এই সময় চুলের প্রধান সমস্যা হল চুল পড়ে যাওয়া, যা নিয়ে অল্পবিস্তর প্রত্যেকেই চিন্তিত। একে তো ওয়েদারের জন্য চুল শুকানো দায়। তার উপর ড্রায়ার ব্যবহার করে শোকাতে হলে, চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে প্রাপ্তি শুষ্কতা। তাই কী ভাবে যত্নে রাখবেন সাধের কেশদাম, জেনে নিন টিপ্স।
• ঘামে ভেজা ও চিটচিটে স্ক্যাল্পের সমস্যাটা এ সময় খুব বাড়ে। তার জন্য সপ্তাহে দু’দিন শ্যাম্পু করাটা খুব দরকার। বিশেষ করে চুল যদি বৃষ্টিতে ভেজে, তা হলে তো চুল ধুয়ে ফেলাটা খুবই জরুরি। তাই মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং সেটা ব্যবহার করবেন গোড়া থেকে চুলের ডগার দিকে। এতে চুলের গোড়া ভাঙার মতো সমস্যাগুলো কমবে।
• নরম টাওয়েল দিয়ে চুল মুছবেন, ফলে টাওয়েলের সঙ্গে ঘর্ষণে চুল কম উঠবে।
• চুলে তেল মাসাজও খুব জরুরি, যা চুলে স্বাভাবিক ভাবে ময়শ্চার জোগায় এবং শুকনো চুল পুষ্টি পায়। এতে কিন্তু ডিপ কন্ডিশনিংয়েরও কাজ হয়।
• খুব টাইট করে চুল বাঁধবেন না, হালকা পনিটেল অথবা বান করতে পারেন।
• চুল যাতে বৃষ্টিতে না ভেজে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। ষদি কোনও কারণে চুল ভেজে, মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
• সব সময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করেন।
• চুল রুক্ষ হয়ে যায় বলে, এ সময় কন্ডিশনিং মাস্ট। তবে খুব বেশি কন্ডিশনার কিন্তু ব্যবহার করবেন না। আর শুধু চুলের শেষপ্রান্তে কন্ডিশনার লাগাবেন, অ্যাপ্লাই করার পর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নেবেন।
• নিজেকে যদি নতুন একটা লুক দিতে চান, তা হলে এই সিজন বেস্ট। কোনও স্টাইলিশ শর্ট হেয়ারকাট ট্রাই করুন।
এ সময়ের উপযোগী কয়েকটি হেয়ার প্যাক
• চুলের দৈর্ঘ্যে উপর নির্ভর করে পরিমাণমতো দুধ নিন। তার সঙ্গে মেশান কয়েক ফোঁটা মধু। ভাল করে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
• চুলের গোড়া মজবুত করতে ভিটামিন ও মিনারেল খুবই দরকারি। তার জন্য দু’টি বা একটি ডিম ভাল করে ফেটিয়ে, তার সঙ্গে দই মেশান এবং চুলে লাগান।
• অনেকেই ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না, তাঁরা দই এবং তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।
বর্ষাকালে চুলের যথাযথ যত্ন করা হয় না বলেই চুল ওঠার সমস্যা বাড়ে। অথচ সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে চুলও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় এবং থাকে ঝকঝকে, সুন্দর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy