্য অপেক্ষা করবে সমবয়সী সঙ্গীর সান্নিধ্য আর সর্বক্ষণ খেয়াল রাখার লোক। বুড়ো বয়সে যা সবচেয়ে দরকার। পরিষেবার তালিকায় আছে—

প্রয়োজন অনুসারে সিঙ্গল বা ডাবল বেড রুম। অনেক ক্ষেত্রে তা আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ফলে একা কিংবা স্বামী/স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে থাকার সুবিধা রয়েছে। সঙ্গে নিরাপত্তাও।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ঝকঝকে বাড়ি। ধবধবে বিছানা।

পছন্দসই অথচ স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের বন্দোবস্ত।

হাতের নাগালেই চিকিৎসার সুবিধা।

অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা।

অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তির দায়িত্ব। কোথাও আমৃত্যু দায়িত্ব নেওয়া থাকলে, ক্যানসারের মতো মারণ রোগে বিশেষ পরিচর্যা।

সবুজ লন, জিম, সুইমিং পুল। শখের মাছ ধরার বন্দোবস্ত।

বিনোদনের উপকরণ হিসেবে ক্লাব, সিনেমা দেখার ব্যবস্থা।

অনেক সময়ে ঘরেই ফ্রিজ-টিভি। সঙ্গে মাইক্রো ওভেনও।

একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে-মধ্যে কাছেপিঠে (ধরুন, বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর) ঘুরিয়ে নিয়ে আসা।

দূরে থাকা ছেলেমেয়ের সঙ্গে স্কাইপ-এ কথা বলার সুবিধা। ই-মেল বা চ্যাট করতে চাইলে একটু দেখিয়ে দেওয়ার লোক।

তা বলে তহবিল?

শুনেই বুঝতে পারছেন, এই বৃদ্ধাবাস দাতব্যের নয়। তাই এই পরিষেবা পেতে রেস্তর জোর থাকা প্রয়োজন। হয়তো তার থেকেও বেশি জরুরি অনেক আগে থেকে এর জন্য টাকা তুলে রাখতে শুরু করা। যাতে অল্প-অল্প করে জমিয়েই মোটা টাকার তহবিল গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

মনে হতে পারে, বুড়ো বয়সের শেষ ক’টা দিনের জন্য আবার এত কসরত কেন? উত্তর পেতে প্রথমেই এক বার সঙ্গের সারণিতে চোখ রাখুন। দেখুন, এই ধরনের বৃদ্ধাবাসে থাকার খরচ কিন্তু একেবারে কম নয়।

শুরুতে শুধু সিকিউরিটি ডিপোজিটই ৩ থেকে ২২ লক্ষ টাকা। যার কিছুটা অনেক সময়ে বৃদ্ধাবাস ছেড়ে গেলে বা মৃত্যুর পরে ফেরত পাওয়া যায়। এ ছাড়া, প্রতি মাসের খরচও ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। পরিষেবা যত ভাল, খরচও তত বেশি। তা ছাড়া, প্রতি বছর সেই খরচ কিছুটা করে বাড়বেও।

আমাদের অনেকের পক্ষেই হঠাৎ করে এক লপ্তে (বিশেষত অবসরের পরে) এত টাকা বার করা শক্ত। তাই অনেক আগে থেকে এর জন্য জমাতে শুরু করা ভাল।

কিন্তু রাস্তা?

যে কোনও সঞ্চয়েরই গোড়ার কথা হল, আগে তার সম্পর্কে দু’টি বিষয় খুব স্পষ্ট ভাবে জানা—

(১) ওই টাকা কখন এবং কত সময়ের জন্য লাগবে।

(২) প্রয়োজনীয় টাকার অঙ্ক কত?

এ ক্ষেত্রে দু’টিই কিন্তু আগাম আঁচ করা বেশ শক্ত। কারণ, বৃদ্ধাবাসে কখন যাবেন, সেটি তা-ও আপনার হাতে আছে। কিন্তু সেখানে কত দিন থাকতে হবে, তা আঁচ করা অসম্ভব। সেই কারণে খুব ভেবেচিন্তে এর জন্য পরিকল্পনা করা জরুরি। আমাদের মতে, সুবিধের জন্য এই পরিকল্পনাকে দু’ভাগে ভেঙে নেওয়া ভাল:

সিকিউরিটি ডিপোজিটের জোগান: বৃদ্ধাবাসে পা রাখতেই ৩ থেকে ২২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হচ্ছে আপনার। এবং তা লাগছে একসঙ্গে। অনেকটা ফ্ল্যাটের ডাউনপেমেন্টের মতো। সুতরাং শেষ জীবন এ ধরনের বৃদ্ধাবাসে কাটানোর পরিকল্পনা থাকলে, আগে সেই টাকা জোগাড়ের বন্দোবস্ত করুন।

যাঁরা ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন কিংবা তার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য অল্প-অল্প করে টাকা জমানোর সুযোগ আর তেমন নেই। কিন্তু তা বলে সঞ্চয়ের যে-কোনও থোক টাকায় দুম করে হাত দেবেন না। বিশেষত ‘ম্যাচিওর’ করার আগে কোনও স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) বা মাসিক আয় প্রকল্পের (এমআইএস) টাকা ভাঙিয়ে না-দেওয়াই ভাল। একান্তই উপায় না-থাকলে আলাদা কথা। নইলে দেখুন, কাছাকাছি সময়ের মধ্যে কোন-কোন মোটা টাকা হাতে আসতে চলেছে। সেই অনুযায়ী নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজান।

আর যদি বয়স কম হয়, তা হলে অনেক আগে থেকে হিসেব কষে ওই টাকা তুলে রাখতে পারেন আপনি। বিষয়টি এ ভাবে ভাবতে পারেন—

প্রথমে দেখুন, আপনার জীবনযাত্রার মান যেমন, বা বেশি বয়সে আপনি যে ধরনের স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে চান, সেই পরিষেবা দেয় কোন-কোন বৃদ্ধাশ্রম। সেখানে সিকিউরিটি ডিপোজিটের অঙ্কই বা কত।

ধরুন, আপনার বয়স এখন ৪৫ বছর। আপনি ৬৫ বছরে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চান। আর যে-ধরনের জায়গায় যেতে চান, তাতে শুরুতেই এক লপ্তে লাগছে ১০ লক্ষ টাকা। সে ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬-৮ শতাংশ ধরে দেখুন আজ থেকে ২০ বছর পরে তা কত টাকায় দাঁড়াবে। এ বার সেই অঙ্ক জোগাড়ের লক্ষ্যে কোনও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্পে সঞ্চয় শুরু করুন। যেমন, নিয়মিত রেকারিং ডিপোজিটে টাকা ঢালতে পারেন। বা এসআইপি-র মাধ্যমে লগ্নি করতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডে। তবে খুব বিপদে না-পড়লে, মাঝখানে সেই টাকায় হাত দেবেন না। তাহলে থোক টাকা জমানো শক্ত হবে।

প্রতি মাসের খরচ: এ বার আপনাকে দেখতে হবে, যে-বৃদ্ধাশ্রম আপনি বেছেছেন, সেখানে প্রতি মাসে খরচ কেমন পড়ে। যদি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে দেখুন, কোনও টাকা মেয়াদি আমানত বা এমআইএসের মতো প্রকল্পে রেখে তার সুদ থেকে ওই মাসিক খরচ জোগাড় করতে পারেন কি না।

ঝুঁকতে পারেন সিনিয়র সিটিজেন স্কিমের দিকে। সেখানে সুদ তুলনায় কিছুটা বেশি পাবেন।

আর বয়স এখনও কম হলে, এর জন্যও গুছিয়ে টাকা জমানো শুরু করে দেওয়া ভাল। ঠিক যে-ভাবে সচ্ছল অবসরের জন্য পেনশন তহবিল তৈরি করেন আপনি। ফের সেই ৪৫ বছর বয়সের উদাহরণেই ফিরে যাই। এ ক্ষেত্রেও দেখতে হবে:

আপনার পছন্দের বৃদ্ধাশ্রমে মাসিক খরচ কত।

২০ বছর পরে মূল্যস্ফীতির ধাক্কা সামলে তা কততে পৌঁছতে পারে।

তখন সেই টাকা সুদ হিসেবে পেতে কত টাকার তহবিল গড়া প্রয়োজন। সেই অঙ্ক পেয়ে গেলে, তাকে পাখির চোখ করে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে লগ্নি করা শুরু করুন।

সাধারণত বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে এই মাসিক খরচের অঙ্ক ফি বছর কিছুটা করে (৫-১০ শতাংশ) বাড়ে। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে ভুলবেন না।

আগে থেকে টাকা জমানোর উপর এত জোর দেওয়ার কারণ খুব সোজা। যাতে অবসরকালীন সুবিধা (পিএফ, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদি) বাবদ পাওয়া থোক টাকা ভেঙে আপনাকে তা জোগাতে না হয়। বরং শেষ বয়স নির্ঝঞ্ঝাটে আর আরামে কাটানোর তহবিল আপনার অজান্তেই গড়ে ওঠে।


দিশা

সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।

আপনি একা নন

বৃদ্ধাবাস যতই ঝাঁ-চকচকে হোক না কেন, এখনও তার নাম শুনলে কেমন জানি অসহায় আর নিঃসঙ্গ ঠেকে নিজেদের। যেন কপালে ব্রাত্যের তকমা সেঁটে দিয়েছে কেউ। ছেলে-মেয়ে দেখেনি। কারও সময়ই নেই আমার জন্য। আর এই সমস্ত চিন্তা ঘুরেফিরে আসে বলেই এত অপ্রিয় মনে হয় বৃদ্ধাবাসের দরজা।

কিন্তু দিন বদলাচ্ছে। প্রথমত, অনেক বৃদ্ধাবাসই আর আগের মতো ধুঁকতে থাকার জায়গা নয়। এবং তা নিয়ে বেশ খানিকটা আলোচনা আমরা ইতিমধ্যেই করেছি। আর দ্বিতীয়ত, এখন অনেকেই ‘বার্ধক্যের বারাণসী’ হিসেবে নিজে থেকেই বেছে নিচ্ছেন বৃদ্ধাবাসকে। যাতে চিকিৎসা কিংবা দেখার লোকের অভাব না-হয়। একাকিত্ব কাটাতে অন্তত সময় কাটানো যায় সমবয়সীদের সঙ্গে। তাই এঁদের কাছে বৃদ্ধাবাস বরং ‘রিট্রিট’।

পরিসংখ্যানে একবার চোখ বোলালেই বুঝতে পারবেন, সারা দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা যে-ভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে পছন্দের বৃদ্ধাবাসে ঠাঁই পাওয়াও হয়তো মুশকিল হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে আছড়ে পড়ছে ‘সিলভার সুনামি’। রকেট গতিতে বাড়তে থাকা ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই তা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে। দেশের জনসংখ্যার ৮.৬%। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসেবও বলছে, ২০৫০ সালে ওই সংখ্যা পৌঁছে যাবে ৩০ কোটিতে। মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ।

এক দিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। অন্য দিকে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে সংসার। একান্নবর্তী পরিবার আগেই ভেঙেছে। এখন পেশা বা কেরিয়ারের তাগিদে ‘নিউক্লিয়ার’ পরিবার থেকেও ছিটকে বাইরের দেশ বা শহরে চলে যাচ্ছে ছেলে-মেয়ে। বা থাকলেও সময় দিতে পারছে না বাবা-মাকে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দেশে ৫০ লক্ষ মানুষ একলা থাকেন। অধিকাংশই প্রবীণ। এঁদের অনেকেরই ব্যাঙ্কে টাকা আছে। কিন্তু দেখার লোক নেই। ফলে অনেক সময়ে নিজের বাড়ি খালি থাকতেও বৃদ্ধাবাসে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। যাতে শেষ জীবনে কারও দয়া-দাক্ষিণ্যের ভরসায় থাকতে না-হয়। বরং নিজের টাকায়, নিজের শর্তে, নিজের পছন্দে কাটানো যায় দিন। যাতে গতিতে ভাটা না-পড়ে দৌড়ের শেষ ল্যাপেও।

জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য লিখুন।
ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না। ‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১। ই-মেল: bishoy@abp.in

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE