Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মুখ ঢেকে যায় ফেস পাউডারে

আপনি পেয়ে যান নিটোল ত্বক। কিন্তু ফেস পাউডারের আছে অনেক ভাগ। জেনে নিন কোনটি আপনার উপযোগী আপনি পেয়ে যান নিটোল ত্বক। কিন্তু ফেস পাউডারের আছে অনেক ভাগ। জেনে নিন কোনটি আপনার উপযোগী

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:৩০
Share: Save:

সকাল থেকে বরের ব্রেকফাস্ট তৈরি, মেয়েকে স্কুলে পাঠানো, রান্নার লোককে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া, তার পর যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব রেডি হয়ে অফিসে বেরোনো। কিন্তু সকাল থেকে চলা এই নিত্যকার ঝড়ের চিহ্ন মুখে থাকলে চলবে না। আর সেই গুরুদায়িত্ব কিন্তু একা হাতে সামলে দিতে পারে, সাধারণ ভাবে আমরা যাকে বলি ফেস পাউডার। আপনি যথাযথ মেকআপ করে তো বটেই, না করেও এটি বুলিয়ে নিন, স্কিন টোন বা দাগছোপ সব ঢেকে যাবে।

তবে ফেস পাউডারের কিন্তু অনেক ভাগ আছে এবং প্রশ্ন হল, আপনার ত্বকের ধরন কেমন? শুষ্ক, তৈলাক্ত না কি দুইয়ের মিলমিশ এবং আপনি কী উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করছেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের পাউডার বেছে নেবেন।

লুজ, প্রেসড, ট্রান্সলুসেন্ট ও টিন্টেড— এই চার রকম ভাগ রয়েছে ফেস পাউডারের।

লুজ পাউডার ব্যবহারে মেকআপ বসে যায় সহজে। এটি ব্রাশ, পাফ যে কোনওটি দিয়েই লাগানো যায়। লম্বা সময়ের জন্য মেকআপ লুক চাইলে, কেকের মতো দেখতে প্রেসড পাউডার ব্যবহার করুন মোটা পাফ বা মেকআপ স্পাঞ্জের সাহায্যে। যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁরা মুখের অয়েলি জোনে এই পাউডার লাগাতে পারেন। এটি প্রেসড এবং লুজ দু’ধরনেরই পাওয়া যায়। টিন্টেড পাউডার আপনার কমপ্লেকশন অনুযায়ী কিনবেন এবং এটি ফাউন্ডেশন না লাগিয়েও ব্যবহার করা যায়।

এ বার আসি কোন ধরনের ত্বকের সঙ্গে এর মধ্যে কোন পাউডারের বন্ধুত্ব বেশি জমাটি হবে। ত্বক, গায়ের রং এবং মরসুম অনুযায়ী ফেস পাউডার বাছতে হবে। প্রেসড পাউডার ড্রাই স্কিনের জন্য উপযোগী। আর যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তা হলে লুজ পাউডার ব্যবহার করুন। রোদে বেরোনোর থাকলেও লুজ পাউডার বেশি কাজে দেবে। প্রেসড পাউডার খুব সর্তক হয়ে ব্যবহার করতে হয়। টাচআপ করার সময় যাতে পুরো জিনিসটা ত্বকের সঙ্গে সমান ভাবে ব্লেন্ড হয়, সেটা দেখতে হবে। আর ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার যে কোনও ত্বকের জন্যই উপযুক্ত। এটা অত্যন্ত হালকা আর সহজেই মিশে যায়।

ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফেস পাউডার বাছাই করা কিন্তু আসল কাজ। অনেকে হাতের উপর লাগিয়ে পাউডারের টোন পরখ করেন। সেটা একেবারেই ভুল। আপনার গালের আর হাতের রঙের মধ্যে ফারাক থাকবেই। তাই সরাসরি গালে লাগিয়েই পাউডার বাছুন। আর যে রঙের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন, তার রঙের সঙ্গেও কিন্তু ফেস পাউডারের রং মিলিয়ে নেবেন। দিন-রাতের জন্য আলাদা শেডও বাছতে পারেন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ইয়েলো বেসড ফেস পাউডার সঠিক হবে। যাঁদের মাঝারি কমপ্লেকশন তাঁরা গোল্ডেন ব্রাউন টোন ব্যবহার করতে পারেন। শ্যামবর্ণদের জন্য ডার্ক ব্রাউন পাউডার বেশি ভাল মানাবে। বেশিক্ষণ মেকআপ ধরে রাখতে চাইলে ফাউন্ডেশন লাগানোর পর ভিজে স্পাঞ্জ দিয়ে প্রেসড পাউডার লাগান। স্ট্রোকগুলো উপর থেকে নীচের দিকে হবে।

ফেস পাউডার যে শুধুই মেকআপের উপকরণ, এমনটা নয়। এর উপকারিতাও আছে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ত্বকের যত্নও নেয়। ভাল ব্র্যান্ডের ফেস পাউডারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফেস পাউডার আপনার কবচ বলতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Make up Face Powder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE