Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা

‘কমেডি-হিউমার-স্যাটায়ার-উইটে মোড়া গোটা নাটকটা প্রচলিত সামাজিক প্রথা বা মূল্যবোধকে আঘাত করে। সমাজ-লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে বলেই অ্যাডাপটেশন করতে এত ভাল লেগেছিল।’

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

নব সাজে ‘ঘটক বিদায়’

আমি ‘ঘটক বিদায়’ দেখিইনি। তাই আগের কোনও ছাপ নেই এ বারে। টেক্সট্‌টাকেও সংক্ষেপ করেছি। এর আগে ‘ফেরা’ করে অসম্ভব সাড়া পেলেও তা থেকে একেবারে ভিন্ন স্বাদের নাটক করতে চেয়েছিলাম এ বার— কমেডি।’ পৌলমী তাঁর নতুন নির্দেশনা ‘ঘটক বিদায়’ নিয়ে বলছিলেন। থর্নটন ওয়াইল্ডার-এর ‘দ্য ম্যাচমেকার’ অবলম্বনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় রচিত-অভিনীত-পরিচালিত অনবদ্য বঙ্গজ কমেডি ‘ঘটক বিদায়’ ১৯৯০-’৯২ প্রায় দু’বছর ধরে মঞ্চস্থ হওয়ার রেকর্ড করে শেষ বার অভিনীত হয় পঁচিশ বছর আগে। ‘কমেডি-হিউমার-স্যাটায়ার-উইটে মোড়া গোটা নাটকটা প্রচলিত সামাজিক প্রথা বা মূল্যবোধকে আঘাত করে। সমাজ-লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে বলেই অ্যাডাপটেশন করতে এত ভাল লেগেছিল।’ জানালেন সৌমিত্র, এ বারে তিনি সৃষ্টিধর কাঁসারি-র চরিত্রে, যার স্মরণীয় সংলাপ: ‘যে যে-উপায়ে পারছেন অন্যের সম্পত্তি কমিয়ে নিজের সম্পত্তি বাড়াবার চেষ্টা করছেন।’ মুখ্য চরিত্র ডলি বসু-র অভিনয়ে পৌলমী নিজে, ‘চরিত্রটা এত পজিটিভ যে হাত বাড়িয়ে জীবনটাকে জড়িয়ে ধরতে চায়।’ দামোদর সিংহ, আর-এক মুখ্য চরিত্রে অনির্বাণ চক্রবর্তী। প্রযোজনায় ‘মুখোমুখি’, কর্ণধার বিলু দত্ত মনে করেন ‘পারিবারিক বিপর্যয় সত্ত্বেও পৌলমীকে যে কাজে ফেরাতে পেরেছি, বন্ধু হিসেবে সেটাই বড় পাওনা।’ প্রথম অভিনয় রবীন্দ্রসদনে ২৪ অক্টোবর সন্ধে সাড়ে ৬টায়। সঙ্গের ছবিতে মহড়ায় সৌমিত্র ও পৌলমী চট্টোপাধ্যায়।

লড়াকু

বাংলাদেশের খুলনা জেলার মূলঘর গ্রামে রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩। বাল্যবিবাহে রাজি করানো যায়নি বেলাকে। ভর্তি হলেন স্কুলে। ম্যাট্রিক, আই এ-র পর কলকাতায়, বিদ্যাসাগর কলেজের বি এ ক্লাসে। আকৃষ্ট হলেন বামপন্থী রাজনীতিতে। ছাত্রদের পিকেটিং-এ গিয়ে পরিচয় সরোজ দত্তের সঙ্গে, ’৪৭-এর শুরুতে বিয়ে করলেন তাঁকেই। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তেভাগা আন্দোলন, বেলা দত্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ পেলেন। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই নামলেন তেভাগায়, নতুন নাম হল ‘পদ্মা’। কর্মভূমি হাওড়া জেলার ডোমজুড়-দক্ষিণবাড়ি-হাটাল-চাঁপাডাঙা অঞ্চল। আড়াই বছর অক্লান্ত সংগ্রামের পর হঠাৎ পার্টির নির্দেশে ফিরে আসতে হল। ’৫০ সাল, পার্টি অনেক আগেই নিষিদ্ধ। সরোজ দত্ত তখন ‘পরিচয়’-এর সম্পাদক। সংসার বাঁচাতে চাকরি নিলেন বেলা। ’৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সরোজ দত্ত গ্রেফতার হলেন। সেই ‘অপরাধে’ বেলার চাকরি গেল। আবার শুরু বাঁচার লড়াই। ’৬৭-র নকশালবাড়ি আন্দোলনকে সমর্থন ও তার অন্যতম নেতা সরোজ দত্ত ও বিপ্লবী পার্টির পাশে দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন বেলা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সাহায্য করেছেন তিনি। চুরানব্বই বছর বেঁচেছেন নিজের মতো করে। চলে গেলেন ২৯ সেপ্টেম্বর, দেহটি দান করে গেলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির জন্য। ১৭ অক্টোবর ‘শহিদ সরোজ দত্ত স্মৃতিরক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে তাঁর স্মরণসভা বিকেল পাঁচটায় ভারতসভা হল-এ।

শতবর্ষ

মায়াকোভস্কি, পাবলো নেরুদা, ব্রেশট, ফয়েজ আহমদ ফয়েজ, নিকোলাস গিয়েন, ল্যাংস্টন হিউজ... এঁদের সকলের কবিতা লেনিন-কে নিয়ে, এ বারের ‘পরিচয়’-এর (সম্পা: বিশ্ববন্ধু ভট্টাচার্য) শারদ সংখ্যায়, অনুবাদ করেছেন এ বঙ্গের বিশিষ্ট কবিরা, তাঁদের কারও-কারও নিজের কবিতাও আছে এ সংখ্যায় লেনিনকে নিয়েই। উপলক্ষ: নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষ। ১৯১৭-য় রাশিয়ায় প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এবং শতবর্ষে তার প্রভাব ও পরিণতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রোড়পত্রের সংযোজন সংখ্যাটিতে। শুরুর রচনাটি সেকালের রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় অমলচন্দ্র হোম বা উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট বাঙালির প্রতিক্রিয়া দিয়ে সাজিয়েছেন অভ্র ঘোষ, এঁরা কেউই সাম্যবাদী ছিলেন না, কিন্তু খোলাচোখে মুক্তমনে তাঁরা রুশ বিপ্লবকে বোঝার চেষ্টা করেছিলেন। শোভনলাল দত্তগুপ্ত আর সৌরীন ভট্টাচার্যের রচনায় জরুরি প্রশ্ন উঠে এসেছে একশো বছর আগের ওই বিপ্লবপ্রচেষ্টা নিয়ে। এ ছাড়াও সংখ্যাটির বিশেষ সংযোজন বিনয় ঘোষের অপ্রকাশিত চিঠি।

১২৫ পূর্তি

বহুজনের হিতেই এ শহরে গড়ে উঠেছিল বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা। এই বছর এদের ১২৫ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষে গত ১১ অক্টোবর বিকেল ৪টায় রবীন্দ্রসদনে আয়োজিত হল ১২৫-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠান। প্রকাশ পেলজগজ্জ্যোতির নির্বাচিত প্রবন্ধ সংকলন। ছিল নির্বাচিত কবিতা এবং বাংলার বৌদ্ধ ঐতিহ্য ইতিহাসের আর এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রবীন্দ্রচেতনায় বুদ্ধ, এমত ভাবনা নির্ভর একটি নৃত্যালেখ্যবুদ্ধপ্রণাম’, রূপনগর কলকাতার নিবেদনে। চর্যাপদের আলোয় সহজিয়া গানে ছিলেন লোকশিল্পী তীর্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ছিল রঙ্গপট প্রযোজিত, মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এবং তপনজ্যোতি দাসের পরিচালনা ও অভিনয়ে সমৃদ্ধ বুদ্ধের জীবন ও দর্শন আধারিত নাটক তথাগত।

শ্মশানকালী

বাংলার নানা প্রান্তে বহু কালীপুজোই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, কিন্তু শবদাহ বা জ্বলন্ত চিতার মুখোমুখি কালীপুজোর আয়োজন অভিনব। এ বারও ১৯ অক্টোবর সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে— ‘শা-নগর শ্মশান কালীমাতার পুজো’ (১৪২তম বর্ষ)। ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট কালীপ্রতিমার এক হাতে সুরাপাত্র অন্য হাতে মাংস। দেবীর জিভ থাকে মুখের ভিতর, গলায় মুণ্ডমালা, সামনে পিছনে ডাকিনী যোগিনীর বিশাল বিশাল মূর্তি। পুরোহিত অরুণকুমার ঠাকুর জানালেন, কেওড়াতলা শ্মশানের ভিতর অমাবস্যার রাতে তিন জন সহকারী ব্রাহ্মণ নিয়ে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

পোস্ট কার্ডে ছবি

এক সময় কথা বলার মাধ্যম ছিল চিঠি লেখা, চিঠি পাঠানো। পত্রপ্রাপ্তির জন্য থাকত কত ‘অপেক্ষা’। কিন্তু ইন্টারনেট-হোয়াটসঅ্যাপের যুগে সেই ‘অপেক্ষা’ আজ অমিল। পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার পাওয়া যায় না পোস্ট অফিসেই। আমরা চিঠি লিখতে ভুলে গিয়েছি, সময় নেই। স্বাভাবিক ভাবেই সেই ‘অপেক্ষা’ও উধাও! এ বার পোস্ট কার্ড ব্যবহারকে সচল রাখতে ‘আগন্তুক-Arttune’ (বিশেষ শিশু বা স্পেশাল চাইল্ডদের একটি সংস্থা) ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে (আমদাবাদ, কলকাতা, জয়পুর, দিল্লি, মুম্বই, বডোদরা ইত্যাদি) বর্ষব্যাপী পোস্ট কার্ডে আঁকা ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে ওদের দ্বিতীয় চিত্রপ্রদর্শনী চলবে ১৬ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীরা যোগ দিচ্ছেন এই প্রদর্শনীতে।

নবনির্মিত

দক্ষিণ কলকাতার লেক অঞ্চলে বনজঙ্গলে ঘেরা একটি উন্মুক্ত জায়গায় ১৯৪৯ সালের ১৩ এপ্রিল মূর্তি স্থাপিত হয়। সত্তরের দশকের গোড়া থেকে ধীরে ধীরে এই পর্ণকুটীরই ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে পরিচিতি পায় ‘লেক কালীবাড়ি’ নামে। ১৯৮৭ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠাতা হরিপদ চক্রবর্তী প্রয়াত হওয়ার আগে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুরাগী ও ভক্তদের কাছে মা কালীর একটি স্থায়ী সুদৃশ্য মন্দির গড়ে তোলার বাসনার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। ২০০৪ সালে বর্তমান সেবায়েত নিতাইচন্দ্র বসুর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ও ভক্তদের আন্তরিক সহযোগিতায় গত ১৩ বছর ধরে তিল তিল করে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ওপর ১৫ কাঠা বিশাল অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠছে ৭৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ‘লেক কালীবাড়ি’ মন্দির (চওড়ায় ৭৪ ফুট ও লম্বায় ১৪৭ ফুট)। মাটির নীচে প্রায় ছোটবড় ২০টি ঘরে বিভিন্ন অফিস। একতলায় সুসজ্জিত মঞ্চসহ সভাগৃহ। গোলাকার হলের সামনে মাঝখানে কালী মায়ের মন্দির, ডান পাশে শোভা পাবে শিবের মূর্তি আর বাঁ দিকে থাকবে প্রতিষ্ঠাতা হরিপদ চক্রবর্তীর আবক্ষ মূর্তি। মন্দিরের নীচ থেকে উপর পর্যন্ত দেওয়ালের বাইরে ও ভিতরের বিভিন্ন স্থানে পাথরে খোদাই করা দেবদেবীর মূর্তি শোভা পাবে। বহু কাল ধরে অনেক কারিগর এখানে থেকে পাথরের গায়ে অসংখ্য দেবদেবীর মূর্তি খোদাইয়ের কাজ করে চলেছেন। কর্তৃপক্ষ জানালেন, কলকাতার কোনও মন্দিরগাত্রেই এত সংখ্যক খোদাই করা দেবদেবীর মূর্তি এর আগে দেখা যায়নি। সঙ্গে মন্দিরের সম্মুখ ভাগের ছবি: শুভেন্দু দাস

তর্পণ

নাট্যকার অভিনেতা নির্দেশক অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি মনোজ্ঞ স্মরণানুষ্ঠান অভিনেত্রী নাট্যগবেষক সন্ধ্যা দে ৩৩ বছর ধরে করে চলেছেন। এ বার এই প্রখ্যাত নাট্যব্যাক্তিত্বের ৮৪তম জন্মদিন ও ৩৪তম মৃত্যুদিন স্মরণে ১৬ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৬টায় তপন থিয়েটারে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। স্বল্পায়ু মানুষটির জীবন ও কাজ নিয়ে স্মৃতিরোমন্থন করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব অরুণ মুখোপাধ্যায় ও মেঘনাদ ভট্টাচার্য। এ ছাড়া অজিতেশ রচিত ও সুরারোপিত নাটকের গান ও নাটকপাঠ অনুষ্ঠিত হবে। নিবেদনে গল্‌ফ গ্রিন সাঁঝবেলা।

হরপ্পা

‘এক রবিবারের সকালে হানা দিয়েছিলাম নরেনদার লিন্টন স্ট্রিটের ঠিকানায়। মার্চ মাস... দেখি, নরেনদা গেঞ্জি-গায়ে একমনে লিখে চলেছেন...’, পুজোর জন্য ছোটগল্প শেষ করছিলেন নরেন্দ্রনাথ মিত্র। বাঙালি সাহিত্যিকদের লেখালেখির প্রস্তুতিপর্ব নিয়ে লিখেছেন প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়। এ ভাবেই দেশভাগ, কলের গান, রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকা, শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, মাইহার ব্যান্ড, শখের গোয়েন্দা, সন্দেশ পত্রিকা, অক্ষর-ছাপা, বিজ্ঞাপন... এ রকম নানা কিছুর প্রস্তুতি নিয়ে রচনার সমাহারে দু’মলাটের মধ্যে সেজে উঠেছে ‘হরপ্পা’ (সম্পা: সৈকত মুখোপাধ্যায়) পত্রিকা-র প্রথম সংখ্যা। মুদ্রণে অতীব পরিপাটি এ-পত্রের নামাঙ্কন, প্রচ্ছদ, শিল্পনির্দেশনা সোমনাথ ঘোষের। ‘ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার সমন্বয় ঘটানো’ই এর লক্ষ্য, জানানো হয়েছে মুখড়া-য়। সঙ্গে তারই প্রচ্ছদ।

নেপথ্যের নায়ক

পরিচালক তরুণ মজুমদার তাঁর কাজের জন্য একদিন প্রসেনজিৎ-কে চিঠি লিখেছিলেন, ‘আমাকে দু’জন ফাইট মাস্টার দিতে পারবে!’ ‘বাংলা সিনেমায় সেই সময় সে ভাবে ফাইট-সিন শুরুই হয়নি, তখন থেকেই শান্তনু নামের একটি ছেলে অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে অসাধারণ সব ফাইট-সিন হাজির করে দিত’, বলছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ‘ফাইট-অ্যাকশন দৃশ্যে এদের বিরাট অবদান রয়েছে। পরে এদের চাহিদা বাড়তে থাকায় তৈরি হয় একটি ফাইট মাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’। একটি সিনেমা তৈরির নেপথ্যের এমত কারিগরদের গত চার বছর ধরে সম্মান জানিয়ে আসছে স্টেজ ক্র্যাফট ফাউন্ডেশন। এ বারেও ১৩টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হল। এর মধ্যে শিল্প নির্দেশনা, আলোকসম্পাত, মেকআপ, স্টেজ নির্মাণ, কোরিয়োগ্রাফি, রেকর্ডিং ও শব্দনির্মাণ ছাড়াও রয়েছে শ্রেষ্ঠ বিপণন, আয়োজক বা ম্যানেজারের সম্মান। রয়েছে হল অব ফেম সম্মানও, জানালেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ঊষা উত্থুপ। এ বারের স্টেজ ক্র্যাফট সম্মান অনুষ্ঠান হয়ে গেল ১৪ সেপ্টেম্বর, কলামন্দিরে।

সংগীত-গবেষক

বাঙালি গায়ক-গীতিকার-সুরকারের নামের পাশে যদি সংগীত গবেষকের তালিকাটা রাখা যায় তবে তার সংখ্যা আমাদের লজ্জায় ফেলে দেবে। বাংলা গানের ইতিহাস সন্ধানে ও গবেষণায় এই উদাসীনতার অন্ধকারের মধ্যেও যে নামগুলি আলো দেখায়, সর্বানন্দ চৌধুরী তার মধ্যে প্রথম সারির। দুর্গাদাস লাহিড়ীর ‘বাঙালির গান’ পুনঃপ্রকাশের কাজে সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে যাত্রা শুরু, এর পর সম্পাদনা করেছেন স্বামী বিবেকানন্দের ‘সঙ্গীতকল্পতরু’, ‘রামপ্রসাদী’, ‘গিরিশসঙ্গীত’। গান-বিষয়ক দীর্ঘায়ু পত্রিকা ‘সঙ্গীতবিজ্ঞান-প্রবেশিকা’ থেকে সংকলনের প্রথম খণ্ড ‘রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ’ দে’জ থেকে বেরিয়েছে। লিখেছেন স্বামী বিবেকানন্দের কণ্ঠধন্য ‘মন চল নিজ নিকেতনে’ গানটির জীবনী। বই ছাড়াও অডিয়ো অ্যালবাম ‘উনিশ শতকের বাংলা গান’, ‘বোলস অ্যান্ড রিদমস ফ্রম স্বামী বিবেকানন্দ’ বাঙালির গানের ইতিহাসকেই মূর্ত করেছে। ২৯ অক্টোবর সন্ধে ৬টায় ভবানীপুরে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বসতবাড়ির দোতলায় ‘অহর্নিশ’ পত্রিকা এই গবেষকের হাতে স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ স্মরণে ‘অহর্নিশ সম্মাননা ২০১৭’ তুলে দেবে। সেই সঙ্গে প্রকাশ পাবে গৌরাঙ্গ দাসের কাব্যগ্রন্থ ‘আমার আঁতুড়ঘর’। থাকবেন শঙ্খ ঘোষ, সৌরীন ভট্টাচার্য, রাহুল সেনগুপ্ত, অরবিন্দ দাস প্রমুখ। সঙ্গের ছবি: অর্ক চক্রবর্তী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkatar Korcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE