Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা

ঔপনিবেশিক পর্বের বহু প্রত্নতাত্ত্বিক, ভূতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক, প্রাণী ও উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ক সমীক্ষার ফলাফল সঞ্চিত হয়েছিল যে সংগ্রহশালায়, তার সংগ্রহের ব্যাপ্তি ও বৈচিত্র সহজেই অনুমেয়। সংগ্রহের প্রায় প্রতিটি নিদর্শনের পিছনেই রয়েছে গল্প।

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ০০:০২
Share: Save:

অতীত যেখানে বাঙ্ময়

আজকের উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলা, সে কালের নেপাল সীমান্তের কাছে বার্ডপুর এস্টেট। সেখানেই ১৮৯৮ সালে পিপরাওয়া স্তূপ খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গেল পাথরের বাক্সের মধ্যে বিশেষ আধারে রক্ষিত বুদ্ধের দেহাবশেষ! সেই বাক্স আর আধারের ঠাঁই হল কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয়ে। ১৮১৪-য় এশিয়াটিক সোসাইটির সংগ্রহ নিয়ে সূচনা, ১৮৭৮-এ বর্তমান ভবন খুলে দেওয়া হল সাধারণের জন্য। ঔপনিবেশিক পর্বের বহু প্রত্নতাত্ত্বিক, ভূতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক, প্রাণী ও উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ক সমীক্ষার ফলাফল সঞ্চিত হয়েছিল যে সংগ্রহশালায়, তার সংগ্রহের ব্যাপ্তি ও বৈচিত্র সহজেই অনুমেয়। সংগ্রহের প্রায় প্রতিটি নিদর্শনের পিছনেই রয়েছে গল্প। সাধারণ ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ইতিবৃত্তে সে সব গল্প অশ্রুতই থাকে, তার সঙ্গে অজ্ঞাত থাকে সংশ্লিষ্ট মানুষজনের কথা। ভারতীয় সংগ্রহালয়ের দুশো বছর উপলক্ষে সদ্য প্রকাশিত দ্য লাইভস অব অবজেক্টস/ স্টোরিজ ফ্রম দি ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম বইটি অনেক দিক থেকেই ব্যতিক্রমী। এক দিকে ঔপনিবেশিক ভারতে এই সংগ্রহালয়ের ক্রমবিকাশ আর স্বাধীনতার পরে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক হিসাবে তার রূপান্তর যেমন স্পষ্ট ফুটে উঠেছে, তেমনই নানা নিদর্শনের খুঁটিনাটি বিবরণে মূক সংগ্রহ মুখর হয়ে উঠেছে। প্রধান প্রধান গ্যালারির কথা আছে, সবার উপরে আছে মানুষের কথা, মানুষের মুখের কথা— যাঁরা তিল তিল করে এই সংগ্রহ গড়েছেন, রক্ষা করেছেন, নতুন ভাবে তুলে ধরছেন নতুন প্রজন্মের দর্শকের কাছে। সংগ্রহালয় আজ শুধু আর ‘জাদুঘর’ নয়, জীবন্ত ইতিহাস। এত যত্নে তৈরি স্মারকগ্রন্থ আমাদের স্থবির প্রতিষ্ঠানগুলিতে বড়ই দুর্লভ। সংগ্রহালয়ের প্রবেশপথে কল্পবৃক্ষ ভাস্কর্যটির ছবি বই থেকে।

সুখবর

অন্ধকারের মধ্যে দু’এক পশলা সুখবরে মন ভাল হয়। ১৯৫৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হেলেন গার্ডনারের তত্ত্বাবধানে রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত লেখেন মিলটনের কাব্যতত্ত্বের ওপর তাঁর গবেষণাপত্র। এই বিশিষ্ট বিদ্বানের গবেষণাপত্রটি এত দিন প্রকাশিত হয়নি। এ বার তাঁর জন্মদিন ১১ জুলাই সেটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হল, প্রকাশ করলেন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর অপ্রকাশিত প্রবন্ধগুলি বিবিধ প্রবন্ধ নামে প্রকাশ করে। কয়েক বছর ধরে ১১ জুলাই এখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত স্মারক বক্তৃতা। এ বার চন্দ্রমুখী কাদম্বিনী হলে ওই দিন ৬ষ্ঠ স্মারক বক্তৃতা দিলেন রাধারমণ চক্রবর্তী। বিষয়: ‘রবীন্দ্রকুমারের মননে সমাজ ও সাহিত্য’।

সম্মাননা

বিষ্ণু দে তাঁর ‘শবযাত্রা’ পড়ে তিন রাত ঘুমোতে পারেননি, আর শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর কবিতা সম্পর্কে লিখেছিলেন ‘নিজেকে করেছেন কণ্ঠস্বরে বিশিষ্ট, স্বপ্রতিষ্ঠিত।’ বাংলা কবিতার সেই দ্রোহী পুরুষ পবিত্র মুখোপাধ্যায়ের হাতে দীর্ঘ কবিতা নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে, তাঁর কলমেই সৃষ্টি হয়েছে ইবলিসের আত্মদর্শন, অস্তিত্ব অনস্তিত্ব সংক্রান্ত, বা অলর্কের উপাখ্যান-এর মতো কাব্যগ্রন্থ। তাঁর সম্পাদিত ‘কবিপত্র’ পত্রিকাটি ষাট বছরে উপনীত। ব্যতিক্রমী এই কবিকে ১৮ জুলাই, বিষ্ণু দে-র জন্মদিনে জীবনানন্দ সভাঘরে বিকেল সাড়ে ৫টায় সম্মানিত করবে ‘অহর্নিশ’ পত্রিকা। কবির হাতে ‘অহর্নিশ সম্মাননা ২০১৭’ তুলে দেবেন বিভাস রায়চৌধুরী ও বেনজীন খান। বাংলা ও ইংরেজি কবিতা পাঠে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের বারো জন কবি। শেষে ‘কবিতা ও রাজনীতি’ নিয়ে বলবেন সুজিত সরকার। ছবি: অর্ক চক্রবর্তী

জঙ্গলমহল

শহর থেকে বহুদূরে রয়েছে জঙ্গলমহল! এখানকার জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে এক ভিন্ন ধারার বর্ণময় সংস্কৃতি। সম্প্রতি কিছু মানুষ এবং সরকারের উদ্যোগের ফলে অবহেলিত এই অঞ্চলে কিছুটা আলোকসম্পাত হচ্ছে। এই ভাবনা থেকেই আয়োজিত হয়েছে তিন দিনের আলোচনাসভা, বলছিলেন অন্যতম আয়োজক প্রভাত ঘোষ। ১৯ জুলাই সকাল ১০ টায় এশিয়াটিক সোসাইটির বিদ্যাসাগর হলে ‘রিভিজিটিং দ্য জঙ্গলমহলস: রেট্রোস্পেক্ট অ্যান্ড প্রসপেক্ট’ শীর্ষকে এই অনুষ্ঠানের সূচনা ভাষণে শুচিব্রত সেন। প্রাসঙ্গিক আলোচনায় প্রভাত ঘোষ এবং পশুপতিপ্রসাদ মাহাত। অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুমার রাণা এবং সাহারা আহমদ বিশদে জানাবেন জঙ্গলমহল সম্পর্কে। পরে জঙ্গলমহলের অধিবাসীদের সমাজ, শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ভাষা— ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা। শেষ দিন বিরহড় সংস্কৃতি নিয়ে বলবেন কাঞ্চন শিকারি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খারিয়া নাচ দেখাবেন ভোলানাথ শবর ও সম্প্রদায়।

একদিন ছুটি

চাকুরিরত প্রতিটি মানুষেরই ছুটির দিন থাকে। কোনও চাকরিতে দু’দিনের ছুটি পাওয়া যায়, কোথাও বা এক দিনের। তবেই তো আনন্দ। সে হিসেবে ওদেরও সপ্তাহে একদিন ছুটি আছে। হ্যাঁ, ওরাও তো চাকরিই করে। সপ্তাহে ছ’দিন সারা বছর শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ওরা সকলের মনোরঞ্জন করে। ওরা হল বাবু, পায়েল, ঋষি, রাজা, বিশাল, তিস্তা। ওরা ছুটি পায় বৃহস্পতিবার। অবশ্য বলে নেওয়া ভাল, এরা কিন্তু সবাই আলিপুর চিড়িয়াখানার বাসিন্দা। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানালেন, বৃহস্পতিবার একমাত্র বাবুর মনখারাপ থাকে। কেননা লোকজন না দেখলে বাবুর ভাল লাগে না। রোজ যে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে মজা করে, বৃহস্পতিবার সে একটু চুপচাপ হয়ে থাকে। অন্যরা অবশ্য খুব খুশি। যাক বাবা একটা দিন মানুষের মুখ দেখতে হবে না! সে দিন যে যার ‘ফ্ল্যাটে’ ছুটি উপভোগ করে। মাইনে না পাক সপ্তাহে একদিন যে ছুটি পায় এই যথেষ্ট।

স্মরণসভা

তিনি ছিলেন হুগলি জেলার মশাটের জমিদার বংশের কন্যা। বলাইচাঁদ গঙ্গোপাধ্যায় ও পারুলবালা দেবীর কন্যা স্বপ্নারানি গঙ্গোপাধ্যায় বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন উত্তর কলকাতার রামবাগানের পণ্ডিত হরিহর বিদ্যাভূষণ শাস্ত্রীর পৌত্র দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এ বার রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং অশোকনাথ-গৌরীনাথ শাস্ত্রী স্মারক সমিতির যৌথ উদ্যোগে ১২ জুলাই, সন্ধে ৭টায় স্বপ্নারানি বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভার আয়োজন হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। ‘আমাদের পরিবারে জননীর স্থান’ বিষয়ে বললেন স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজি মহারাজ। জহর সরকার আলোচনা করলেন ‘যুগে যুগে দেশ-বিদেশে মাতৃকা পূজা’ প্রসঙ্গে। স্মৃতিচারণে পার্থসারথি বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাহিত্য-প্রয়াসী

কাজের ধারাবাহিকতা ও চিন্তার আধুনিকতায় সাহিত্য-প্রয়াসী বাংলা সংস্কৃতি জগতে প্রাচীন ও ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান রূপে স্থান করে নিয়েছে অনেক দিন। ১৯৬৮ সালের ২৩ জুন হাওড়ার শিবপুরে সাত জনের যৌথপ্রয়াসে গড়ে ওঠে সাহিত্য প্রতিষ্ঠান সাহিত্য প্রয়াসী। একে একে প্রচুর মানুষ, লেখক, গুণিজন শামিল হয়েছেন সেই স্রোতে। পঞ্চাশ বছর ধরে চলছে মাসিক অধিবেশন, বিতর্ক, আলোচনা, জন্মদিন উৎসব। বোটানিক্যাল গার্ডেনের ‘সাহিত্য মহোৎসব’-এ যোগ দিয়েছেন সমরেশ বসু, শীর্ষেন্দু, সুনীল, শঙ্কর... বিশিষ্টরা। সম্প্রতি পঞ্চাশতম জন্মদিন (২৩ জুন) উপলক্ষে সূচনা হল বর্ষব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের।

বরেণ্য বিজ্ঞানী

দশ জন ডি এসসি, ষাট জন পিএইচ ডি করেছেন তাঁর অধীনে। তাঁর ছাত্রছাত্রীরা ছড়িয়ে আছেন সারা বিশ্বে, কয়েক প্রজন্ম ধরে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগকে গবেষণার সর্বোত্তম কেন্দ্র করে তুলেছিলেন ড. অরুণকুমার শর্মা। অনন্য শিক্ষক, বরেণ্য বিজ্ঞানী। ক্রোমোজোম এবং উদ্ভিদ ও মানব জেনেটিক্স নিয়ে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক কাজ বিজ্ঞানবিশ্বে সুপরিচিত, ভারতের ক্রোমোজোম-গবেষণার একমাত্র কেন্দ্রটিও তাঁরই প্রতিষ্ঠিত। সাধারণ্য না জানুক, আন্তর্জাতিক স্তরের সাইটোজেনেটিসিস্ট ও সাইটোট্যাক্সোনমিস্ট হিসেবে এক ডাকে তাঁকে চিনত বিজ্ঞানী মহল। স্বাধীনতা-পরবর্তী থেকে আধুনিক ভারতের বহু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন সক্রিয় ভাবে। পদ্মভূষণ ড. শর্মা প্রয়াত হয়েছেন ৬ জুলাই, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগেরই আয়োজনে রামকৃষ্ণ মিশন গোলপার্কের বিবেকানন্দ হল-এ ২২ জুলাই দুপুর দুটোয় তাঁর স্মরণসভা।

ঠাকুরবাড়ির গান

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে দ্বারকানাথ ও দেবেন্দ্রনাথের উৎসাহে গড়ে উঠেছিল এক সাংগীতিক পরিমণ্ডল। দেবেন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায় তাঁর সন্তানরাও গান রচনায় আগ্রহী হন। রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি অন্যদের রচিত ব্রহ্মসংগীত কিংবা স্বদেশানুরাগের গান বাংলা গানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। দেবেন্দ্রনাথের দ্বিশততম জন্মবর্ষে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ঠাকুরবাড়ির এমন কুড়ি জন সংগীত রচয়িতার বাইশটি গানের সংকলন ‘তুমি আপনি জাগাও’ শীর্ষক এক সিডি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। গানগুলি গেয়েছেন অভিজিৎ মজুমদার ও সুকান্ত চক্রবর্তী। এটি পাওয়া যাবে রবীন্দ্রভারতী প্রদর্শশালা থেকে।

সিলেট কন্যা

সুচিত্রা মিত্র ও কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়দের সমকালীন তিনি নজরুলগীতি, অতুলপ্রসাদের গান এবং হিন্দি ভজনেও স্মরণীয়। সাংগীতিক পরিমণ্ডলে বড় হওয়া বিজয়া চৌধুরীর পৈতৃক পদবি ছিল নন্দী মজুমদার। আত্মজীবনী সিলেট কন্যার আত্মকথা-য় তিনি লিখেছেন, ‘নন্দী মজুমদারদের বাসায় যখন-তখন গানের আসর বসত।’ বিজয়ার নিজের ভাষায়, ‘গান গাইতাম তোতা পাখির মতো। যা শুনতাম আর যা ভাল লাগত তাই গলায় তুলে নিতাম।’ জন্ম ১৯২৫-এ শ্রীহট্টে। এ বার তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০ জুলাই সন্ধে সাড়ে ৬টায় উইভার্স স্টুডিয়োয় তাঁকে নিয়ে আলোচনা ও এক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। থাকবেন মৌসুমী ভৌমিক, শঙ্করলাল ভট্টাচার্য, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, মীনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত চৌধুরী ও অরুণা চৌধুরী।

মগ্নতার স্বরলিপি

ব্যক্তি বা সমাজের কথা সোচ্চারে উচ্চকণ্ঠে উঠে আসতেই পারে কবিতায়, কিন্তু অন্তর্মুখী ধরনও হতে পারে কবিতার। তাতে নিচু গলায় কোনও কোনও কবি কথা বলতেই পারেন সমাজ নিয়ে, ব্যক্তির অন্তর্লীন অনুভূতি নিয়ে... সেই জীবনানন্দ থেকে শক্তি-বিনয়-উৎপল হয়ে প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত, আলোক সরকার, ভাস্কর চক্রবর্তী অবধি। বাংলা কবিতার এই ধারাটি নিয়েই বলবেন পিনাকেশ সরকার এ বারের ‘সুভাষ ঘোষাল স্মারক বক্তৃতা’-য়: ‘মগ্নতার স্বরলিপি’। বিশিষ্ট কবি ও কথাকার সুভাষ ঘোষালের জন্মদিনে, ১৭ জুলাই শরৎ ভবনে (২৪ অশ্বিনী দত্ত রোড) সন্ধে ৬টায়। সে দিনের অনুষ্ঠানে কবিতা ও গদ্য পাঠে থাকছেন যথাক্রমে পঙ্কজ সাহা ও নাসের হোসেন। আয়োজনে সুভাষ ঘোষাল স্মৃতিরক্ষা কমিটি।

জন্মদিন

বনফুলের ‘ছুঁড়িটা’ গল্প অবলম্বনে দর্শকের প্রশংসাধন্য এবং প্রয়াত ওম পুরী অভিনীত ‘ও ছোকরি’ ছবিটি করেছিলেন শুভঙ্কর ঘোষ— বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার নবেন্দু ঘোষের পুত্র। শুভঙ্করের উপস্থিতিতেই সে ছবি দেখানো হবে নন্দনে ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায়। উদ্‌যাপিত হবে বনফুলের ১১৮তম জন্মদিন। তাঁর সাহিত্য ও সাহিত্য থেকে তৈরি চলচ্চিত্র নিয়ে বলবেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী ও সূর্য বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বনফুলের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কথোপকথনের নির্বাচিত অংশ (‘রবীন্দ্রস্মৃতি’ থেকে) পাঠ করবেন দেবশঙ্কর হালদার। নন্দনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজক বনফুলের পরিবার।

ভিন্ন ধারা

আমার প্রথম ছবি ‘ঘাটশ্রাদ্ধ’ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাত, ভিন্ন ধারার ভারতীয় ছবির সঙ্গে দর্শকের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যে। এখনও সে ভাবেই সিনেমার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত।’ সত্তর-আশির দশকের সন্ধিক্ষণের স্মৃতিতে ফিরে যাচ্ছিলেন গিরিশ কাসারাভল্লি। কলকাতায় কন্নড় চলচ্চিত্রোৎসব উপলক্ষে আসছেন তিনি। কর্নাটক চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ এ উৎসবের আয়োজন করেছে নন্দনে ২১-২৪ জুলাই। উদ্বোধন করবেন ব্রাত্য বসু। উদ্বোধনে কন্নড় ছবি নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রের পরিচালক পি শেষাদ্রি-র সঙ্গে থাকবেন অভিনেত্রী জয়মালা ও প্রযোজক রাজেন্দ্র সিংহ বাবু, এঁদের প্রত্যেকের ছবিই যেমন জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত, তেমনই উদ্বোধনী কাহিনিচিত্র ‘তিথি’ও। আছে গিরিশের মেয়ে অনন্যার প্রথম ছবি ‘হরিকথা প্রসঙ্গ’। একই সঙ্গে ২১-২৩ জুলাই ইজেডসিসি-তেও চলবে উৎসবটি। ‘বলিউডের বাইরে প্রকৃত ভারতীয় সিনেমার সন্ধান দিতেই এ উদ্যোগ’, ফেডারেশন-এর পক্ষে জানালেন প্রেমেন্দ্র মজুমদার। তাবারানা কথে, তাইসাহেবা, দ্বীপ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ছবির পরিচালক গিরিশ মনে করেন ‘প্রতিটি প্রদেশের মানুষের ওয়াকিবহাল থাকা উচিত অন্য প্রদেশে কেমন ছবি হচ্ছে। এর ভিতর দিয়েই ভারতীয় সিনেমার আদত সংস্কৃতি তৈরি হয়ে উঠবে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkatar Korcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE