• মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাই। পদ্ধতি কী?
শৈলেন মজুমদার, ভাটপাড়া
ফান্ডে লগ্নি করার আগে কয়েকটি বিষয় বিচার করে নিন। যেমন, আপনার আর্থিক প্রয়োজন ঠিক কী ও কতটা, সেই অনুযায়ী কত দিনের জন্য টাকা আটকে রাখতে পারবেন, ঝুঁকিই বা কতটা নেওয়া সম্ভব ইত্যাদি। এ সবের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিন কোন ধরনের ফান্ড কেনার দিকে ঝুঁকবেন।
ইকুইটি ফান্ডে তহবিলের পুরোটাই লাগানো হয় শেয়ারে। এতে রিটার্ন যেমন চড়া হওয়ার সম্ভাবনা, তেমনই বেশি ঝুঁকি। ডেট ফান্ডের টাকা পুরোটাই খাটে সরকারি ও বেসরকারি ঋণপত্রে (বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি)। ইকুইটি ফান্ডের তুলনায় এর রিটার্ন ও ঝুঁকি কম। মিক্সড বা মিশ্র ফান্ডে তহবিলের কিছুটা শেয়ার ও কিছুটা ঋণপত্রে লগ্নি হয়। কোথায় কতটা খাটবে সেটা বিভিন্ন ফান্ডের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হতে পারে। ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী তার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া যায়। এ সব বিষয় মাথায় রেখে প্রথমে ফান্ড বাছুন। তার পরের পদ্ধতিটা এ রকম—
১) নো ইওর কাস্টমার’ (কেওয়াইসি) সংক্রান্ত তথ্য দিন। এর জন্য নির্দিষ্ট কেওয়াইসি ফর্ম ভর্তি করে জমা দিতে হবে।
২) এক লপ্তে টাকা ঢেলে কোনও ফান্ডের ইউনিট কিনতে পারেন। কিস্তিতে অল্প অল্প করে টাকা দেওয়া সুবিধাজনক মনে হলে এসআইপি করতে পারেন।
৩) মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম ভর্তি করতে হবে। লগ্নি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশদে জানাতে হবে সেখানেই।
৪) ফর্মের সঙ্গে কী কী তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে হবে জেনে নিন। যে-সংস্থার থেকে ফান্ড কিনছেন বা যাদের মাধ্যমে কিনছেন তারাই বলে দেবে, কী করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, ক্ষমতার বেশি ঝুঁকি নিয়ে বা খারাপ ফান্ড বেছে যেন পরে পস্তাতে না-হয়।
পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন দে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy