Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

নববর্ষে মুম্বই মনতাজ

একুশে মার্চ, ছয়ই চৈত্র, শনিবার। (চৈত্র শুক্লাদি) চলে গেছে এ বছরের নববর্ষ। না না। আঁতকে উঠবেন না। আমাদের, মানে, বঙ্গসন্তানদের নয়। এ রাজ্যের ভূমিপুত্রদের। এঁরা বলেন, ‘‘গুড়ি পাড়ওয়া’’। এর মধ্যে ‘‘গুড়ি’’ শব্দটির মানে মুখুজ্জের জানা আছে। খুবই সোজা—গুড় বা গুড় দিয়ে বানানো কিংবা যে কোনও মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য। তা সে তো আমাদের নতুন বছরেও মণ্ডামিঠাই না খাওয়ালে উৎসব সম্পন্ন হয় না।

মিলন মুখোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০০
Share: Save:

একুশে মার্চ, ছয়ই চৈত্র, শনিবার। (চৈত্র শুক্লাদি) চলে গেছে এ বছরের নববর্ষ। না না। আঁতকে উঠবেন না। আমাদের, মানে, বঙ্গসন্তানদের নয়। এ রাজ্যের ভূমিপুত্রদের। এঁরা বলেন, ‘‘গুড়ি পাড়ওয়া’’। এর মধ্যে ‘‘গুড়ি’’ শব্দটির মানে মুখুজ্জের জানা আছে। খুবই সোজা—গুড় বা গুড় দিয়ে বানানো কিংবা যে কোনও মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য। তা সে তো আমাদের নতুন বছরেও মণ্ডামিঠাই না খাওয়ালে উৎসব সম্পন্ন হয় না। প্রসঙ্গত, একটি কথা চট করে খেয়াল হল। পৃথিবীর অন্য দেশের আচার বিষয়ে জ্ঞানগম্যি কম হলেও— ভারতবর্ষের কর্মকাণ্ড বা উৎসবাদির মেনুর তালিকায় শেষ পাতে বা অন্য কোথা, বা অন্য কোনও খানে অবশ্যই ‘মিষ্টিমুখ’ বা মুখমিষ্টির ঘটনা থাকেই বলে ধারণা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। ‘ডায়াবেটিস’ কি এই জন্যই আমাদের ঘরে ঘরে প্রধান অতিথির গুরুত্ব পান। ফলে, ‘‘আহা আর একখানা সরভাজা খেলে কিসসু হবে না’’—শুনে আমরা অম্লান বদনে আতিথেয়তার প্রশংসা করি।

যাক গে, ‘গুড়ি’তেই চিপকে না গিয়ে পরের শব্দটি ‘পা়ড়ওয়া’ নিয়ে পড়া যাক। কেননা গত সপ্তাহে বেশ ক’জন উত্তর ভারতীয় এখানকার ভূঁই-পুত্তুরদের একটি দলের হাতে রীতিমতন আড়ং ধোলাই খেয়েছে, খবরে প্রকাশ। সুতরাং মরাঠি ময়দানে তথাকথিত ‘বহিরাগত’দের কিঞ্চিৎ বুঝে-সমঝে থাকাই বাঞ্ছনীয়। ‘কসসা কায়’, ‘কুঠেরে’, ‘চাংলা’ ইত্যাকার কামড়ে দেবার মতো শব্দের ব্যবহার, অর্থ বুঝে —‘কেমন আছেন, কোথায়’ অথবা ‘ভাল’—ঠিকঠাক ঝোপ বুঝে কোপ মারতে পারলে রক্ষে। নইলে, ধোলাই খেয়ে পালাতে হতে পারে। কারণ, উত্তর ভারতীয়দের পর যে পুব থেকে ‘বহিরাগত’দের পালা হবে না—এ গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেন না। ফলে মরাঠি শব্দ ও শব্দার্থ সন্ধানে তৎপর হয়েছি। অথচ তাজ্জব ব্যাপার! পরিচিত ভূমিপুত্র-কন্যাদের ধরে ধরে, জিজ্ঞাসা করেও থই পাওয়া যায়নি। আবালবৃদ্ধবনিতা শিক্ষিত, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত কেউ বাদ যাননি।

‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দ্যাখো তাই/পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন—’গোছের গরুখোঁজা খুঁজেও ‘পা়ড়ওয়া’র অর্থ পাওয়া গেল না। সবশেষে ধরেছিলুম বিজ্ঞ তথা বিদ্বান রাজু ভেরনেকরকে। বোকাবাক্সে ‘সাহারা সময়ে’র নিউজ এডিটরকে। ইনি অনেকটা সাংবাদিক প্রীতিশ নন্দীর সঙ্গে তুলনীয়। নন্দী সায়েব এক-একটি পত্রপত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক হয়েছেন ও একের পর একের গণেশ উল্টে হাঁফ ছেড়েছেন। যেমন ‘ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অফ ইন্ডিয়া’, ‘সায়েন্স টুডে’, ‘ইভনিং নিউজ অফ ইন্ডিয়া’ নন্দীর কৃতিত্বে নিষ্কৃতি পেয়েছে। রাজুরও সুনাম আছে এ ব্যপারে। ‘ফ্রি প্রেস বুলেটিন’, ‘দি ডেইলি’, ‘মেট্রো পালস’—কৃতিত্বের দাবি রাখে। কট্টর মরাঠি রাজু বা অন্য ভূমিপুত্রদের জিজ্ঞাসার ফল বিশদ করার আগে, আপন জাতভাইদের নমুনা দিই।

—‘‘পয়লা বৈশাখ কবে হে?’’

মুখ চাওয়া চাওয়ি শুরু হয়। মুখরক্ষার তাগিদে। আন্দাজের ঢিল পড়ে এ দিকে ও দিকে।

‘‘হোলিকে বাদহি তো হোতি হ্যায়’’।

‘‘মালা বাট্ত, জাস্ট বিফোর হোলি—’’। ইংরিজি, হিন্দি, মরাঠি মিশ্রিত বিচিত্র ভাষায় বাঙালির নতুন বছর খুঁজতে টানাটানি পড়ে যায়। অথচ, আমরা আম্লান স্মৃতিতে রেখে দিই —কবে, ভ্যালেন্টাইন ডে, কবে গুড ফ্রাইডে এই সব। গোটা বছর খোঁচাখুঁচি করে আন্দাজে ধরে নিয়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি কোনও একটি দিন। মন খুঁত খুঁত নিয়ে মরাঠিদের ‘কালনির্ণয়’ ক্যালেন্ডার-পঞ্জিকা জোগাড় করা সহজ প্রতিবেশীর ঘরে। তারা গড়গড়িয়ে বলে—আরে, বাঙালি! ‘গুড়ি-পাড়ওয়া’। জানো না? আমাদের নতুন বছর শুরু ওই দিন! মহারাষ্ট্রে আছো, আর পাড়ওয়া জানো না। উদ্ভব ঠাকরে বা রাজ সাহেব জানলে এ রাজ্য থেকে খেদিয়ে বিদেয় করবে। গুড় বা মিষ্টিমুখ করতে এবং করাতে হয় বলে ‘গুড়ি পাড়ওয়া’। পয়লা তারিখ। বলি কোন মাসের ক’ তারিখ? না, ঊনত্রিশ ছাড়িয়ে সংবৎ ত্রিশে পড়লুম আমরা। বাড়ি বাড়ির দরজায় সব আম্র পল্লবের মালা লাগিয়ে চৌকাঠের সামনে আলপনা রংগোলি দেওয়া হয়েছে খেয়াল করোনি? লজ্জায় জিভ কাটি। মনে মনে নিজেকে শাপাই—না ঘরকা, না ঘাটকা! ফলে অন্য ভাষাভাষি প্রতিবেশীর হাত ধরে নাচতে নাচতে বাঙালি এগিয়ে যায় এপ্রিলের মধ্য পথে। পঞ্জাবির ভাংড়া নাচ। তুসি পতা নেহি হ্যয়? বইসাখি দা মেলা, বইসাখি দি রাত! ঠিকই তো। গুরুদেবের জাতীয় সংগীতে ‘জনগণমনে’ আর এক কাছাকাছি শরিক, পঞ্জাব। আহারাদির ব্যাপারেও বেশ কাছেপিঠে ধরা যায়। রান্নায় এনারাও সরষের তেলের ভক্ত। অন্য ভাষাভাষীর মতো বাদাম বা নারকেল তেলের রান্না বিশেষ পছন্দ নয়। উম্ মা গো। কী উৎকট গন্ধ রে বাবা। আর নারকেল তেল খায় না মাথায় দেয়। ওয়াক্। তার পরেও হ্যাপা থেকে গেল। মরাঠি বছর শুরু হয় ফাল্গুন মাসের শেষ অমাবস্যা থেকে শুক্লপক্ষের প্রতিপদে বা ‘পাড়ওয়া’য়। অর্থাৎ বলছিলাম, বস্তুপিণ্ড সূক্ষ্ম থেকে স্থূলেতে। অর্থাৎ লাগল ঠ্যালা পঞ্চভূতের মূলেতে—। বিশে মার্চ শুরু হয়েছে অমাবস্যা এবং মরাঠি সংবৎ মতে চৈত্র সুদি আরম্ভ। সামলাও ঠ্যালা। এ রাজ্যে পয়লা চৈত্র ইজ ইকোয়াল টু নতুন বছরের হালখাতা। পঞ্জাবিদের বৈশাখের পয়লা বা ‘বইসাখি দা মেলা’ কি আর ঠিকঠাক বঙ্গ-মাদারের নববর্ষেই হবে? কে জানে। খোঁজ খোঁজ করে অবশেষে জানা গেল বসু পরিবারের বৃদ্ধা মাতা পুজো-আচ্চা নিয়ে থাকেন। তাঁর কাছে আছে পাঁজি।

পঞ্জিকা এসে গেল। গোলাপি মলাটে বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকা —১৪২২। ইংরাজিতে দু’ হাজার চোদ্দো সমুদ্র পেরিয়ে এলুম। মরাঠিতে বিংশ শতক। ১৯৩০—

সাধে কি এ রাজ্যে বাংলা পিছিয়ে পড়ছে! আদ্যিকালের সেই প্রবাদ পালটে গেছে। হোয়াট মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, থিংক টুডে—বেঙ্গল উইল থিংক টুমরো।

এই তো দেখুন না! চার দশক আগে শুনেছিলুম দাদর প্যারেল এলাকায় একটি বাংলা স্কুল ছিল। নাম অবশ্যই ইংরেজিতে। বেঙ্গলি এডুকেশান সোসাইটি স্কুল। এক সময় নাকি বাংলা পড়ানো হত। এখনও হয়। বাংলা মাস্টারমশায়রা দু’ এক জন এখনও আছেন। বঙ্গভাষা শেখা, লেখাপড়া ইত্যাদি এখন দু’ নম্বরে। অর্থাৎ কোনও কনভেন্ট বা মরাঠি স্কুলে যেমন! সেখানে অবাঙালি ছাত্রই হালখাতার হাল-খবর, হাতে না পেলে দোষের কি, বলুন!

হালখাতার হালে পানি পেতে ধরি ভটচাযমশাইকে। সুপুরুষ সুন্দর মানুষ শঙ্করবাবু। স্মিত হেসে বললেন, ‘‘এখানে তো বিশেষ হালখাতার চল নেই, যে ক’জন বাঙালি ব্যবসাদার আছেন, তাঁদের বাণিজ্যিক বছর শুরু ও শেষ হয় সরকারের ট্যাক্সোর হিসেবে। এপ্রিল থেকে মার্চ।’’

‘‘আচ্ছা শঙ্করবাবু! এই যে পয়লা বৈশাখের পুজো করেন বাঙালিরা, তার কী মন্ত্র পড়েন আপনারা?’’

বছর পাঁচেক আগে এসেছেন মনতাজের শহরে। আমার ঘরের রক্ষেকালীর জেলা হাবড়া থেকে এসেছেন। সেখানে থাকতে শাড়ির কেনাবেচা করতেন। মুম্বইতে এসে ধীরে ধীরে পৈতৃক ব্যবসা পৌরোহিত্যে মন দেন। স্বচক্ষে স্বকর্ণে দেখেছি ও শুনেছি উনি খুব মন দিয়েই পুজো করেন। সাইডে অবশ্য এখনও শাড়িটা রেখেছেন। বললেন, (কথায় দোখনে বা বাংলাদেশি টান) ‘‘আসলে নতুন বছর বলতে ঘটস্থাপন ও গণেশের আরাধনা বা পুজো।’’

‘‘এ বছর কোথায় পয়লা বোশেখ উপলক্ষে পুজো করছেন?’’

‘‘সিভিল কনট্রাক্টর সুধীর দেবনাথের গৃহে।’’

‘‘পাঁচ বছরে পুরোহিত হিসেবে মুম্বইতে আপনার চাহিদা কেমন?’’

‘‘তা ঠাকুরের ইচ্ছায়, আপনাদের শুভকামনায় এখন কান্দিভালিতে এক বাড়ির কালীমন্দিরে নিত্যপুজো ছাড়া... তা গুনতে গেলে যজমান আমার একশোর কম নয়।’’

মানে ভালমানুষ পুরোহিতের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে। অন্য দিকে দেখলে, বাঙালিদের ঘরে ঘরে এখনও বেশ পুজোআচ্চার চল আছে।

তা এ রাজ্যের হালখাতার দশা বোঝা যাচ্ছে ‘নাজেহাল’। তবুও হাল একেবারে না ছেড়ে, নতুন বছর হিসেবে হালহকিকত জানার চেষ্টা করে, দিকে দিকে খবর নিয়ে খানিকটা হালে পানি পাওয়া গেল। হালখাতার মিষ্টি না হয় না-ই পাওয়া গেল! নববর্ষের গেট টুগেদার হয় নানান ক্লাবে। মনে পড়ল বান্দ্রার পুরনো সেই বিবেকানন্দ ক্লাবে এই ক’বছর আগে গিয়েছিলুম ‘অনাহারি লাইফ মেম্বার’ হিসেবে। বাদ্য-বাজনা-গান ইত্যাদি হয়েছিল টেরাসে। কাগজের ছোট প্লেটে টুকিটাকি খেয়েছিলাম কী কী যেন! আন্ধেরি প্রগতি ক্লাবের দুর্গাপুজো দেখেছি। নববর্ষ হয় কিনা জানি না। সবচেয়ে পুরনো পুজোবাড়ি মাধববাগে। সেখানে যেতে হবে। বহু স্বর্ণকার ও দক্ষ জহুরিদের অজস্র দোকান। বেশি বাঙালি কারিগর। হালখাতা কি না হয়ে পারে?

এছাড়া চেম্বুর দুর্গাপুজো কমিটিতে নববর্ষ পালিত হয়। তাছাড়া বেঙ্গল ক্লাব, দুর্গাবাড়ি সমিতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষার ‘সাহানা’তেও নববর্ষ প্লাস গুরুদেবের জন্মদিন একই সঙ্গে উদযাপিত হয়। লোখন্ডওয়ালার ‘মালঞ্চ’য় দুর্গা-সরস্বতী পুজো হয়। তবে আজকাল আর নববর্ষ উৎসব হয় কি না কে জানে!

সুতরাং একেবারে নিরাশ হবার, ভেঙে পড়ার কারণ নেই ‘মনামার’। তাঁকে ডাকো। ভরসা না হারিয়ে মনে মনে বলো : ‘‘হে বঙ্গজননী! এই মনতাজের রাজ্যে তোমার লক্ষ লক্ষ সন্তানের বাস। তাদের খুঁচিয়ে দাও, উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত হও।’’

সঙ্গে মুখুজ্জেও প্রার্থনা জুড়ে দেয়। ‘‘মায়ের কোল-আঁচল ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছ, ভাল কথা। তোমাদিগের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধির ফাঁকে ফাঁকে শেকড়কে মনে করো। তাঁর ছেঁড়া কাঁথার, মাথার জবাকুসুম বা নারকেল তেলের ঘ্রাণ ভুলে যেও না। সকলের সুবুদ্ধি-সুদিন-সুবছর ঘুরে ঘুরে আসুক। গোটা ভারতবর্ষে কলকাতার মতো বাঙালিদের নামে ‘মিষ্টি’ ও ‘কেমিস্টে’র দোকান পাশাপাশি গজিয়ে উঠুক। মিঠাই জুতমতো পেটে ঠাঁই না পেলে, অম্বল-আমাশার ওষুধও ফুটে উঠুক মুম্বই হৃৎকমলে। এবং আগামী পরশু বুধবার নবরূপে নববর্ষ আসুক মুম্বই-বাঙালির ঘরে ঘরে।

জয় মুম্বাঙালির জয়!

একদা বাংলার ব্যবসার বিস্তৃতি ছিল পূব-পশ্চিমের দূর দেশগুলোতে। স্বভাবতই সেই সব দেশের রন্ধন প্রভাব হাজির হয়েছিল বাংলার হেঁসেলে পশ্চিমের ইসলামি সভ্যতা-ইউরোপ থেকে পুবের চিন-সুমাত্রা-জাভা-বর্মা সবই ছিল লিস্টে। মোগলাই খানার দাপুটে উপস্থিতিও ছিল। কিন্তু নির্ভেজাল বাঙালিয়ানার নিজস্বতা বাঙালি খাবারে যাঁরা এনেছিলেন, তাঁরা নিষ্ঠুরতম অমানবিক কুসংস্কারের বলি-অকাল বৈধব্যে আটকে পড়া বাংলার নারীরা। অসহনীয় জীবনযাপনের মাঝে রান্নায় উজাড় করে দিতেন নিজেদের —আর তাতেই বাঙালি খাবার হয়ে উঠেছে বিশ্বখ্যাত। নবি মুম্বই-এর ভাসিতে ‘ইতি’ বাঙালি-রসনার সেরা নিদর্শনগুলো হাজির করেছে। কলকাতার মুরগি-মাটনের বিরিয়ানি, বরিশালের সর্ষে ইলিশ, সুতানটির মালাইকারি, চৌরঙ্গির মোগলাই পরটা, শুক্তো, এচোঁড় চিংড়ি—পদে ঠাসা ‘ইতি’ সাড়া ফেলেছে মুম্বইয়ের বাঙালি মহলে। তৈরি ৮০টির বেশি পদ। বাড়ছে চাহিদা। রেস্তোরাঁ চেন হিসেবে রূপ দিতে তাই উৎসাহ পাচ্ছেন ‘ইতি’র পরিচালক পূর্ণেন্দু বসু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE