Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা

যদুনাথ চৌধুরী অনেকটা আমার দাদামশাইয়ের মতো। সে কালের মানুষ, ভালবাসতেন আমাদের, তাঁকে আমরা ভয় পেতাম না, কিন্তু মেনে চলতাম।’ পরান বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতিতে ফিরে যাচ্ছিলেন, ‘অবজারভেশনের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ ফ্যান্টাসি বা ইমাজিনেশন মিলিয়েই তো দাঁড় করিয়েছি যদুনাথ চরিত্রটাকে, পুরনো-নতুনের মেলবন্ধন।

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

সন্দীপ রায়ের নতুন ছবি ‘মনচোরা’

যদুনাথ চৌধুরী অনেকটা আমার দাদামশাইয়ের মতো। সে কালের মানুষ, ভালবাসতেন আমাদের, তাঁকে আমরা ভয় পেতাম না, কিন্তু মেনে চলতাম।’ পরান বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতিতে ফিরে যাচ্ছিলেন, ‘অবজারভেশনের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ ফ্যান্টাসি বা ইমাজিনেশন মিলিয়েই তো দাঁড় করিয়েছি যদুনাথ চরিত্রটাকে, পুরনো-নতুনের মেলবন্ধন। এ-ছবিতে যে বিশাল বাড়িটায় যদুনাথ তদারকি করেন, দাদামশাইকেও দেখেছি বাড়ির পুজোয় মাসখানেক আগে থেকেই মণ্ডপ সজ্জা আর দরিদ্রনারায়ণ সেবা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।’ পুজো এসে গেল, সন্দীপ রায়ের নতুন ছবির শুটিংও প্রায় শেষ। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনচোরা উপন্যাস থেকে এ-ছবি করার পিছনে ‘কাহিনির মানবিক দিকটার কথা’ জানালেন পরিচালক, ‘চরিত্রগুলির মধ্যে মানসিক টানাপড়েন, গল্পের মধ্যে সেন্স অব হিউমার, শরদিন্দুর লেখার যেগুলো দুর্লভ গুণ। গত শতকের গল্পকে এই সময়ে এনে ফেলতে এতটুকু অসুবিধে হয় না। তবে রোমান্টিক ড্রামা বা চেম্বার প্লে তো, তাই অভিনয়ের ওপর এ-ছবির জোর।’

আবীর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে দিবাকর চরিত্রটা চ্যালেঞ্জিং: ‘কারণ, তার মধ্যে অদ্ভুত একটা দ্বন্দ্ব আছে। দিবাকরের সততা বা বিপথগামিতা, কোনটা কতটা সত্যি তা নিয়ে একটা ধন্দ থেকেই যায়— সেটাই ইন্টারেস্টিং। দিবাকর-এর ভেতরে আর-একটা দিবাকর, অ্যাক্টিংয়ের ভেতরেও অ্যাক্টিং।’ আর নন্দা-র চরিত্রে রাইমা সেন: ‘এত সহজ আর সুন্দর কাহিনি যে অভিনয় করতে খুব ভাল লাগছে। সিমপ্লিসিটি-টাই চরিত্রটার বড় গুণ।’ সিনেমাটোগ্রাফার শীর্ষ রায়ের কাছে ছবিটা ‘চরিত্রনির্ভর তো, ক্যামেরায় তাই পয়েন্ট অব ভিউ-র কাজ অনেক বেশি, সেখান থেকেই কাহিনিটা এগোচ্ছে। বাড়িটাও একটা চরিত্র, রঙ বিশালত্ব আর্কিটেকচার— সবই বিভিন্ন সময়ের আলো আর গল্পের মুড-এর সঙ্গে মিলিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করেছি।’ সেদিন শুটিংয়ের শেষে, আশ্বিনের আলোয় মায়াবী লাগছিল লাভলক স্ট্রিটের বাড়িটাকে। চায়ের কাপ হাতে বারান্দায় বসে সন্দীপ রায়, বললেন ‘আমার আগের ছবিগুলোর সঙ্গে কোনও মিল নেই এ-ছবির।’

ছবি: সৌরদীপ রায়।

মহারানি

ভারতীয় রাজন্যবর্গের নানা ছবি সুপরিচিত। কিন্তু তসবির নিয়ে এসেছে রানি ও রাজপরিবারের মহিলাদের দুর্লভ ছবির প্রদর্শনী। হ্যারিংটন স্ট্রিট আর্টস সেন্টার-এ ‘মহারানি: উইমেন অব রয়্যাল ইন্ডিয়া’ প্রদর্শনীটি চলবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত (সোম থেকে শনি, ১২-৭টা)। সঙ্গে ডেরেক অ্যাডকিন্স-এর তোলা ছবিতে জয়পুরের মহারানি গায়ত্রী দেবী, মিউজিয়ম অব আর্ট অ্যান্ড ফোটোগ্রাফি/ তসবিরের সৌজন্যে।

তেভাগা

অবিভক্ত বাংলা এবং নিজাম-শাসিত তেলঙ্গনা— এই দুই অঞ্চলে গত শতাব্দীর প্রথমার্ধে গ্রামের কৃষক সমাজ এক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। দুটি আন্দোলনই ছড়িয়ে পড়েছিল শিল্প ও সংস্কৃতি জগতে। জয়নুল আবেদিন, চিত্তপ্রসাদ, দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ হোর এই পর্বের মূল শিল্পী। চিত্তপ্রসাদ এবং আলোকচিত্রী সুনীল জানা আন্দোলনের ছবি আঁকেন আর ছবি তোলেন। দুই অঞ্চলের লোকশিল্প এবং তেভাগা শিল্প নিয়ে নতুনপল্লি প্রদীপ সংঘের থিম ‘তেভাগা থেকে তেলঙ্গনা’। শিল্পী পার্থপ্রতিম রায়। সঙ্গে তারই প্রস্তুতির ছবি।

বই প্রকাশ

পেশায় শিক্ষক, প্রজ্ঞাবান তারাকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গভীর অন্তরঙ্গতা ছিল শিশিরকুমার ভাদুড়ির। নাট্যাচার্যের প্রয়াণের পর তাঁকে নিয়ে তারাকুমার যে বইটি লেখেন, আজও তা দ্বিতীয়রহিত। অর্ধশতক পরে প্রভাতকুমার দাসের সম্পাদনায় নবরূপে প্রকাশিত হচ্ছে অন্তরালের শিশিরকুমার ও অন্যান্য। বিশ্বভারতীর সাহিত্য-সংগঠন ‘সাহিত্যিকা’র পত্রিকায় ১৯৩৭-২০১৫ কালপর্বে প্রকাশিত রচনার নির্বাচিত সংকলন সম্পাদনা করেছেন কুন্তল রুদ্র ও অসীম চট্টরাজ। আর টুনটুনির বইয়ের বারোটি (সঙ্গে একটি বোনাস) গল্পের চমৎকার অনুবাদ করেছেন শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়, সঙ্গে সুমন পতি-র আঁকা ভারি সুন্দর ছবি। তিনটি বইয়েরই প্রকাশক স্যাস পাবলিশার্স, ১২ অক্টোবর সন্ধে সাড়ে ছ’টায় রোটারি সদনে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ও আলোচনাসভা।

অনুভূতি

নীল ইনল্যান্ড লেটার, হলদে খাম। তাতেই সূক্ষ্ম, গোপন অনুভূতিদের বন্দি করে পাঠানো হত প্রিয়জনের ঠিকানায়। প্রযুক্তির হাত ধরে চিঠির দিন প্রায় শেষ। তবে কবিতার মাধ্যমে চিঠির রোমাঞ্চ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করলেন আবৃত্তিশিল্পী সোনালি ভট্টাচার্য। বিশ্ব ডাক দিবসে এক ঝাঁক নতুন কবির রচনা নিয়ে প্রকাশ করেছেন সিডি ‘অনুভূতি’। কবিতাগুলো আসলে নানা বয়সি মানুষের প্রেমের অনুভূতি নিয়ে লেখা চিঠি। বাংলায় সোনালির সঙ্গে ইংরেজিতে আবৃত্তি করেছেন হর্ষবর্ধন নেওটিয়া। অন্য দিকে ১৪ অক্টোবর সন্ধে সাড়ে ছ’টায় উদ্বোধন কার্যালয়ের সারদানন্দ হলে আগমনী গান, সঙ্গে প্রকাশিত হবে দেবাশীষ দত্তের ভক্তিমূলক গানের সিডি, ‘কথায় ও গানে বাংলা ভক্তি সঙ্গীতের কয়েকটি ধারা’ ও ‘শ্রীরামকৃষ্ণ শরণম্‌’ (রামকৃষ্ণ মঠ, বাগবাজার)।

বাদলদা

এক নবীন কবির গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে গাড়ি নিয়ে হাজির। দেখা শুধু নয়, প্রশ্নও করেছিলেন, ‘কী ব্যাপার, অন্যের মুখ থেকে খবর কেন পেতে হয়! আমাকে খবর দেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করো না?’— তিনি বাদল বসু। আবার পঞ্চাশের তেমন কোনও জনপ্রিয় কবি নন। তবু তাঁর বইয়ের প্রকাশক তিনি। কোনও পাঠক কেন, তেমন প্রায় কেউই নেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। শুধু একজন ব্যস্ত।— তিনি বাদল বসু, সবার ‘বাদলদা’। বকফুলরঙা শার্ট আর ধুতি পরা বাঙালির শেষ বাঙালি, আপাদমস্তক প্রকাশক। চলে গেলেন ৯ অক্টোবর মধ্যাহ্নের আশপাশে। পোশাকি নাম দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু। আমন্ত্রণ পেয়েছেন কবিতাপাঠ শোনার আর যাননি, এমন কখনও হয়নি। হাতে করে যেমন তরুণ কবিদের বই ছাপিয়েছেন, তেমনই তাঁদের পুরস্কারপ্রাপ্তিতেও থেকেছেন। আনন্দ পাবলিশার্সে সুদীর্ঘ প্রকাশকজীবনে তাঁর সামনে বাংলা সাহিত্যের ‘সবাই’ প্রায় একঘাটে জল খেতেন। ওঁকে আর কোনও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে স্মিতহাস্যমুখে দেখা যাবে না। হ্যাঁ— এও মেনে নিতে হবে।

সুন্দরবন

সুন্দরবন নিয়ে গভীর ও বিস্তৃত ভাবনার খোরাক জুগিয়ে চলেছে শুধু সুন্দরবন চর্চা পত্রিকাটি। সামান্য সাধ্য নিয়েই ওঁরা লড়াই করছেন সুন্দরবনের জন্য। গত কাল সাতজেলিয়ার দশজন মেধাবী-দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীকে দেখানো হল চিড়িয়াখানা আর সায়েন্স সিটি। আজ এশিয়াটিক সোসাইটির বিদ্যাসাগর হলে বিকেল ৩টের অনুষ্ঠানে ওদের হাতে ব্যাগ, নতুন পোশাক ইত্যাদি তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপের বিবর্তন নিয়ে বলবেন পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্র। সম্মানিত হবেন প্রভুদান হালদার এবং শঙ্করকুমার প্রামাণিক। প্রকাশ পাবে পত্রিকার নতুন সংখ্যা এবং গাঙচিলের সুন্দরবন গ্রন্থমালার প্রথম দুটি বই: বরেন্দু মণ্ডলের সুন্দরবনের স্মৃতি ও সুন্দরবন: আমাদের কথা। থাকবেন তুষার কাঞ্জিলাল এবং চিকিৎসক অমিতাভ চৌধুরী, সভাপতি রমাকান্ত চক্রবর্তী।

মঠচৌড়ি

আকস্মিক ভাবেই মঠচৌড়ি চালিতে পট লেখা শুরু করেছিলেন অভিরূপ বসু। আত্মীয়তা সূত্রে ছোট থেকেই যাতায়াত দর্জিপাড়ার রাধাকৃষ্ণ মিত্রের বাড়িতে। এই পরিবারের দুর্গাপ্রতিমার চালচিত্র আজও নজরকাড়া। দীর্ঘ কয়েক দশক এ বাড়ির প্রতিমাশিল্পী ছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। কয়েক বছর আগে তাঁর প্রয়াণে পুজোর মুখেই চালচিত্র আঁকার দায়িত্ব নেন অভিরূপ। প্রতিমার সাজসজ্জায় হাত লাগান বাড়ির সদস্যরাও। কিছু সাজ কেনা হলেও, বাকি সাজ যেমন বুকপাটা, শাড়ি ইত্যাদি তৈরি করেন তাঁরাই। প্রতিমা রঙ হওয়ার পর থেকেই ব্যস্ততা বেড়ে যায় দেবমিতা মিত্র, আদিত্য মিত্র, অরিদ্র মিত্র, প্রিয়ম ঘোষ ও সম্পূর্ণা মিত্রের। সঙ্গে তারই ছবি।

রীতিভাঙা

মোহিত চট্টোপাধ্যায় ষাটের দশকে রীতিমতো ঝাঁকুনি দিয়েছিলেন বঙ্গরঙ্গমঞ্চকে। তাঁর কলমে তখন নাটকের নতুন ভাবনা-ভাষা-আঙ্গিক। তাঁর সেই দ্বান্দ্বিক বাস্তবতা আর ফ্যান্টাসির অবাধ সহবাস আজও কতটা সমকালীন কিংবা প্রাসঙ্গিক, তার পরিচয় পাবেন দর্শক ১৭ অক্টোবর সন্ধে সাড়ে ৬টায় গিরিশ মঞ্চে। মোহিত-রচিত ‘নিষাদ’ নাটকটি মঞ্চস্থ করবে ‘একুশ শতক’ নাট্যগোষ্ঠী, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়। একই রকম রীতিভাঙা নাটক ব্রাত্য বসুর কলমেও: ‘মৃত্যু ঈশ্বর যৌনতা’। তাঁর নাট্যভাষার নিরীক্ষাকেই আধুনিক মঞ্চভাষ্য করে তুলছেন তরুণ নাট্যপরিচালক অভি চক্রবর্তী। আমাদের জীবনযাপন বা অস্তিত্বকে যেন এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেখার নাটক এটি। ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটায় অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে প্রথম অভিনয়। প্রযোজনা: অশোকনগর ব্রাত্যজন। সংগীত: রূপম ইসলাম।

মাতৃরূপেণ

আশিসবাবু এই আশি বৎসরের নিকটে দাঁড়াইয়াও তর্পণে যান। কালীঘাটে আদিগঙ্গার তীরে তিনি পিতৃপুরুষকে জল দেন। সৌরবাবু অশীতিপর, তিনিও চৌদ্দোপুরুষকে জল দেন। বরুণবাবুর ঠাকুরঘরে তাঁর বড়দা তর্পণ করেন। কন্যা দেবাঞ্জনাকে লইয়া সুমন আসিয়াছেন তর্পণ দেখাইতে। ইহাও এক বিস্ময়ের অভিজ্ঞতা। পিতৃপক্ষের অন্তে দেবীপক্ষের সূচনার মুহূর্ত। আজ ‘মহালয়া’। আজ শিউলি কুড়াইবার দিন। আজ পায়ের নীচে ঘাসের শিশির মাখিবার দিন। বাপের বাড়ি পৌঁছাইতে মায়ের আয়োজন চূড়ান্ত। কিন্তু শহরের মাথায় গুমগুম করিতেছে নীরদপুঞ্জ। তাহাতে কী! শহর এক্ষণে ভাসিতেছে উৎসবের আবহে। মহাদেবের জটা হইতে যে স্রোতস্বিনী আসিয়াছেন সমুদ্র-বশবর্তী হইতে, তাহার তীরে এই নগরীতে কী বিপুল জনসমাগম। যেমন সাধারণ মানুষ আসিয়াছে, তেমনই ধনীশ্রেষ্ঠও আসিয়াছে। আসিয়াছে বহু দস্যু-তস্কর। এ পুণ্যসলিলার বাতাস গায়ে লাগিলেও শুচি। কেহ চিনিতে পারিতেছে না, আসিয়াছেন এই দিনে দুই কবি— বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস। এ পুণ্য লগ্ন যেন বিফলে না যায়। গোল করিও না, এখন বাতাস আমোদিত করিতেছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র: আশ্বিনের শারদপ্রাতে ধরণীর...।

বহুরূপে

দুর্গার রূপ সেকাল একালের বহু শিল্পী নিজস্ব ভাবনায় ফুটিয়ে তুলেছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধানে অরিন্দম সাহা সরদার সংগ্রহ করেছেন বিরল সব ছবির প্রতিলিপি। উদ্ধার হয়েছে প্রাচীন আগমনী গান। এই নিয়েই আজ ভদ্রকালীর ‘জীবনস্মৃতি’-তে শুরু হচ্ছে ‘দুর্গা’ প্রদর্শনী, সহযোগী ফোকাস। চলবে ১৮ পর্যন্ত, ৪-৯.৩০। আজ সন্ধ্যা ৬ টায় বইপ্রকাশ: পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালীর দুর্গোৎসব (সূত্রধর) আর আলোচনা: ‘ছাপা ছবি এবং দুর্গা’। সঙ্গের ছবি অবনীন্দ্রনাথের ‘চণ্ডী’। এদিকে গ্যালারি উদ্ভাস-এর উদ্যোগে কৃষ্ণপ্রিয় সেনগুপ্তের দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী ‘দুর্গা’ শীর্ষকে শুরু হচ্ছে আজ। দেখা যাবে ঘরে বসেই, শুধু ক্লিক করতে হবে www.udvas.in এই লিঙ্কে। ১৩ অক্টোবর ভারতীয় সংগ্রহশালায় বিকেল ৪টেয় ‘দুর্গা’ নিয়ে পুজোর আড্ডা। থাকবেন গৌতম সেনগুপ্ত, কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, গৌরী বসু প্রমুখ। থাকছে দোহারের গান এবং দুর্গামূর্তি তৈরির কর্মশালা। রুমানিয়ার রমনা এল সেসিউ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে আকৃষ্ট হন কলকাতার দুর্গাপুজোয়। সহপাঠী আদিত্য চক্রবর্তীকে নিয়ে নেমে পড়েন তথ্যচিত্র তৈরিতে। রামচন্দ্র কলিকালে এসে পড়েছেন দুর্গাপুজো দেখবেন বলে, তারপর পুজোর বিবর্তন রামের চোখ দিয়েই। ‘ডিভাইন ফেমিনাইন: দ্য বেয়ার অ্যান্ড দ্য রোবড’ দেখানো হবে আজ বিকেল ৫টায় রানিকুঠি অরবিন্দ আশ্রমে। তার আগে গ্যালারি লা ম্যের-এ একালের ৪৪ জন শিল্পীর কাজ নিয়ে উদ্বোধন হবে ‘দুর্গা’ প্রদর্শনী, চলবে ২৭ পর্যন্ত।

রঙ্গপট

বারোয় পা রঙ্গপট-এর। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের সক্রিয় অভিলাষে চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি সমান নিষ্ঠা ও উদ্যমে তপনজ্যোতি শুরু করেছিলেন এই নাট্যগোষ্ঠী। প্রযোজনার পাশাপাশি নাটক নিয়ে কর্মশালা, নাট্যপত্র প্রকাশ, নাট্যব্যক্তিত্বদের সম্মাননা ইত্যাদি নানাবিধ কাজ। আজ অ্যাকাডেমিতে তাঁদের সারাদিনব্যাপী উৎসবেও নাট্যব্যক্তিত্বদের সম্মাননার সঙ্গে প্রকাশিত হবে দ্বাদশ সংখ্যার নাট্যপত্র, তাতে শম্ভু মিত্রর সৃজন নিয়ে ক্রোড়পত্র। দুপুরে দু’টি একক অভিনয়— দেবশঙ্কর হালদার অভিনীত ‘বর্ণপরিচয়’ (প্রযোজনা: দক্ষিণ রুচিরঙ্গ, নাটক ও নির্দেশনা: রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়) ও সেঁজুতি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘পুতুলের চিঠি’ (প্রযোজনা: আরশি, নাটক: বিভাস চক্রবর্তী, নির্দেশনা: অবন্তী চক্রবর্তী)। ইবসেন-প্রাণিত দ্বিতীয় নাটকটির অভিনয়ে মেয়েদের স্বাধিকারের সঙ্গে সন্ধেয় রঙ্গপট-এর সাম্প্রতিক প্রযোজনা ‘ধর্মাশোক’-এ তিষ্যারক্ষিতা-র চরিত্রে অভিনয়ের কথাও তুললেন সেঁজুতি। ‘মৌর্যসম্রাজ্ঞী শুধু জটিলই নন, তাঁর চরিত্রে নানা স্তর, নানা রঙ। এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেই কাজ করতে ইচ্ছে করে সব সময়।’ রাজা লিয়ার, নিঃসঙ্গ সম্রাট, অয়দিপাউস, বদনাম মান্টো, ইচ্ছের অলিগলি— হালফিল নাটকে অভিনয়ের অনুষঙ্গে সেঁজুতি জানালেন, ‘নাটক করতে গিয়ে পূর্ণতার একটা বোধ যেন আমাকে ঘিরে রাখে সব সময়।’ নাটকের পাশাপাশি ছবিতেও তাঁর নিয়মিত অভিনয়। (সঙ্গের ছবি, ‘কাদম্বরী’তে স্বর্ণকুমারী দেবীর চরিত্রে সেঁজুতি)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE