Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা

২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টেয় সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর উদ্যোগে যদুনাথ ভবনে বই ও সিডি’টির উদ্বোধন করবেন শঙ্খ ঘোষ। দেখানো হবে তথ্যচিত্রটি। থাকবে একটি ফটোগ্রাফির প্রদর্শনীও, ৮ সেপ্টেম্বর ভূপেন হাজরিকার ৯২তম জন্মদিন পর্যন্ত।

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০০:৫৫
Share: Save:

ফিরে দেখা ইতিহাস

অসমিয়াকে রাজ্যভাষা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ভয়াবহ ভাষা-দাঙ্গা হয়েছিল অসমে, ১৯৬০-এ, তা রুখতে অসমিয়া, বাঙালি, খাসি, জয়ন্তিয়া, নেপালি শিল্পীদের একটি দল প্রায় একমাস ব্যাপী অসম পরিক্রমা করে, নাম ছিল ‘লেট আস মিট কালচারাল ট্রুপ’। নেতৃত্বে ছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস ও ভূপেন হাজরিকা (সঙ্গের ছবি)। আশির দশকে অসমে পুনরায় প্রাদেশিকতার হিংস্র বহিঃপ্রকাশের দিনগুলিতে ’৬০-এর সেই সম্প্রীতির অভূতপূর্ব প্রয়াসের কথা ফিরে আসে শঙ্খ ঘোষের কবিতায়: ‘সেই মুহূর্তে আবার যেন/ শুনতে পেলাম সুর/ ভূপেন হাজারিকার গলায়/ হেমাঙ্গ বিশ্বাসের।’ এই সংগঠিত সম্প্রীতির ইতিহাসকে সামনে আনার জন্যে ষাট ছাড়াও চল্লিশ-পঞ্চাশ দশকের অসম আইপিটিএ-তে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সাংস্কৃতিক যাত্রা ও বিভিন্ন রচনা থেকে শুরু করে পুরনো গণনাট্যকর্মী, সুর্মা ভ্যালি কালচারাল স্কোয়াডের অশীতিপর-নবতিপর কর্মীদের সাক্ষাৎকার, হেমাঙ্গ-ভূপেনের চিঠিপত্র ও পারস্পরিক স্মৃতিচারণ ইত্যাদি নানা কিছু জড়ো করেছেন রঙিলী বিশ্বাস। সে সব থেকে তৈরি করেছেন একটি তথ্যচিত্র ‘আ সং ফর এভরিওয়ান’। বেরচ্ছে একটি বইও, হারাধন-রঙমন কথা: আ টেল অব টু আইকন্স। সঙ্গে একটি সিডি। ‘ভুলে যাওয়া এ-ইতিহাসের প্রকাশ এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।’ জানালেন হেমাঙ্গ-কন্যা। আই এফ এ-র আর্থিক সহায়তা আছে কাজটিতে। ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টেয় সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর উদ্যোগে যদুনাথ ভবনে বই ও সিডি’টির উদ্বোধন করবেন শঙ্খ ঘোষ। দেখানো হবে তথ্যচিত্রটি। থাকবে একটি ফটোগ্রাফির প্রদর্শনীও, ৮ সেপ্টেম্বর ভূপেন হাজরিকার ৯২তম জন্মদিন পর্যন্ত।

ধম্মপদ

এক যুগেরও বেশি তিনি এই উপমহাদেশে প্রচলিত বৌদ্ধবাদ বিষয়টির ওপর স্থিরচিত্র তুলে চলেছেন। চিত্রগ্রাহক পলাশ দাশগুপ্ত এ জন্য লাদাখ, কিন্নর, ধরমশালা, দার্জিলিং, সিকিম এবং অরুণাচলের বৌদ্ধ গুম্ফায় এবং বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। বৌদ্ধধর্মে ধম্মপদকে ত্রিপিটকের একটা সার অংশ বলা যায়। এ বার এই ‘ধম্মপদ’কেই শিরোনাম করে তাঁর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার গোলপার্কে। চলবে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত, রবিবার বাদে রোজ ১১-৬টা। ধম্মপদের গাথার সঙ্গে ভারতের বুদ্ধ ও বৌদ্ধবাদ সংশ্লিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল, বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর জীবন আর বুদ্ধের ভাবনার চিত্রিত উপস্থাপন নিয়েই এই প্রদর্শনী। বিভিন্ন মাপের প্রায় ৬০টি ছবি ও ৫০টি ট্রান্সপারেন্সি স্লাইড প্রদর্শিত হবে।

দ্রৌপদী

মৃত্যু না, জীবনই প্রিয় ছিল তাঁর। তাই ৩১ অগস্ট ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ‘ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতা’ আয়োজন করে আসছে এই শহরের দুই সংস্থা ‘প্রত্যয় জেন্ডার ট্রাস্ট’ ও ‘সংহিতা’। গত তিন বছরে বলেছেন ফ্ল্যাভিয়া অ্যাগনেস, নিবেদিতা মেনন, পি সাইনাথ-এর মতো ব্যক্তিত্ব। চতুর্থ বর্ষে ওদের ব্যতিক্রমী নিবেদন, মণিপুরি তথা ভারতের নাট্যজগতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব হেইসনাম কানহাইলাল নির্দেশিত নাটক ‘দ্রৌপদী’। মহাশ্বেতা দেবীর বিখ্যাত ছোটগল্প-আধারিত, সাবিত্রী হেইসনাম অভিনীত এই নাটক ২০০০ সাল থেকেই খবরের শিরোনামে। বহু সমালোচনা, বিতর্ক হয়েছে এই নাটক নিয়ে, এসেছে সভ্য সমাজের নিষেধ-হুমকিও। লিঙ্গ-পরিচিতি, নারীত্বের ঊর্ধ্বে মানবিকতার কথা বলা এই নাটককেই বক্তৃতার বিকল্প ভেবেছেন প্রত্যয় ও সংহিতা-র বন্ধুরা। ৩০ অগস্ট সন্ধে সাড়ে ছ’টায় জ্ঞান মঞ্চে আসছে ‘দ্রৌপদী’। সঙ্গে তারই ছবি।

শতবর্ষে

ভারতের যে যে নাচ শাস্ত্রীয় নর্তনের পর্যায়ে পড়ে, তার মধ্যে মণিপুরি নৃত্য অন্যতম। প্রবাদপ্রতিম গুরু বিপিন সিংহ (২৩ অগস্ট ১৯১৮— ৯ জানুয়ারি ২০০০) টানা চল্লিশ বছর গভীর অনুসন্ধান করে মণিপুরি নৃত্যগীতের মৌখিক পরম্পরার সঙ্গে বৈষ্ণব নৃত্যগীত বিষয়ক শাস্ত্রগুলির পারস্পরিক সম্বন্ধ স্থাপন করিয়েছিলেন। শাস্ত্রীয় মণিপুরি নাচের বিভিন্ন বিভাগের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং বর্গীকরণের বিষয়ে তাঁর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নান্দনিক সৃজন সৌন্দর্যের প্রয়োগ ক্ষমতা মণিপুরি নৃত্য জগতে যুগান্তর এনেছিল। তাঁর জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপনে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত মণিপুরি নর্তনালয় এক বছর ব্যাপী নানা পরিকল্পনা করেছে। ২৩ অগস্ট, দুপুর ২টোয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি ও ২৫ অগস্ট, সন্ধে সাড়ে ৬টায়, উত্তম মঞ্চে অনুষ্ঠান।

শ্যামাপ্রসাদ

১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর প্রবর্তিত হলে পিতা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি প্রথম দলে ছাত্র হিসেবে যোগ দেন। তার আগে তিনি বি এ পরীক্ষায় ইংরেজি অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯২১ সালে এম এ পরীক্ষায়ও তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। পরে ১৯৩৪ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বৃত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৩৫-এ প্রথম তাঁরই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। তখন সারা দেশের মতোই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ত ‘ইউনিয়ন জ্যাক’। শ্যামাপ্রসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা প্রবর্তন করেন। প্রতিষ্ঠা দিবসে সেই পতাকা সামনে নিয়ে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় শোভাযাত্রা করে। এ বার ২২ অগস্ট দুপুর আড়াইটেয় প্রাক্তনী বাংলা বিভাগের উদ্যোগে শ্যামাপ্রসাদের ১১৬তম জন্মবর্ষে বাংলা বিভাগে বিশেষ অনুষ্ঠান।

দুর্লভ

অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের পরিচালনা ও পরিবেশনায় ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট তৈরি হয়েছিল একটি ১১ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘জয়যাত্রা’। ভাষ্যপাঠ করেছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য এই তথ্যচিত্রটি দেখানো হচ্ছে এই শহরেই এক প্রদর্শনীতে। স্বাধীনতার সত্তর বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘কিঞ্জল’ পত্রিকা ও রাশিয়ান সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড কালচার, কলকাতা আয়োজিত এই ‘কল অব ফ্রিডম’ প্রদর্শনী হচ্ছে গোর্কি সদনে। এটি চলবে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত (৪-৭টা)। থাকছে অজস্র দুর্লভ নমুনা: বিপ্লবীদের চিঠি, আজাদ হিন্দের স্ট্যাম্প, স্বদেশি মেলার আমন্ত্রণপত্র, বয়কট আন্দোলনের লেবেল, দেশলাই লেবেল, চরকা, আলোকচিত্র, বিজ্ঞাপন, সংবাদপত্র ও বই ইত্যাদি। সহায়তায় ফোরাম ফর কালেক্টর্স, শ্রীঅরবিন্দ ভবন, অরোরা, বংআড্ডা ও কথোপকথন।

সহচরী

অনেক দিন আগে একদল নীল স্কার্ট, সাদা শার্ট পরা পরি ছিল। তারা রোজ সকালে একটা লাল টুকটুকে খেলাঘরে গিয়ে পড়াশোনা, নাচ, গান, খেলাধুলো সেরে বিকেল বেলা চলে যেত। তার পর তারা নানান দিকে বেরিয়ে পড়ল জীবন দেখতে। দেখে দেখে, ঘুরে ফিরে, জিতে হেরে আবার তারা পরি হতে চাইল। কিন্তু আর তো পরি হওয়া যায় না। তাই তারা ‘সহচরী’ হল। কারও একটু খাবার, কারও সঙ্গে দুটো সুখ দুঃখের গপ্পো, কারও জন্য গান, কাউকে বা একখানি গরম চাদর— মন ভাল করতে করতে চলতে শুরু করল সহচরী। সহচরীর প্রথম উদ্যোগ একটি মেলা, যা দিয়ে তারা পুজোর জামা কিনে দেবে তাদেরকে যাদের পুজোয় জামা হয় না। মেলা সহচরী: ২৫-২৭ অগস্ট। ২১এ জনক রোড (লেক মলের পাশের রাস্তায়)।

ভারতমাতা কি জয়

‘ভারত কাকে বলে?’ উত্তর খুঁজলেন ইতিহাস আর সাহিত্যের দুই সুপণ্ডিত। তাঁদের কথোপকথন শুনতে আইসিসিআর-এর সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহে স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যায় হুমড়ি খেয়ে পড়ল কলকাতার ভিড়। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির হিউম্যানিটিজ-এর অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটা রমিলা থাপর-এর (সঙ্গের ছবি) কথোপকথনটি ছিল ‘দি আইডিয়া অব ইন্ডিয়া’ নামে একটি তিন দিনব্যাপী ইতিহাসচিন্তার কর্মশালার অংশ, যার আয়োজক ‘হিস্টরি ফর পিস’ প্রজেক্ট, আর ব্যবস্থাপক সিগাল গোষ্ঠী। গায়ত্রী নিজে কলকাতার মেয়ে, রমিলাকে নিজের শহরের অতিথি রূপেই স্বাগত জানালেন। আড্ডার মেজাজে এগিয়ে চলা কথোপকথনে ধরা পড়ল— ‘ইন্ডিয়া’ বা ‘ভারত’ আজ ক্রমশই একটা অন্য চেহারা নিচ্ছে। সংখ্যা আর ক্ষমতা যাদের বেশি, তাদের দাপটে অন্য সকলে চাপা পড়ছে। হিন্দুত্ববাদী ভারতের সেই দাপট যে কতটা ফাঁপা, আড্ডার শেষ মিনিটে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল। ‘অনুষ্ঠান শেষে কী যেন বলতে হয়— ভারতমাতা কি জয়, তাই না?’ বক্তাদের পরিহাসে তাল মিলিয়ে হেসে উঠল পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ! কলকাতার হাসি জানাল, ভারত বা ইন্ডিয়ার অর্থ বুঝতে এই সব স্লোগান কতটাই অবান্তর, অর্থহীন।

স্মারক বক্তৃতা

প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বি এ এবং এম এ পাশ করেন। ১৯২৩-’২৫ অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেন সুশোভনচন্দ্র সরকার (১৯০০-১৯৮২)। কলকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে প্রেসিডেন্সিতে অধ্যাপনা ১৯৩৩-’৫৬। পরে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। বাংলার নবজাগরণ নিয়ে তাঁর গবেষণা স্মরণীয়। তাঁর স্মরণে পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ ও তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাস বিভাগ ১৯৯৪ সালে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। পরে এটি একক ভাষণে পরিণত হয়। এ বার ইতিহাস সংসদ ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের যৌথ আয়োজনে স্মারক বক্তৃতাটি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কে বসাক সভাগৃহে, ২৩ অগস্ট বিকেল ৪টেয়। শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় বলবেন ‘ইতালীয় রেনেসাঁস: আলো-আঁধারের সেতু’ শীর্ষকে।

ভানু সমগ্র

সঙ্গী ছিলেন বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর, আবার পাশাপাশি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রিয় ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত থাকায় ঢাকা ছেড়ে কলকাতায় আসতে বাধ্য হন সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯২০-১৯৮৩) নামেই যিনি সুপরিচিত। আস্তে আস্তে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র শিল্পী হয়ে ওঠেন। ১৯৫১-য় আসেন পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে। এ বার তাঁকে সামগ্রিকতায় ধরতে পত্রভারতী প্রকাশ করছে ভানু সমগ্র। থাকছে তাঁর দীর্ঘ আত্মকথন, নির্বাচিত জোকস, চারটি কৌতুক নকশা-র সঙ্গে বহু বিশিষ্ট জনের স্মৃতিচারণ, অভিনীত ছবির তালিকা। দুর্লভ ছবিগুলি বইটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

২৪ অগস্ট সন্ধে ৬টা, নন্দন ২। বইপ্রকাশের পরে দেখানো হবে ‘ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট’।

বাঘের কথা

বাঘ নিয়ে হইচইয়ের আড়ালে কি আমরা ভারতের চিতাবাঘের (লেপার্ড) সমস্যার কথা ভুলেছি? শুধু লেপার্ড নয়, ভারতের আরও দুই উল্লেখ্য ‘বিগ ক্যাট’—স্নো লেপার্ড আর ক্লাউডেড লেপার্ড নিয়ে আলোচনা ‘এখন আরণ্যক’ পত্রিকার মে-জুন সংখ্যায়। দক্ষিণরায় কি বাস্তবিকই অনন্য? ‘শুধু সুন্দরবন চর্চা’ পত্রিকা সেই প্রশ্নের খোঁজে সাজিয়েছে তাদের এপ্রিল সংখ্যাটি। সুন্দরবনের বাঘের প্রকৃতি, বাঘশুমারি, সুন্দরবনে প্রথম ক্যামেরা ট্র্যাপ প্রয়োগের ঝক্কি ও রোমাঞ্চ, বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি জানা গেল। ‘জীবন সর্দার’ নামের আড়ালে থাকা সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেল (‘জল জঙ্গল’ পত্রিকা, জুন-অগস্ট সংখ্যা) কী ভাবে বিজ্ঞানী জে বি এস হলডেন তাঁর মনে গেঁথে দিয়েছিলেন প্রকৃতিপাঠের মূল সুর।

ইতিহাসবিদ

ঔপনিবেশিক ঢাকা শহর নিয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তাঁর প্রামাণিক গ্রন্থ রয়েছে। সম্পাদনা করেছেন ঢাকা শহরের চারশো বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক তিন খণ্ডের এক প্রকাশনা। লিখেছেন ঢাকা কলেজ, রবার্ট মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলের ইতিহাসও। সম্প্রতি কলকাতা ঘুরে গেলেন ওপার বাংলার এই বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ শরীফউদ্দিন আহমেদ। বললেন বর্তমান কালে নগরায়ণের সংকটের প্রেক্ষিতে এখন জরুরি হল পরিকল্পনা মাফিক নগরায়ণ। চাই মাস্টার প্ল্যান। কেবল অট্টালিকা নয়, প্রয়োজন নাগরিক সংস্কৃতির প্রসার। বাংলাদেশের দিনাজপুরের মতো প্রান্তিক শহরেও তাঁরা এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন সংগঠিত করেছেন। পাশাপাশি ঐতিহাসিক দলিলপত্র আর ঐতিহ্য সংরক্ষণের উপরেও জোর দিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় মহাফেজখানার এই প্রাক্তন অধিকর্তা। এই উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁদের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বি এ আর এম এস সরকারকে চাপ দিয়ে স্থানীয় স্তরের নথিপত্র দেখভালের জন্য একটি ব্যয়বরাদ্দ অনুমোদন করাতে পেরেছে। মনেপ্রাণে চাইছেন ঢাকার এশিয়াটিক সোসাইটি প্রাঙ্গণে অবস্থিত ‘নবাববাড়ি’ বা ‘নিমতলি দেউড়ি’ নামের পুরনো ইমারতটি সংস্কার করে একটি সংগ্রহালয় গড়ে তুলতে। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানিকে নিয়ে এ বার এসেছিলেন কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির কর্তাদের কাছে। উদ্দেশ্য যৌথ কোনও প্রকল্প রূপায়ণ করা যায় কি না ভেবে দেখা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkatar Korcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE